ভারত
যাদবপুরকাণ্ডে বিচারপতির পর্যবেক্ষণে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রসঙ্গ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
(১ মাস আগে) ৫ মার্চ ২০২৫, বুধবার, ৪:২৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:২৬ পূর্বাহ্ন
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অশান্তি নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ বুধবারও চলছে। পথে নেমে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, শিক্ষাকর্মী ও ছাত্ররা মিছিল করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মিছিলে পা মিলিয়েছেন ছাত্রদের অভিভাবকরাও। ক্যাম্পাসে ছাত্ররা লাগাতার ধরনা চালাচ্ছেন। পাশাপাশি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অশান্তি নিয়ে ছাত্রদের করা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পুলিশ ও গোয়েন্দারা ব্যর্থতাকে দায়ী করে পরিস্থিতি যেন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মতো না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক করেছেন।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মন্তব্য করেছেন যে, পুলিশের গা ছাড়া মনোভাবের জন্যই এই অশান্তি । তিনি আরও বলেছেন, রাজ্য সরকারকেই পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। তা না হলে এই অশান্তি রাজ্যের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়বে। এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের নাম না করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ছাত্র আন্দোলনের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। বিচারপতি জানিয়েছেন, পুলিশ এক পক্ষের হয়ে এফআইআর করেছে। কিন্তু ছাত্রদের অভিযোগ নিয়ে কোনো এফআইআর দায়ের করেনি। এরপরেই বিচারপতি ঘোষ শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে পিষ্ট ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়ের অভিযোগ নিয়ে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অশান্তি নিয়ে ১২ মার্চের মধ্যে রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট।
গত শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। তাকে ঘিরে যখন বিক্ষোভ চলছে, সেই সময় মন্ত্রী আহত হন বলে অভিযোগ। জখম হন শিক্ষামন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো দুই পড়ুয়াও। অভিযোগ, দুই পড়ুয়ার মধ্যে এক জনকে চাপা দিয়েছে মন্ত্রীর গাড়ি। অন্য জনের পায়ের উপর দিয়ে গাড়ির চাকা চলে গিয়েছে। সেই থেকেই উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস।
এদিকে, বুধবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে কথা বলতে হবে বলে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এদিনের সময় সীমা শেষ হবার আগেই উপাচার্য অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।