ভারত
ভারতের নাগপুরে দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে নারী পুলিশের শ্লীলতাহানির অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা থেকে
(১ মাস আগে) ১৯ মার্চ ২০২৫, বুধবার, ৫:৪৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৪ পূর্বাহ্ন
ভারতের নাগপুরে খুলদাবাদ থেকে আওরঙ্গজেবের সমাধি সরানোর দাবিতে উগ্র হিন্দু সংগঠনের আন্দোলন সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় পরিণত হয়েছিল। সোমবার সেই সহিংসতার ঘটনায় দাঙ্গা বাজদের বিরুদ্ধে এক নারী পুলিশের ইউনিফর্ম টেনে খোলা এবং হেনস্থার অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
এই সংক্রান্ত এফআইআর অনুসারে, একদল দাঙ্গাবাজ একজন নারী পুলিশ অফিসারের পোশাক খোলার চেষ্টা করে এবং তাকে অশালীনভাবে স্পর্শ করার চেষ্টা করে।
গণেশপেঠ থানায় দায়ের করা এই এফআইআর থেকে জানা গেছে, নাগপুরে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সময় উপস্থিত একদল দাঙ্গাবাজের হাতে একজন কর্তব্যরত নারী পুলিশ অফিসার শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন। অন্যান্য নারী পুলিশের উদ্দেশ্যে নানা প্ররোচনামূলক অশ্লীল কটুক্তি করা হয়েছে।
এফআইআরে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, দাঙ্গাবাজদের দলটি এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উস্কে দেওয়ার লক্ষ্যে উস্কানিমূলক স্লোগান দিচ্ছিল। মোট ৫১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।
তাছাড়া, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের কিছু পদাধিকারীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। নাগপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে শহরের অনেক সংবেদনশীল এলাকায় কারফিউ অব্যাহত রয়েছে বলে বুধবার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
সংবেদনশীল এলাকায় ২,০০০ এরও বেশি সশস্ত্র পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। একইভাবে, একজন ডিসিপি পদমর্যাদার কর্মকর্তার নেতৃত্বে কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) এবং দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ পুলিশ (আরসিপি) এলাকায় টহল দিচ্ছে।
এদিকে মহারাষ্ট্রের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ, রাজ্যের বিপর্যস্ত আর্থিক অবস্থাসহ বিভিন্ন ইস্যু থেকে নজর ঘোরানোর জন্যই আওরঙ্গজেব বিতর্ককে উসকে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস, শরদ পওয়ারের এনসিপি, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা (ইউবিটি) অভিযোগ তুলল, রুটিরুজির সমস্যা থেকে, রাজকোষের করুণ অবস্থা থেকে নজর ঘোরাতেই বিজেপি তিনশো বছর আগের ঔরঙ্গজেবের সমাধি নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছে। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ফডণবীসই প্রথম রাজ্যের খুলদাবাদ থেকে আওরঙ্গজ়েবের সমাধি সরানোর দাবি তুলেছিলেন। লেখিকা রাণা সফভি বলেন, ‘আওরঙ্গজ়েবকে তাঁর ইচ্ছে মতো সাধারণ ভাবে কবরস্থ করা হয়েছিল। তাঁর শরীর কবেই ধুলোয় মিশে গিয়েছে। পরে হায়দরাবাদের নিজ়াম সেখানে মার্বেল পাথরে কাঠামো তৈরি করেছিলেন। সেই কাঠামো সরালে আওরঙ্গজ়েবের কিছু হবে না। অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ৩০০ বছর আগে প্রয়াত কোনও ব্যক্তিকে নিয়ে দেশে আগুন জ্বালানো বন্ধ করতে না পারলে, অনেক দেরি হয়ে যাবে।