ঢাকা, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

ভারত

দাক্ষিণাত্যের দাবি, ভারতে লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস ২৫ বছরের জন্য স্থগিত রাখা হোক

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা

(১ মাস আগে) ২২ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৮:২৫ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৩:০২ অপরাহ্ন

mzamin

ভারতে লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস  নিয়ে দাক্ষিণাত্যের রাজ্যগুলির সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের সংঘাত ক্রমশ তীব্র হয়ে উঠছে। বিরোধীদের অভিযোগ, জাতীয় রাজনীতিতে দাক্ষিণাত্যের কণ্ঠরোধের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার আসন পুনর্বিন্যাসে উদ্যোগী হয়েছে। তামিলনাডু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন এই আসন পুনর্বিন্যাসের বিরুদ্ধে প্রথম থেকে সরব হয়েছেন। বিভিন্ন রাজ্য সরকারকে চিঠি লিখে তিনি এর বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হওয়ার আবেদন জানানোর পাশাপাশি স্বচ্ছতার ভিত্তিতে আসন পুনর্বিন্যাসের দাবিতে  এক বৈঠকের আযোজন করেছিলেন। 

শনিবার চেন্নাইয়ের ‘জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি’র বৈঠকে চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং এক রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আরও ২৫ বছরের জন্য স্থগিত রাখা হোক লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস । এই বৈঠকে হাজির ছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা পিনারাই বিজয়ন, তেলেঙ্গানার কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি, পাঞ্জাবের আপ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। ছিলেন কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারও। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘একতরফা’ উদ্যোগের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পাশাপাশি আইনি প্রতিবিধান চাওয়ার বিষয়েও শনিবার চেন্নাইয়ের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
যৌথ কমিটির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের যে লক্ষ্যমাত্রা, তাতে এখনও পর্যন্ত পৌঁছনো যায়নি। এই পরিস্থিতিতে আসন পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্ত আরও ২৫ বছরের জন্য স্থগিত রাখা হোক। ওই প্রস্তাবে লেখা হয়েছে, যে সমস্ত রাজ্য জন্মহার নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি সফল ভাবে রূপায়িত করতে পেরেছে, তাদের শাস্তি দেওয়া উচিত নয়।

উল্লেখ্য,জনসংখ্যা অনুযায়ী লোকসভায় সাংসদ সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ার কথা। ২০২৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার একতরফা ভাবে আসন পুনর্বিন্যাস করে লোকসভা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিরোধী দলগুলি। তা হলে হিন্দি বলয়ের রাজ্যগুলি থেকে লোকসভার আসনসংখ্যা অনেকটা বাড়বে। পরবর্তী জনসুমারি অনুসারে লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস হলে উত্তর ভারতের তুলনায় দক্ষিণের রাজ্যগুলির সাংসদ সংখ্যা তেমন বাড়বে না। কারণ সেখানকার জন্মহার বৃদ্ধির হার উত্তর ভারতের তুলনায় কম। সে ক্ষেত্রে বিজেপির লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা দেখছে ডিএমকে, সিপিএমের মতো দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের শাসকদলগুলি।

স্ট্যালিনের ডাকা বৈঠকে যোগ দিয়ে  তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত বলেন, উত্তর ভারত আমাদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করতে চাইছে। বিজেপি যদি জনসংখ্যার ভিত্তিতে আসন পুনর্বিন্যাস করে, তবে দক্ষিণ ভারত তার রাজনৈতিক কণ্ঠ হারাবে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন বলেন, আমাদের উপর আসন পুনর্বিন্যাসের খাঁড়া ঝুলছে। মোদী সরকার কারও সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই নিজেদের মতো করে আসন পুনর্বিন্যাস করতে সক্রিয় হয়েছে। এমন পদক্ষেপ সাংবিধানিক বিধি এবং গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থি।

ভারত থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

ভারত সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status