অনলাইন
ড. ইউনূস-মোদির বৈঠক, চিঠির জবাব পায়নি ঢাকা
স্টাফ রিপোর্টার
(৪ সপ্তাহ আগে) ২৩ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ৭:২০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:০৭ অপরাহ্ন

বঙ্গোপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থা বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক চেয়ে কূটনৈতিক পত্র দিয়েছে বাংলাদেশ। এরইমধ্যে চার দিন পার হলেও এখনও দিল্লির কাছ থেকে কোনো উত্তর পায়নি ঢাকা। রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। দিল্লির কাছ থেকে কোনো উত্তর এসেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, কোনো উত্তর আসেনি। আমরা তো মাত্র জানালাম। পাল্টা প্রশ্নে আশা প্রকাশ করছেন কিনা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এই মুহূর্তে আর কিছু নাই।
আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে ব্যাংককে অনুষ্ঠেয় বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক চায় ড. ইউনূস। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বৈঠক হওয়া নিয়ে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। তবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নয়াদিল্লিতে সংসদীয় প্যানেলের একটি বৈঠকে যে তথ্য দিয়েছেন, সেটি ভিন্ন বার্তা দিচ্ছে। জয়শঙ্কর বলেছেন, ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈঠক আয়োজনে বাংলাদেশের অনুরোধ বিবেচনা করা হচ্ছে।
চীনের বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগে (জিডিআই) বাংলাদেশ যুক্ত হওয়ার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। জিডিআইয়ে বাংলাদেশে যুক্ত হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা এখনো নিশ্চিত না। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নাই। তবে এটার অংশ হব কিনা- এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের আগস্টে ঢাকা সফর করেছিলেন চীনের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই (তিনি বর্তমানে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী)। সেই সফরে চীনের প্রেসিডেন্টের গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (জিডিআই) ও গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ (জিএসআই)-এর মতো উদ্যোগে বাংলাদেশকে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। সেই থেকে চীন বাংলাদেশকে জিডিআইয়ে যুক্ত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বেইজিং সফরে কোনো চুক্তি হবে না। তবে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, কোনো চুক্তি সই হবে না, এটা আমি নিশ্চিত। কিছু এমওইউ হতে পারে।
স্থানীয় কূটনীতিকরা বলছেন, সব কিছু ঠিক থাকলে প্রধান উপদেষ্টা ২৬ থেকে ২৯শে মার্চ চীন সফর করবেন। তিনি ২৬শে মার্চ দুপুরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। চীনের হাইনান প্রদেশে অনুষ্ঠেয় বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) সম্মেলনে যোগ দেবেন ড. ইউনূস। সম্মেলনের উদ্বোধনী প্লেনারি সেশনে বক্তব্য দেবেন তিনি। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার চীনের স্টেট কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রিমিয়ার দিং ঝুঝিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে। ২৮শে মার্চ বেইজিংয়ের ‘গ্রেট হল অব দ্য পিপল’-এ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস। একই দিনে হুয়াই কোম্পানির উচ্চ-প্রযুক্তিসম্পন্ন এন্টারপ্রাইজ পরিদর্শন করবেন তিনি। ২৯শে মার্চ চীনের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় পিকিং ইউনিভার্সিটি তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করবে এবং সেখানে তিনি বক্তব্য রাখবেন। পরে বেইজিং থেকে চীনের একটি বিমানে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।
পাঠকের মতামত
ভারতের সাথে সম্পর্কের স্বার্থে বাংলাদেশের উচিত ধীর গতিতে চলে। কি আছে ভারতের সাথে সম্পর্ক করতেই হবে ? যে আছে তাই নিয়ে চলাই ভালো।