ঢাকা, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

ভারত

ভারতের সংসদে তৃণমূল কংগ্রেস

পশ্চিমবঙ্গকে না জানিয়ে কোনও পানি চুক্তি করা যাবে না

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা

(১ মাস আগে) ২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার, ৫:৩৩ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৩ পূর্বাহ্ন

পশ্চিমবঙ্গকে না জানিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা বা তিস্তার পানি নিয়ে কোনও চুক্তি করা যাবে না বলে ভারতের সংসদে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়  দাবি করেছেন, গঙ্গা (ফারাক্কা) চুক্তির ফলে পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষকে সর্বস্ব খোয়াতে হয়েছে। আবার তিস্তার পানির উপর উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলার জীবনযাত্রা নির্ভর করে। তাই ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে কোনও পানিচুক্তি হলে সেটার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। ঋতব্রত আরও বলেন, গত কয়েক বছরে পূর্ব ভারতে নদীর গতিপ্রকৃতি বদলে গিয়েছে। আর সেটার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের উপর। তাই পশ্চিমবঙ্গকে না জানিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা পানি চুক্তি বা গঙ্গা পানি বন্টন চুক্তির নবীকরণ নয়। তৃণমূল  কংগ্রেস সাংসদের দাবি, গঙ্গা  পানি বন্টন চুক্তির জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ সর্বস্ব খুইয়ে গৃহহীন। এই চুক্তির প্রভাব পড়ছে সুন্দরবনের জনজীবনে। এমনকি কলকাতা বন্দরের স্বাস্থ্যও প্রভাবিত হচ্ছে। অভিযোগ, বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি হলেও সেসময় যে ভাবে নিয়মিত গঙ্গায় ড্রেজিং করার কথা ছিল সেটা করা হয় না।  তিস্তা নদী নিয়ে ঋতব্রতর বক্তব্য, এই নদীটির পানিতেই উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলার মানুষের পানীয় পানির চাহিদা পূরণ করা হয়। তাছাড়া উত্তরবঙ্গে সেচের পানিও আসে তিস্তা থেকে। তাই তিস্তার পানি বাংলাদেশের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া উচিত হবে না। ঋতব্রতর সাফ কথা, বাংলাদেশের সঙ্গে কোনওরকম পানি চুক্তিই পশ্চিমবঙ্গের সম্মতি ছাড়া করা উচিত নয়। তাছাড়া ইন্দো ভুটান পানি বন্টন কমিটি গড়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও সরব হন তিনি।

উল্লেখ্য, গঙ্গা পানি বন্টন চুক্তির নবীকরণ হওয়ার কথা ২০২৬ সালে। বাংলাদেশ চাইছে দ্রুত এই চুক্তির নবীকরণ করতে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের  আপত্তি রয়েছে। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। সরাসরি চুক্তির বিরোধিতা না করলেও কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন। এদিকে তিস্তার স্থায়ী জলচুক্তি নিয়েও আপত্তি রয়েছে রাজ্যের।

পাঠকের মতামত

পানিটা কোথাকার। হিমালয় ভারতের নাকি বাংলাদেশ। পানিতে বাঁধ দিয়ে কি লাভ। যারা বাঁধ দেয় তাদের লাভ। আশেপাশের দেশগুলোর এর সাথে জড়িত। ন্যায্য শিষ্যায় সবারই দরকার সবচেয়ে ভালো হয় নদীতে বাঁধ না দেওয়া অথবা পানি না আটকানো প্রকৃতি পানি দিয়েছে মানুষ গাছপালা বেঁচে থাকার জন্য তার কারো একার জন্য নয়। ভবিষ্যতে দেখা যাবে মোদী যে দেশের পাশ দিয়ে গেছে সে পুরোটাই পানি ভোগ করবে বাদ দিবে

Anwarul Azam
২৯ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৩:১১ অপরাহ্ন

ভারত থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

ভারত সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status