বিশ্বজমিন
পাঞ্জাবে সরকারি স্কুলের ৪৪ হাজার শিক্ষকের পদ বাতিল
মানবজমিন ডেস্ক
(৩ সপ্তাহ আগে) ১২ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৭:৪১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:৫৮ অপরাহ্ন

পাকিস্তানের পাঞ্জাবজুড়ে সরকারি স্কুলের ৪৪ হাজার শিক্ষকের পদ বাতিল করা হয়েছে। প্রদেশটির স্কুল শিক্ষা বিভাগের সূত্র মতে, স্কুলগুলোর আউটসোর্সিংয়ের কারণে পদগুলো বাতিল করা হয়েছে। আউটসোর্সিং বলতে বুঝানো হয়েছে, সরাসরি নিয়োগ না দিয়ে বেসরকারি মালিকানায় শিক্ষক নিয়োগ দেয়া। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। এদিকে শিক্ষকরা বলছেন, এমন সিদ্ধান্ত ওই প্রদেশে বেকারত্ব বৃদ্ধি করবে। সূত্র থেকে জানা যায়, শিক্ষা বিভাগ শিক্ষক ও স্কুলের কর্মী মিলে ৪৪ হাজারের বেশি পদ বাতিল করেছে। বর্তমানে হাজার হাজার স্নাতক সম্পন্ন করা শিক্ষার্থী সরকারি স্কুলে নিয়োগ পাওয়ার চেষ্টা করছেন। আর এ সময়েই এমন সিদ্ধান্ত এলো। পাঞ্জাবে সর্বশেষ ২০১৮ সালে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। সাত বছর ধরে শূণ্য পদে নিয়োগের দাবি করে এসেছে শিক্ষকদের ইউনিয়ন। কিন্তু সরকার তাদের দাবি প্রত্যাখান করে।
সরকারি স্কুলগুলোতে প্রায় ১ লাখ শিক্ষকের সংকট আছে। এর কারণে স্কুলগুলোকে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এদিকে শূণ্য পদ পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় শুধু শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাতেই প্রভাব পড়ছে এমন না, বরং তরুণদের মাঝেও বাড়ছে হতাশা। পাঞ্জাবের স্কুল শিক্ষা বিষয়ক বিভাগ শিক্ষকদের পদ বাতিল করে তাদেরকে অন্য প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ পর্যন্ত পাঞ্জাবের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে পরিচালনা করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, এ সিদ্ধান্ত স্কুল শিক্ষা বিভাগ ও শিক্ষা বিষয়ক কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আরও জানানো হয়, আউটসোর্স করা স্কুলের জন্য শিক্ষক নিয়োগ করা হবে না। এছাড়া শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দকৃত পোস্টগুলো বাতিল ঘোষণা করা হবে। এমফিলের এক শিক্ষার্থী আমারা রশিদ বলেন, শিক্ষকদের পদ বাতিল করার সিদ্ধান্ত অতিশয় বেদনাদায়ক। আমরা দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষায় ছিলাম কবে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। তিনি আরও বলেন, বড় সংখ্যার একদল তরুণ-তরুণী সাত বছরে তাদের চাকরির বয়সসীমা অতিক্রম করে ফেলেছেন। প্রাদেশিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নুরুল হুদা বলেন, যারা আউটসোর্স করা স্কুলগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন তারাই শিক্ষক নিয়োগ করবেন।