বিশ্বজমিন
পুতিনের ওপর হতাশ ট্রাম্প
মানবজমিন ডেস্ক
১৩ এপ্রিল ২০২৫, রবিবারইউক্রেনে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে সামনে অগ্রসর হওয়ার যখন আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, তখন তার বিশেষ দূত স্টিফ উইটকফ শুক্রবার সেইন্ট পিটার্সবার্গে সাক্ষাৎ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। ক্রেমলিন বলেছে, এই মিটিং স্থায়ী হয়েছে কমপক্ষে চার ঘণ্টা। এতে ইউক্রেন সমস্যার সমাধানের দিকেই মূলত দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল। এটা ছিল পুতিনের সঙ্গে এ বছর উইটকফের তৃতীয় বৈঠক। সর্বশেষ এই বৈঠককে ফলপ্রসূ বলে আখ্যায়িত করেছেন পুতিনের বিশেষ দূত কিরিল দমিত্রিয়েভ। তবে আলোচনা নিয়ে পুতিনের ওপর হতাশা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। শুক্রবার তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, রাশিয়াকে এগিয়ে আসতেই হবে। বহু মানুষ মারা যাচ্ছেন। সপ্তাহে কয়েক হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন। এটা ভয়াবহ ও কাণ্ডজ্ঞানহীন এক যুদ্ধ। ওদিকে ইউক্রেনে ট্রাম্পের বিশেষ দূত কিথ কেলোগ ওই দেশটিকে বিভক্ত করার পরামর্শ দেয়ার কথা প্রত্যাখ্যান করেছেন। দ্য টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কেলোগ বলেছেন, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে ‘রিঅ্যাস্যুরেন্স ফোর্স’ হিসেবে বৃটিশ ও ফরাসি সেনারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তিনি আরও বলেন, ওই সময়ে রাশিয়ার সেনারা দখলীকৃত পূর্বাঞ্চলে অবস্থান করতে পারে। তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বার্লিনে যেমনটি ঘটেছিল, এখানেও তেমন ঘটতে পারে। কিন্তু পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেলোগ দাবি করেছেন যে, ওই রিপোর্টে তাকে ভুলভাবে উত্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি বলতে চেয়েছি যুদ্ধবিরতি পরবর্তীতে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে সুরক্ষিত করার স্থিতিস্থাপক শক্তির বিষয়ে। আমি ইউক্রেনকে ভাগ করার কথা বলিনি। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করেনি হোয়াইট হাউস বা কিয়েভ। ওদিকে কিয়েভকে ২১০০ কোটি ইউরো বা ২৪০০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা দিতে রাজি হয়েছে ইউরোপিয়ান দেশগুলো। এক অনুষ্ঠানে ইউরোপের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধের কোনো লক্ষণ তারা দেখতে পাচ্ছেন না। পুতিন-উইটকফ বৈঠকের আগে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দমিত্রি পেসকভ বলেন, বড় কোনো ব্রেকথ্রু আশা করা উচিত হবে না। সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক গতিতে চলছে। পুতিন এবং ট্রাম্পের মধ্যে আলোচনার কোনো তারিখ আসতে পারে কিনা ওই বৈঠক থেকে। এমন জিজ্ঞাসার জবাবে পেসকভ বলেন, দেখা যাক। এটা নির্ভর করে উইটকফ কী সঙ্গে নিয়ে এসেছেন তার ওপর।