বিশ্বজমিন
ন্যাশনাল হেরাল্ডের সম্পত্তি অধিগ্রহণে নোটিশ ইডি’র
মানবজমিন ডেস্ক
(৩ সপ্তাহ আগে) ১২ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৮:৪৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:১৭ অপরাহ্ন

ভারতে ন্যাশনাল হেরাল্ডের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি দখল নিতে নোটিশ দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এ বিষয়ে নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা। তারা বলেছে, সব মিলিয়ে ৬৬১ কোটি রুপির অস্থাবর সম্পত্তির দখল নিতে চলেছে তারা। দিল্লি ও লখনৌয়ে ন্যাশনাল হেরাল্ড ও অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেডের (এজেএল) দপ্তর এরই মধ্যে খালি করে দিতে বলা হয়েছে। মুম্বইয়ের ভাড়াটেকে বলা হয়েছে, তারা যেন ভাড়ার টাকা ইডির কাছে জমা দেয়। এ নিয়ে সহযোগী একটি মিডিয়ার খবরে বলা হয়, প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট বা বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইনের (পিএমএলএ) অষ্টম অনুচ্ছেদের ৫(১) ধারায় ইডি শুক্রবার এই ব্যবস্থা নিয়েছে। ২০২৩ সালে এই অস্থাবর সম্পত্তি ইডি বাজেয়াপ্ত করেছিল। ইডি ওই সম্পত্তি দখল করা নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার সম্পত্তি নিবন্ধকদেরও নির্দেশ পাঠিয়েছে। ন্যাশনাল হেরাল্ড খবরের কাগজ স্বাধীনতাসংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত।
জওহরলাল নেহরু ১৯৩৮ সালে এই কাগজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পত্রিকাটির প্রকাশক ছিল এজেএল। এর শেয়ারহোল্ডার ছিলেন ৫ হাজার স্বাধীনতাসংগ্রামী। ওই সংস্থা ইংরেজিতে ন্যাশনাল হেলারল্ড ছাড়া হিন্দিতে প্রকাশ করতো নবজীবন ও উর্দুতে কৌমি আওয়াজ। কংগ্রেস দল ২০০৮ সাল পর্যন্ত ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা প্রকাশ করেছে। কিন্তু ওই বছর আর্থিক কারণে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। ২০১৬ সালে তা ডিজিটাল সংস্করণে প্রকাশ শুরু হয়। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রমানিয়াম স্বামী। তার অভিযোগ, গান্ধী পরিবার কংগ্রেস দলের তহবিল ব্যবহার করে এজেএলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করেছে। ২০০৮ সালে কাগজটি বন্ধ হওয়ার সময় এজেএলের ঋণ ছিল ৯০ কোটি রুপি। এই দেনার প্রায় পুরোটাই ছিল কংগ্রেসের কাছ থেকে নেয়া ঋণ।
সেই সময় ইয়ং ইন্ডিয়ান নামে এক সংস্থা এজেএল অধিগ্রহণ করে মাত্র ৫০ লাখ টাকায়। ইয়ং ইন্ডিয়ান সংস্থার ৩৮ শতাংশ করে শেয়ার ছিল সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর। বাকি ২৪ শতাংশ ছিল তৎকালীন কংগ্রেস নেতা মোতিলাল ভোরা, অস্কার ফার্নান্ডেজ, সুমন দুবে ও স্যাম পিত্রোদার। ওই অধিগ্রহণের ফলে এজেএলের ৯০ কোটির দেনাসহ সব সম্পত্তির মালিক হয় ইয়ং ইন্ডিয়ান। এরপরই কংগ্রেস জানায়, ন্যাশনাল হেরাল্ডকে দেয়া ৯০ কোটির ঋণ মওকুফ করে দেয়া হচ্ছে। কারণ, তা ফেরত পাওয়ার অন্য কোনো উপায় নেই।