বিশ্বজমিন
‘গঠনমূলক’ আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ধাপের আলোচনা
মানবজমিন ডেস্ক
(৩ সপ্তাহ আগে) ১৩ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৯:৩৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:২৮ অপরাহ্ন

পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ওমানে বৈঠক করেছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় শনিবার ওমানে প্রথম ধাপের আলোচনা শেষ করেছে দুই দেশ। ২০১৮ সালের পর তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ পর্যায়ের কোনো বৈঠক। উভয় দেশই এই আলোচনাকে ‘গঠনমূলক’ বলে বর্ণনা করেছে। নিশ্চিত করেছে যে, আগামী সপ্তাহে পরমাণু ইস্যুতে দ্বিতীয় ধাপের বৈঠকে বসবে তারা। এক্ষেত্রে সরাসরি আলোচনাকে প্রাধান্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যার মাধ্যমে তারা পারমাণু নিয়ে একটি সম্ভাব্য চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে বলা হয়, ২০১৮ সালে বিশ্বের পরাশক্তি রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে করা ইরানের পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এরপর থেকে নতুন করে তেহরানের সঙ্গে ‘আরও ভালো’ চুক্তির ওপর জোর দিয়ে আসছেন তিনি। প্রথম ধাপের এই আলোচনা সম্ভাব্য চুক্তির জন্য বেশ ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আড়াই ঘন্টাব্যাপী বৈঠকের প্রথম ধাপ ছিল সংক্ষিপ্ত। জানা গেছে, উভয় পক্ষই একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল এবং তারা আগামী সপ্তাহে দ্বিতীয় দফায় বসতে সম্মত হয়েছে।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী অনুযায়ী শনিবার ওমানের মাসকাটে পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনায় বসে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের প্রস্তাব ছিল তেহরানের সঙ্গে তারা সরাসরি বৈঠক করবে। তবে তাতে রাজি হয়নি ইরান। তারা ওমানকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে প্রস্তাব করে। ফলত পরমাণু ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যস্থতায় ছিল ওমানের উচ্চ পর্যায়ের কূটনীতিকরা।
প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার পর এটি ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। আলোচনায় ইরানের প্রতিনিধিত্ব করেছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। তিনি বৈঠক সম্পর্কে ইতিবাচক রায় দিয়েছেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলকে বলেছেন, প্রথম বৈঠক হিসেবে এটি বেশ গঠনমূলক ছিল যা খুবই শান্তিপূর্ণ এবং সম্মানজনক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে কোনো অসঙ্গত ভাষা ব্যবহার করা হয়নি। আরাগচির কূটনৈতিক সুর থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, ট্রাম্পের হুমকিমূলক কোনো বাক্য ব্যবহার করেননি তার দূত স্টিভ উইটকফ। ট্রাম্প বলেছিলেন, এই সংলাপ সফল না হলে ইরানকে ‘বড় বিপদের’ সম্মুখিন হতে হবে। তেহরানকে লক্ষ্য করে বারবার সামরিক হামলার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বৈঠকটি পৃথক কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উভয় পক্ষের মধ্যে বার্তা প্রেরক হিসেবে ছিলেন ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর বিন হামাদ আল বুসাইদি।