ঢাকা, ১৩ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৪ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

খেলা

জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথমবার ভ্রাম্যমাণ আদালত

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৩ মে ২০২৫, মঙ্গলবার
mzamin

দেশের প্রধান ক্রীড়া স্থাপনা জাতীয় স্টেডিয়াম যেন ময়লার ভাগাড়। স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সেও চারপাশে মাদক ব্যবসায়ীদের উৎপাত। প্রায় সব ফেডারেশনের কার্যালয় ও ক্রীড়া স্থাপনা এই আঙ্গিনায় অবস্থিত। অথচ এখানে নেই ক্রীড়ার সুন্দর পরিবেশ। যত্রতত্র অস্থায়ী দোকান, গাড়ি পার্কিং, দোকানের মালামালে ফুটপাথে স্বাভাবিক হাঁটা-চলাই যেন দায়। স্টেডিয়ামের ক্রীড়া পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে গতকাল প্রথমবারের মতো মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোসামৎ ইসরাত মোবাইল কোর্টের নেতৃত্ব দেন। এ সময় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, এনডিসি’সহ দুই পরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

হকি, ভলিবল ও কাবাডিসহ পুরো স্টেডিয়াম এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অনেক দোকানের নির্ধারিত জায়গা থেকে সামনেও অনেক মালামাল ছিল। সেগুলো তাৎক্ষণিক সরানোর নির্দেশের পাশাপাশি আগামী দিনে এর পুনরাবৃত্তি হলে মাল ক্রোক ও জরিমানার হুঁশিয়ারী দেন বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেস ইসরাত। স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ইসরাত বলেন, ‘আজকের মোবাইল কোর্ট মূলত সচেতনতামূলক। তাই আজ (গতকাল) কাউকে জরিমানা করা হয়নি। আমরা এটি অব্যাহত রাখব এবং সামনে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করব। স্টেডিয়াম এলাকায় দর্শক এবং ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা যেন সুন্দর পরিবেশে যাতায়াত করতে পারেন সেটা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ।’ স্টেডিয়ামে এই অব্যবস্থাপনা এবং নির্ধারিত দোকানের চেয়ে অতিরিক্ত জায়গা দখলের সঙ্গে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর জড়িত থাকার অভিযোগ ক্রীড়াঙ্গনে বহু পুরনো। গতকালের মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় সেই প্রশ্ন আবারও সামনে এসেছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কারো এই সংক্রান্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্টতা থাকলে বা প্রমাণিত হলে ক্রীড়া পরিষদের চাকুরি বিধিমালা অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা হবে।’ স্টেডিয়ামে ক্রীড়া পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে মোবাইল কোর্টের ক্ষমতা চেয়ে চিঠি দিয়েছিল মাস সাত-আটেক আগে। নানা প্রক্রিয়া ও চিঠি চালাচালির পর অবশেষে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও মন্ত্রণালয়ে থাকা চার অ্যাডমিন ক্যাডার কর্মকর্তার অনুকূলে স্টেডিয়াম এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষমতা দেওয়া হয়।

এই প্রক্রিয়াকরণ ও অনুমতি আসার মধ্যে চার জনের মধ্যে তিন জন অন্য দপ্তরে বদলি হয়েছেন। এখন শুধু ইসরাতই রয়েছেন। তার নেতৃত্বেই স্টেডিয়াম এলাকায় প্রথবারের মতো মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। এর আগে স্টেডিয়াম প্রশাসক ও এনএসসি কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। আশি-নব্বইয়ের দশকে এনএসসি’র তৎকালীন পরিচালক মেজর এনাম স্টেডিয়ামের দোকানপাট নিয়ন্ত্রণে মাঝে মধ্যে একক ভূমিকা পালন করতেন। 
 

খেলা থেকে আরও পড়ুন

খেলা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status