ঢাকা, ১৩ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৪ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

জুলাই অভ্যুত্থান: শরিকদের মধ্যে অস্থিরতা

অনলাইন ডেস্ক

(৫ ঘন্টা আগে) ১৩ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯:৪৭ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১:৪৮ অপরাহ্ন

mzamin

আজকের পত্রিকা

দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘জুলাই অভ্যুত্থান: শরিকদের মধ্যে অস্থিরতা’। খবরে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলন শেষ পর্যন্ত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পরিণত হয়। গত জুলাইয়ের এই অভ্যুত্থানে অনেক দল, সংগঠন, প্ল্যাটফর্ম, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রেখেছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার পতনের পর বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে দূরত্ব ও অস্থিরতা দিন দিন বাড়ছে। সরকারের উপদেষ্টা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতাদের বক্তব্য, স্লোগান ও আলাপচারিতায় তা প্রকাশ পাচ্ছে।

আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসতে আসতে সংস্কারের নানা ইস্যু, ভোটের সময়সীমাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে অভ্যুত্থানের অংশীজনদের মধ্যে এই দূরত্ব আরও বাড়বে—এমনটা মনে করছেন সংগঠনগুলোর নেতারা।

জুলাইয়ের আন্দোলনে অংশীজনদের অনেকে মনে করছেন, শেখ হাসিনার পতনের পরপরই এতে বড় দল বিএনপির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরিবর্তে ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানকে বড় করে দেখানোর পর থেকে দলটির সঙ্গে আন্দোলনের তরুণ নেতৃত্বের দূরত্ব তৈরি শুরু হয়। এরপর ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ তৈরি, নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আত্মপ্রকাশ, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের চেষ্টা, গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ নেওয়ার আগে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূসের নিয়োগের বিষয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের কথিত আপত্তির দাবি করে ভিডিও প্রকাশসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ধীরে ধীরে বিভিন্ন অংশীজনের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, জুলাইয়ে গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগকে সরাসরি নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করার দাবিতে এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর ডাকে সর্বশেষ ঢাকায় মিন্টো রোড ও শাহবাগে যে বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছে, তা সরকারের ওপর চাপ তৈরির জন্যই করা। এ কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য প্রকাশ্য ও অনানুষ্ঠানিক অনুরোধ করা হয় বিএনপিকে। জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠন এনসিপির কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে। কিন্তু দুই দিন চলা এই আন্দোলনে শেষ পর্যন্ত বিএনপির কেউ যাননি।

বিএনপি নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে তেমন মতভেদ না থাকলেও এনসিপির কর্মসূচিতে গিয়ে সংহতি প্রকাশ করা থেকে বিএনপি বিরত থেকেছে মূলত সাবধানতা হিসেবে। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ, নতুন সংবিধান প্রণয়নের দাবি ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে বিতর্কিত করার চেষ্টাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে এনসিপির সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব তৈরি হয়েছে। বিএনপি আগেই সরকারকে জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের মতো দলকে নিষিদ্ধ করা আইনি ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় হতে হবে। এ কারণে অন্য দলের কর্মসূচিতে যাওয়া দরকার মনে করেনি তারা।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. সাব্বির আহমেদ মনে করেন, ‘সব বিষয়ে ঐকমত্য থাকবে না, ভিন্নমত থাকবে, এটা স্বাভাবিক। যেমন নতুন সংবিধান হবে কি না, গণপরিষদ কীভাবে গঠিত হবে, সে বিষয়ে দলগুলোর ভিন্নমত আছে। এই ভিন্নমতের বিষয়গুলো যদি আলোচনার টেবিলে সমাধান না করে সরকার চাপিয়ে দিতে চায়, তাহলে দূরত্ব বাড়বে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই অধ্যাপক গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, যে বিষয়গুলো দূরত্ব তৈরির কারণ হিসেবে সামনে আসছে, তার বেশির ভাগই আলোচনার টেবিলে সমাধান করা যেত। তিনি বলেন, ‘সবকিছু রাস্তায় নিয়ে যাওয়া ঠিক নয়। সবকিছু চাপ দিয়ে করানোও ঠিক নয়।’

বিশ্লেষকেরা বলছেন, যেসব ইস্যুতে মতভেদ থেকে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে, তা প্রকাশ্য ও নেপথ্যের আলোচনায়ই হয়তো সমাধান করা যেত। তা না করে চাপ তৈরির জন্য রাস্তায় আন্দোলনের আবহ তৈরি করা, একই সঙ্গে এসব কর্মসূচি সুযোগে নিজেদের মতো চাপিয়ে দিতে অন্য দলের চেষ্টা করা অনেকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না।

জামায়াতে ইসলামীর নাম উল্লেখ না করে সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম গত রোববার এক ফেসবুক পোস্টে যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। জামায়াতে ইসলামীর ওপরের সারির এক নেতা এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে জানান, দলের ভেতরে বেশ কথা হচ্ছে বিষয়টি নিয়ে। জামায়াত বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি।

ফেসবুক পোস্টে মাহফুজ আলম বলেছিলেন, একাত্তরের প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে। যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে। বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে।...জুলাইয়ের শক্তির মধ্যে ঢুকে সাবোটাজ করা বন্ধ করতে হবে। সাফ দিলে আসতে হবে।’

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগের কর্মসূচিতে জাতীয় সংগীত থামাতে বলা এবং স্লোগানে ‘গোলাম আযমের বাংলাদেশ’ উচ্চারণের ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর মাহফুজ আলম ফেসবুকে বিবৃতিটি দেন।

একই বিষয়ে এনসিপি গতকাল সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। দলটি বলছে, ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, মত, পক্ষ এবং সাধারণ ছাত্র-জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিলেও একটি পক্ষ সচেতনভাবে দলীয় স্লোগান এবং বাংলাদেশের জনগণের ঐতিহাসিক সংগ্রামবিরোধী স্লোগান দিয়েছে; যা জুলাই-পরবর্তী সময়ে সাম্প্রতিক আন্দোলনে জাতীয় ঐক্য নবায়নের সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টিতে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে।

জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে থাকা প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমাবেশ ঘটেছে বিভিন্ন মত ও পথের তরুণদের। তাঁদের নেতাদের একটি বড় অংশ নিয়ে এনসিপি ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ গঠন করা হয়েছে। তবে উমামা ফাতেমাসহ কয়েকজন নেতা আলাদা করে ছাত্র আন্দোলন টিকিয়ে রাখেন। অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের এমন কয়েকজন সাবেক নেতা পরে ‘আপ বাংলাদেশ’ নামে আলাদা সংগঠন তৈরি করেন।

জুলাই অভ্যুত্থানে ঐক্যবদ্ধ শক্তিগুলো বিভক্ত হচ্ছে কি না জানতে চাইলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা নানান কারণে হয়। প্রত্যেকের তো আলাদা আলাদা অ্যাজেন্ডা তৈরি হয়েছে। সেটার ভিত্তিতে ভিন্নমত হয়।’

সারোয়ার তুষার আরও বলেন, ‘ভিন্নমত সমস্যা না। ভিন্নমত গণতন্ত্রের জন্য ভালো। তবে এটা বিরোধিতা কিংবা মুখোমুখি অবস্থানে না গেলেই হয়। এদের মধ্যে আবার কিছু কমন জায়গাও আছে; যেমন আওয়ামী লীগ প্রশ্ন, সংস্কার। আমরা এমন কিছু কমন জায়গা তৈরি করে নিলে ভালো।’

নির্বাচন ঘনিয়ে এলে এই ‘মতভিন্নতা’ বাড়তে পারে কি না—এমন প্রশ্নে সারোয়ার তুষার বলেন, ‘সব ঐক্য তো নির্বাচনমুখী না। নির্বাচনের আগে একধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে, বাগ্‌বিতণ্ডা থাকবে। সকল পক্ষই সহনশীলতা দেখিয়েছে। একই কারণে বাগ্‌বিতণ্ডা বড় আকার নেবে না।’

প্রথম আলো

অনতিবিলম্বে ‘পুশ ইন’ বন্ধ চায় ঢাকা, দিল্লিকে চিঠি-এটি দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ‘পুশ ইনের’ (ঠেলে পাঠানো) ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের কাছে কূটনৈতিক পত্র দিয়েছে বাংলাদেশ। অনতিবিলম্বে পুশ ইন বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে ৯ মে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।

৭ ও ৮ মে পুশ ইন করার পর বাংলাদেশ ওই কূটনৈতিকপত্র পাঠায়। যদিও ২০০ থেকে ৩০০ ব্যক্তিকে খাগড়াছড়ি জেলার সীমান্তে জড়ো করা হয়েছে বলে জানা গেছে। যাদের মধ্যে ৭৮ জনকে ৯ মে বিএসএফ একটি জাহাজে করে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত মান্দারবাড়িয়া চরে ফেলে গেছে।

গতকাল সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভাতেও পুশ ইনের বিষয়টি ওঠে। সভায় উপস্থিত ছিলেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। পরে তিনি পুশ ইন নিয়ে সাংবাদিকদের জানান।

বিজিবি মহাপরিচালক জানান, ৭ ও ৮ মে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ২০২ জনকে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ ইন করেছে। সীমান্তের এসব জায়গায় জনবসতি নেই। তিনি বলেন, ‘সীমান্তের প্রতিটি স্থান তো ফিজিক্যালি অকুপাই করে রাখা যায় না। যে জায়গায় কেউ (লোকজন) ছিল না, এ রকম সুযোগে (পুশ ইন) করেছে।’

যুগান্তর

দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘আ.লীগের নিবন্ধন স্থগিত’। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার রাতে ইসির জরুরি বৈঠকে দলটির নিবন্ধন স্থগিতের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে বিকালে আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। ওই প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতে ইসি শুধু আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে। দলটির সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো ইসিতে নিবন্ধিত না হওয়ায় ওইসব সংগঠনের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ইসির কর্মকর্তারা জানান, নিবন্ধন স্থগিত থাকাবস্থায় জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ। এর আগে কয়েকটি দলের নিবন্ধন বাতিল হলেও এবারই প্রথম কোনো দলের নিবন্ধন স্থগিত করল ইসি।

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন কার্যক্রম স্থগিত করার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। সোমবার রাতে নির্বাচন ভবনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গেজেট নোটিফিকেশন জারি করেছি।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ ৬ নম্বরে রয়েছে। দলটি ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর নিবন্ধন পায়। বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৪৯টি।

কালের কণ্ঠ

দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার খবর ‘পুলিশের হাতে থাকবে না মারণাস্ত্র, র‌্যাব পুনর্গঠনে কমিটি’। খবরে বলা হয়, পুলিশের হাতে আর মারণাস্ত্র না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অস্ত্র শুধু আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যদের কাছেই থাকবে। অন্যদিকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) নাম ও পোশাক পরিবর্তনের বিষয়ে সুপারিশ করতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি ঠেকাতে প্রতিটি গরুর হাটে আনসার মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সোমবার সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এসব তথ্য জানান। এ সময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মিছিল বা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পুলিশের হাতে যাতে কোনো মারণাস্ত্র না থাকে। যাদের কাছে এখন আছে, সেগুলো জমা দিতে হবে।

পুলিশ সদস্যদের কাছে রাইফেল থাকবে। অস্ত্র শুধু আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যদের হাতে (মারণাস্ত্র) থাকবে, কারণ তাদের কাজ অন্যান্য পুলিশের চেয়ে আলাদা।’

আওয়ামী লীগ চেষ্টা করলে : আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারির পর আপনাদের কার্যক্রম কী হবে? জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রজ্ঞাপনের ইনস্ট্রাকশন অনুযায়ী আমরা কাজ করব। আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের ওপর আপনাদের নজরদারিটা কি থাকবে—এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সেদিন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বিস্তারিত বলেই দিয়েছেন কী ধরনের কার্যক্রম নেওয়া হবে।

সমকাল

‘নিবন্ধন স্থগিত, ভোটে যেতে পারছে না আওয়ামী লীগ’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার পর এবার নির্বাচন থেকেও ছিটকে পড়ল আওয়ামী লীগ। গতকাল সোমবার রাতে দলটির নিবন্ধন স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।

এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকলে জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলগতভাবে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকবে না জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত দলটির। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গেজেটে আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। ফলে ইসি কোন আইনের অধীনে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে– তা স্পষ্ট নয়।  

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল বিকেলে গেজেট প্রকাশের পরপরই রাজধানীর আগারগাঁওয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে জরুরি কমিশন সভা বসে। সাড়ে তিন ঘণ্টারও বেশি বৈঠকের পর রাত সোয়া ৯টায় ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘আপনারা জানেন, আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, তার অঙ্গসংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। এর ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কীসের ভিত্তিতে নিবন্ধন স্থগিত করা হলো– জানতে চাইলে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যে প্রজ্ঞাপন, তার ধারাবাহিকতায় আমরা এটা করেছি।’

ইত্তেফাক

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর ‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করে না’। প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন অন্য কোনো রাজনৈতিক দল বা মুক্তমতের মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করে না বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল সোমবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক বিবৃতিতে এই কথা বলা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধসংক্রান্ত ১২ মে প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয় বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে। সন্ত্রাসবিরোধী

আইনের আওতায় এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ঐ আইন ও প্রজ্ঞাপন অনুসারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ (এবং এর সকল অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন) কর্তৃক যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা সংগঠনগুলোর নেতাকর্মী ও সদস্যদের জন্য প্রযোজ্য হবে। তবে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঐ প্রজ্ঞাপন অন্য কোনো রাজনৈতিক দল বা মুক্তমতের মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ কুন্ন করে না। আওয়ামী লীগ, এর কোনো কর্মকান্ড, দলটি সম্পর্কে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের যৌক্তিক, গঠনমূলক বা আইনানুগ বিশ্লেষণ বা মতামত প্রদান এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে খর্ব করা হয়নি বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।  

বণিক বার্তা

‘আওয়ামী লীগের খবর প্রকাশ করলে দুই থেকে সাত বছর শাস্তি’-এটি বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ‘সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর গেজেট প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী, ২০০৯ সালের ১৬ নং আইনের ধারা ২০-এর (খ) উপধারা (১)-এর দফা (ঙ)-তে বলা হয়েছে, ‘উক্ত সত্তা কর্তৃক বা উহার পক্ষে বা সমর্থনে যে কোন প্রেস বিবৃতির প্রকাশনা বা মুদ্রণ কিংবা গণমাধ্যম, অনলাইন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য যে কোন মাধ্যমে যে কোন ধরনের প্রচারণা, অথবা মিছিল, সভা-সমাবেশ বা সংবাদ সম্মেলন আয়োজন বা জনসম্মুখে বক্তৃতা প্রদান নিষিদ্ধ করিবে।’

নতুন এ আইনের ফলে আওয়ামী লীগের খবর প্রচার করা হলে গণমাধ্যমও শাস্তির আওতায় পড়বে বলে মত প্রকাশ করেছেন আইনজীবীরা। একই সঙ্গে ইতিহাস লেখার ক্ষেত্রেও আওয়ামী লীগের অতীতের সঙ্গে বর্তমানে দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ আছে সেটি উল্লেখ করতে হবে। তার পরও এ আইনের আওতায় গণমাধ্যমকর্মীদের হয়রানি করার শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন তারা।

গণমাধ্যম আওয়ামী লীগের খবর প্রকাশ করলে শাস্তির আওতায় পড়বে মন্তব্য করে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বণিক বার্তাকে বলেন, ‘সত্তা ও সংগঠন আসলে একই জিনিস। সত্তার ইংরেজি বলছি এনটিটি। রাজনৈতিক দলও একটি এনটিটি। ফলে এনটিটিকে নিষিদ্ধ করার বিষয় আগে থেকেই সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ ধারায় বলা আছে। তবে আগে কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিষয় ছিল না। তখন কার্যালয় বন্ধসহ আরো কিছু বিষয় ছিল। এখন নতুন করে তাদের কর্মকাণ্ড বন্ধের বিষয়টি এল। ফলে আওয়ামী লীগের কোনো খবরই আর গণমাধ্যম প্রকাশ করতে পারবে না।’

ডেইলি স্টার

দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রথম পাতার খবর ‘Activities of AL, affiliates banned’ অর্থাৎ ‘আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ’।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের সময় হত্যা, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং অন্যান্য গুরুতর অপরাধের অভিযোগে সরকার গতকাল আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোর সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই দলটির নিবন্ধনও স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলটি এবং এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ সুনির্দিষ্ট। একইসাথে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

তাৎক্ষণিকভাবে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকার এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এবং সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ ব্যবহার করেছে।

দেশ রূপান্তর

দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘গুম কমিশনে জমা ১৮০০ অভিযোগ’। খবরে বলা হয়, ‘গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনে’ এ পর্যন্ত ১ হাজার ৮০০ এর বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। কমিশনের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।

গতকাল রাজধানীর গুলশানে কমিশনের কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা রবার্ট এফ কেনেডির (আরএফকে) উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাতে এলে এ কথা বলেন কমিশনের সভাপতি।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটির সভাপতি কেরি কেনেডির নেতৃত্বে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড লিটিগেশন) অ্যানজেলিটা বেয়েনস এবং অ্যাটর্নি স্টাফ (এশিয়া) ক্যাথরিন কুপারের সমন্বয়ে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী তাদের স্বাগত জানান এবং কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। কমিশনের সভাপতি বলেন, কমিশনে এখন পর্যন্ত ১৮০০ এর বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে এবং সবগুলো অভিযোগ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করছে কমিশন। ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে কমিশনের সদস্য মো. নূর খান, মো. সাজ্জাদ হোসেন ও ড. নাবিলা ইদ্রিস উপস্থিত ছিলেন।

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

‘দ্য উইক’ ম্যাগাজিনে তারেক রহমানকে নিয়ে কাভার স্টোরি/ ‘নিয়তির সন্তান’

১০

বৃটেনে ইমিগ্রেশন আইনে পরিবর্তন/ ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন স্টারমার

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status