ঢাকা, ১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

কোন দিকে যাচ্ছে রাজনীতি

অনলাইন ডেস্ক

(১০ ঘন্টা আগে) ১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৭:২০ অপরাহ্ন

mzamin

বাংলাদেশ প্রতিদিন

দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতার খবর ‘কোন দিকে যাচ্ছে রাজনীতি’। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের রাজনীতি কোন দিকে যাচ্ছে। ভোটের সমীকরণই কী হবে? নির্বাচনি মাঠে নিজ নিজ সুবিধা নিশ্চিত করতে কে কাকে পাশে টানবে, কে কার সঙ্গে জোট বাঁধবে, এ নিয়ে রাজনীতির অন্দরে চলছে নানা মেরূকরণ। হিসাবনিকাশ ভিন্ন হলেও সবার লক্ষ্য এক ও অভিন্ন। সবার উদ্দেশ্যই ক্ষমতা ভাগাভাগির দরকষাকষিতে ভোটের আগে নিজেদের শক্তিশালী অবস্থান। শিগগিরই পর্দার অন্তরালে ঘটতে যাচ্ছে অনেক কিছু। যার তৎপরতা ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনি রোডম্যাপ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর চাপ আরও বাড়তে চলেছে। রাজনৈতিক দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতা এবং বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নয়া মেরুকরণের পথে হাঁটছে দেশের রাজনীতি। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি- তিনটি দলই ভিন্ন ভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে ঐক্য গড়ার চেষ্টা করছে। তবে এ কার্যক্রমে দলগুলো আবার সচেতনভাবেই এড়িয়ে চলছে একে অপরকে। ফলে কে কার পক্ষে তা নিয়ে এক ধরনের প্রচ্ছন্ন লড়াই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে দলগুলোর ভিতরে।

দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিত হওয়ার পর এখন আর মাঠে নেই আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে রাজনীতির হাওয়া মোড় দিচ্ছে নানান দিকে। নতুন মেরুকরণের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভোটের ও মাঠের রাজনীতিতে বিএনপি এখন দেশের অপ্রতিদ্বন্দ্বী জায়গায় রয়েছে। জামায়াতে ইসলামী ও নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে দৃশ্যত বর্তমানে কিছুটা দ্বন্দ্ব দেখা গেলেও সেটি কৃত্রিম কিংবা কত দূর যাবে তা সামনের পরিস্থিতি বলে দেবে। এবি পার্টির সঙ্গে এনসিপিসহ বেশ কয়েকটি দলের জোট হতে পারে। আবার বিএনপিও কাছে টানতে পারে তাদের সবাইকেই। অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি ইসলামপন্থি দলের মধ্যেও ‘নির্বাচনি সমঝোতা’র লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। বাম ঘরানার রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও একটা ঐক্য তৈরি হতে পারে নিজেদের ভিত শক্ত করতে। যাতে শেষ পর্যন্ত বড় দলের সঙ্গে দরকষাকষিটা ভালোভাবে করা যায়।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের গণ অভ্যুত্থান নিয়ে বিএনপি ও এনসিপির অবস্থান এখন অভিন্ন। এমনকি বিএনপির সঙ্গে এনসিপির জোট গঠন নিয়েও রয়েছে নানা আলোচনা। সম্প্রতি আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করা এবং জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করার দাবিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ‘আপত্তিকর’ স্লোগান নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের বক্তব্য হলো, “শাহবাগ ও যমুনার সামনে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন হতে পারত। কিন্তু সেই শাহবাগে যদি জাতীয় সংগীত গাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা আসে, বিএনপিকে কেউ কেউ ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে চায়, কেউ যদি বলে ‘গোলাম আযমের বাংলায়’-এ কথাগুলো আমাদের মনের মধ্যে দাগ কাটে। এটা হয় না। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম করেছি। তাহলে কেন, কী কারণে শাহবাগে কারও কারও উপস্থিতিতে এ ধরনের স্লোগান হয়? তখন বুঝতে হবে, কে কী চায়, কাদের মধ্যে দেশপ্রেম আছে। এটা বিচার-বিশ্লেষণের সময় কিন্তু এখন।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের গণ অভ্যুত্থান- এই দুই ইস্যুতে বিএনপির যে অবস্থান তা নতুন নয়। তবে এনসিপির অবস্থান তাদের কাছে নতুন মনে হয়েছে। এর কারণ হতে পারে জন-আকাঙ্ক্ষাকে দলটি বুঝতে পেরেছে। আরেকটি হতে পারে যেহেতু আওয়ামী লীগ ভোটে অংশ নিতে পারবে না, এজন্য দলটির (আওয়ামী লীগের) ভোট টানার বিষয় থাকতে পারে। বিশ্লেষকদের পর্যবেক্ষণ, রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই। এনসিপির সঙ্গে জামায়াতের একটা বিরোধ আপাতদৃষ্টিতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ভবিষ্যতে তা না-ও থাকতে পারে। তবে নতুন বাস্তবতায় বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের এক জোট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ইসলামি দলগুলো একটি নির্বাচনি সমঝোতায় যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে এনসিপির অবস্থান কী হবে, তা এখনো অস্পষ্ট। সবকিছু নির্ভর করছে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ওপর। আবার এখনো জামায়াত নিবন্ধন ফিরে পায়নি, আর এনসিপির নিবন্ধন নেই- এগুলোও কিন্তু বাস্তবতা।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নতুন নির্বাচনি জোট গঠন সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বিএনপি যা করছে এটা কোনো জোটের রূপ না। আমরা চাচ্ছি জনগণের কাছে যাওয়ার জন্য। নির্বাচন নিয়ে জনগণের যে দাবি, সেটা নিয়েই দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, “বিএনপি ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়। এই দাবিকে অন্য দলগুলোও সমর্থন করছে। আমরা আলাপ করে দেখছি যে, সব পলিটিক্যাল পার্টিই এখন জরুরি ভিত্তিতে একটা নির্বাচন চায়। আমরা আলোচনা করে সবার মতামত নিয়ে তারপর নির্বাচনের জন্য যা করা প্রয়োজন, তা-ই করব। প্রয়োজনে সব দল মিলে আন্দোলন হবে। কিন্তু সেটার জন্য আলাদা জোট করার এখনই কোনো প্রয়োজন দেখছি না। তবে আমি মনে করি আন্দোলনে যাওয়ার আগেই এই সরকার একটা নির্বাচনের রোডম্যাপ দেবে। কারণ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস একজন ‘নন্দিত ব্যক্তি’।” বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রাজনীতিতে আরেকটা মেরুকরণ আর কী হবে। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে, নিবন্ধনও স্থগিত করা হয়েছে। ভোটে হয়তো তারা অংশ নিতে পারবে না। যেসব দল মাঠে আছে, তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। আবার এর মধ্যে কোনো কোনো দল মিলে একসঙ্গে ফ্রন্ট করতে পারে। তবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তো আগেই সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, জনগণের ভোটে রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যুক্ত সব দলকে নিয়ে সরকার গঠন করবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, শেষ পর্যন্ত ইসলামপন্থিরা এক লাইনে চলে আসবে। অথবা বিরোধী দল হওয়ার জন্য ইসলামপন্থিরা এক ধারায় ঐক্যবদ্ধ হতে পারে নির্বাচনের আগে। আবার যারা বৈষম্যবিরোধী আছে তাদের থেকে যেসব দল বেরোচ্ছে, তাদের মধ্যে একটা ঐক্য হতে পারে।

আসন ভাগাভাগির জোট করতে চায় জামায়াত: জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন দলকে নিয়ে ঐক্য করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করে মূলত ৫ আগস্টের পর। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামসহ কওমি মাদরাসাকেন্দ্রিক বিভিন্ন দল আছে এই ঐক্য প্রক্রিয়ায়। তবে এই জোট এখনই আত্মপ্রকাশ করবে না।

এ প্রসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার সম্প্রতি বলেছেন, জোট গঠনের প্রাথমিক আলাপ তাঁরা এগিয়ে রেখেছেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে আবারও বসবেন। এখনো ভিতরে ভিতরে বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ হচ্ছে। এই জোট চূড়ান্ত রূপ নেবে যখন নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষিত হবে। তখন হয়তো পরিষ্কার হবে সবকিছু।

প্রথম আলো

‘আট মাসে ১৯২ একর জমি, ২৮ ভবন ও ৩৮ ফ্ল্যাট জব্দ’-এটি দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতার শিরোনাম। খবরে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আট মাসে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিপুল পরিমাণ সম্পদ জব্দ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বাড়ি, ফ্ল্যাট, বাণিজ্যিক স্থাপনা ও জমি।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংস্থাটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ৭৪টি জব্দের আদেশ দিয়েছেন। এসব আদেশে প্রায় ১৯২ একর জমি, ২৮টি ভবন, ৩৮টি ফ্ল্যাট ও ১৫টি প্লট জব্দ করা হয়। জব্দের তালিকায় থাকা যানবাহনের মধ্যে রয়েছে ২৩টি গাড়ি। তিনটি জাহাজও জব্দ করা হয়েছে।

দেশে ও বিদেশে থাকা জব্দের আদেশভুক্ত সম্পদের মূল্য প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন দুদকের কর্মকর্তারা। লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দুর্নীতি দমনে তৎপর হয় দুদক। অভিযোগ আছে, আওয়ামী লীগ আমলে সংস্থাটি তেমন কোনো তৎপরতা দেখায়নি। সরকার যাঁর প্রতি নাখোশ অথবা গণমাধ্যমে যাঁর দুর্নীতি নিয়ে বেশি খবর প্রকাশিত হতো, তাঁর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালানো হতো।

আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক ও কমিশনার (অনুসন্ধান) মোছা. আছিয়া খাতুন পদত্যাগ করেন গত ২৯ অক্টোবর। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তাঁরা যত দিন দায়িত্বে ছিলেন, তত দিন কিছু তৎপরতা দেখিয়েছিলেন। দুদক কর্মকর্তাদের কারও কারও ভাষ্য, তাঁদের সেই তৎপরতা ছিল মূলত লোক দেখানো।

যুগান্তর

‘নির্বাচনের পথেই সমাধান’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, সংস্কার ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলো এখনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। এর মধ্যে কোনো না কোনো ইস্যুতে প্রায় প্রতিদিনই চলছে রাজপথে আন্দোলন। বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে আছে অস্থিরতা। আবার শেয়ারবাজারের অবস্থা চরম নাজুক, বিনিয়োগে স্থবিরতা ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন। বলা যায়, রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক নানামুখী সংকট ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনকেই সংকট সমাধানের একমাত্র পথ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক দলগুলো ও বিশ্লেষকরা।

তারা বলছেন, যেসব সমস্যার সম্মুখীন, সেগুলো নির্বাচিত সরকারের পক্ষে দ্রুত সমাধান দেওয়া সম্ভব। এজন্য দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দিলে এ সংকট থাকবে না। রোডম্যাপ দিলে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের ট্রেনে উঠে পড়বে। স্বাভাবিক হবে দেশের পরিস্থিতি। কিন্তু নির্বাচন যত দেরি হবে দেশ ও গণতন্ত্র তত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশে শান্তি-শৃঙ্খলার অবনতি হবে। এজন্য জরুরি ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্রুত নির্বাচনের পথে হাঁটা উচিত বলে মনে করেন তারা।

তিন দফা দাবিতে রাজধানীতে ৪ দিন ধরে বিক্ষোভ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদে ও বিচার দাবিতে টানা ৩ দিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস উত্তাল। কুয়েটসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো অস্থিরতা কাটেনি। রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা শনিবার সংবাদ সম্মেলন করবে। এর মধ্যে বিভিন্ন দাবিতে ডিপ্লোমা নার্সসহ কয়েকটি সংগঠনও আন্দোলন করেছে।

গত দুদিন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগরভবনের সামনেও চলেছে অবরোধ। কয়েকদিন ধরে এসব আন্দোলনের কারণে ঢাকা একরকম দুর্ভোগের নগরীতে পরিণত হয়েছে। আর বিভিন্ন ইস্যুতে থেমে থেমে চলে ‘মব জাস্টিস’। এছাড়া দুর্নীতিবাজ-আওয়ামী দোসর নিয়োগ নিষিদ্ধ, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল, বিতর্কিত পদোন্নতি প্রক্রিয়া রিভিউসহ বিভিন্ন দাবিতে প্রশাসনেও চলছে অস্থিরতা। মানবিক করিডর ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি, কলকারখানায় গ্যাস সংকটসহ নানা সেক্টরে সমস্যা বিদ্যমান। এছাড়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা বাংলাভাষীদের জোরপূর্বক ঠেলে (পুশইন) দিচ্ছে বিএসএফ।

কালের কণ্ঠ

দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘রাষ্ট্র সংস্কারে সমঝোতার পথসন্ধান’। খবরে বলা হয়, রাষ্ট্র সংস্কারে সমঝোতায় পৌঁছতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ১৬৬টি প্রস্তাবের একটি তালিকা তৈরি করে। এর ভিত্তিতে দেশের ৩৯টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কাছে গত ফেব্রুয়ারি মাসে লিখিত মতামত আহবান করা হয়। পরে জোট ও দলগুলোর কেউ নির্দিষ্ট ফরমে আবার কেউ আলাদা কাগজে লিখে তাদের মতামত জানায়। ওই মতামতের আলোকে জোট ও দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশন গত ২০ মার্চ প্রথম দফা সংলাপ শুরু করে শেষ করে ১৫ মে।

যদিও ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যেকোনো সময় যেকোনো দলের সঙ্গে সংলাপ করতে রাজি তারা। প্রথম দফা সংলাপে অংশ নেয় ৩৩টি রাজনৈতিক দল ও জোট।

তবে রাজনৈতিক জোট ও দলগুলোর সঙ্গে প্রথম দফা সংলাপে বেশ কিছু প্রস্তাবে ঐকমত্য হলেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবে উভয় পক্ষের পরস্পরবিরোধী মত রয়েছে। আবার কিছু কিছু প্রস্তাবে রাজনৈতিক জোট ও দলগুলো একমত হয়েও নতুন করে শর্ত জুড়ে দিয়েছে।

ফলে নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন, ঠিক কতগুলো প্রস্তাবে জোট ও দলগুলো একমত কিংবা দ্বিমত পোষণ করেছে। প্রায় দুই মাস ধরে চলা সংলাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালসহ বেশ কিছু বিষয়ে একমত হলেও জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ ক্রিয়াশীল দলগুলো সংবিধানের মূলনীতি, সাংবিধানিক কাউন্সিল, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব, এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুইবার প্রধানমন্ত্রী, সংসদ ও সরকারের মেয়াদ চার বছর করা, গণপরিষদ নির্বাচন এবং ভোটার ও প্রার্থীর বয়সসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু প্রস্তাব নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেনি। এ পরিস্থিতিতে আগামী সপ্তাহ থেকে আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

সমকাল

‘বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব কমছে না জামায়াতের’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মিত্র ও নির্বাচনের সঙ্গী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে দূরত্ব কমছে না। বরং তা আগের চেয়ে বেড়েছে এবং নানা মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে। ৫ আগস্টের পর এই প্রবণতা শুরু হলেও সম্প্রতি লন্ডনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সাক্ষাতের পর সম্পর্ক আর খারাপ হবে না বলে আশা করা হয়েছিল। তবে দলীয় আদর্শ আর কৌশলের রাজনীতি তাদের দূরত্ব আরও বাড়িয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দু’দলের প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে যোগাযোগের ঘাটতিও তৈরি হয়েছে বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।

৫ আগস্টের পর থেকে রাজনীতির মাঠে নানা বিষয়ে দল দুটির মধ্যে স্পষ্ট মতবিরোধ দেখা দেয়। দু’দলের তৃণমূল থেকে শীর্ষ নেতাদের বক্তব্যে তা ফুটে উঠছে। দুই দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা, সরকারের সংস্কার প্রস্তাব, নির্বাচনের দিনক্ষণ, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক, প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে দলীয় লোকের বদলি, পদায়ন, নিয়োগ, দখল-চাঁদাবাজির মতো বিষয় নিয়ে চলছে বাগ্‌যুদ্ধ। সভা-সমাবেশ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তা দৃশ্যমান।  

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত রাজনীতিতে এ দুই দলেরই সাধারণ প্রতিপক্ষ ছিল আওয়ামী লীগ। বৃহৎ এ দলটির অনুপস্থিতিকে জামায়াত বড় সুযোগ হিসেবে দেখছে। পাশাপাশি অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতাদের অনেকের ওপর জামায়াত ও শিবিরের প্রভাব তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষী করে তুলছে। এর বাইরে প্রশাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং ব্যাংক খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দলটির পরিকল্পিত অবস্থান তাদের সরাসরি বিএনপির সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে।

ইত্তেফাক

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর ‘ন্যূনতম করের চাপ বাড়ছে’। খবরে বলা হয়, ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি কমেছে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিরাজ করছে হতাশা। তার মধ্যেই আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাজেটে ন্যূনতম করের হার বাড়াতে যাচ্ছে। যার ফলে ছোট-বড় সব ধরনের উদ্যোক্তা ও কোম্পানির ওপর নতুন করে করের চাপ বাড়বে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এ উদ্যোগকে ব্যবসাবান্ধব নয় বলে আখ্যা দিলেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বলছে, এটি ‘অপরিহার্য’ এক পদক্ষেপ, কর ফাঁকি ঠেকাতেই এমন সিদ্ধান্ত।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী বাজেটে কোম্পানির ওপর নির্ধারিত ন্যূনতম টার্নওভার কর শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করতে যাচ্ছে। এছাড়া, ব্যক্তি পর্যায়ে টার্নওভার কর চার গুণ বাড়ানোর পরিকল্পনাও করছে।

বিনিয়োগকারীরা ন্যূনতম কর হার বৃদ্ধির প্রস্তাবের সমালোচনা করেছেন। তাদের মতে, এই পদক্ষেপ ব্যবসার ব্যয় বাড়াবে এবং বিনিয়োগ নিরুত্সাহিত করবে। বিশেষ করে, এসএমই ও নতুন উদ্যোক্তারা বিপাকে পড়বেন।

ন্যূনতম কর হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কর, যা একজন করদাতাকে অবশ্যই দিতে হবে। এমনকি তার আয় করযোগ্য সীমার নিচে হলেও। এটি মূলত করের আওতা বাড়ানোর জন্য সরকার নির্ধারণ করে থাকে।

এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে রাজস্ব আয় বাড়াতে চাপ রয়েছে। অনেক কোম্পানি সঠিকভাবে লেনদেন ও মুনাফা দেখায় না বলে অভিযোগ রয়েছে। এজন্য ন্যূনতম কর বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, ব্যক্তিগত টার্নওভার কর শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করা হতে পারে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, আগে যেটি সমন্বয়ের সুযোগ ছাড়াই পরিশোধ করতে হতো। সেই ন্যূনতম কর ভবিষ্যতে সমন্বয়যোগ্য রাখার পরিকল্পনাও বাজেটে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

নয়া দিগন্ত

‘ছাত্র-জনতার ওপর গুলির নির্দেশদাতা ৩৯ ম্যাজিস্ট্রেট বহাল তবিয়তে’-এটি দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত বছরের জুলাইয়ে রাস্তায় নেমে আসে কোটি কোটি ছাত্র-জনতা। কোটা আন্দোলন রূপ নেয় স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয় প্রায় দুই সহস্রাধিক ছাত্র-জনতা। এই ছাত্র-জনতার ওপর গুলির নির্দেশ দিতে নিয়োগ দেয়া হয় ৩৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

এই ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশেই মূলত গুলি চালানো হয় নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর। এই ঘটনায় শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন তার আস্থাভাজন এই ম্যাজিস্ট্রেটরা। তাদের মধ্যে অনেকেই এখন ভোল পাল্টে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার একান্ত সচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে বহাল রয়েছেন।

জনপ্রশাসনের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত বছরের জুলাই মাসের প্রথম দিকে কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন দমন করতে সারা দেশে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে তাদের ওপর ক্র্যাকডাউন চালানো হয়। বিভিন্ন বাহিনীতে থাকা সরকারের অনুগত লোকদের নামিয়ে দেয়া হয় রাস্তায়। অহিংস এই আন্দোলন ক্রমান্বয়ে সহিংস রূপ নেয় ১৫ জুলাই থেকে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রতিহত করতে তাদের ওপর গুলি চালাতে পুলিশের সাথে ২০ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়। গত ২০ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-২ শাখার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশব্যাপী চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের ফলে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতি থেকে জনগণের জানমাল, সরকারি সম্পত্তি ও স্থাপনার নিরাপত্তা বিধান এবং শান্তিশৃঙ্খলা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা জেলা ও মহানগর এলাকায় ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার এর আওতায় সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তৎপ্রেক্ষিতে, সশস্ত্রবাহিনীর কার্যক্রম পরিচালনাকালে আইনগত দিকনির্দেশনা প্রদান ও দায়িত্ব পালনের জন্য নিম্ন ছকে বর্ণিত বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২০ কর্মকর্তা দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৮৯৮ এর ১০(৫) ধারা অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর ৫ ধারা মোতাবেক তাদের নামের বর্ণিত অধিক্ষেত্রে, মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর তফসিলভুক্ত আইনসমূহে এবং নিম্নবর্ণিত শর্তে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষমতা অর্পণসহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ঢাকাতে সংযুক্ত করা হলো। এইভাবে ৩০ জুলাই আরেকটি প্রজ্ঞাপনে ১৯ জনকে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়।

বণিক বার্তা

দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘জনপ্রশাসনসহ সাধারণ সেবা খাতে সংস্কার হয়নি, বেড়েছে সরকারের খরচ’। খবরে বলা হয়, সরকারের ব্যয় কমাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব ও সচিবের সংখ্যা কমিয়ে ৬০ করারও সুপারিশ ছিল। পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা বাড়ানোর তাগিদ দেয়া হয় কমিশনের প্রতিবেদনে। কিন্তু তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এ বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। অথচ জনপ্রশাসনের কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ সাধারণ সেবা খাতে প্রতিনিয়তই বাড়ছে সরকারের ব্যয়।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জানুয়ারি পর্যন্ত আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতে ব্যয় বেড়েছে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি এবং সামনে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেয়া হলে এ ব্যয় আরো বাড়তে পারে। তবে ব্যয় বাড়লেও এ খাতের সংস্কার না হওয়ায় দেশের সাধারণ নাগরিক সুবিধা পাচ্ছে না বলে মনে করেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।

সরকারি প্রশাসন, নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, কর সংগ্রহ, ডাটা ব্যবস্থাপনাসহ রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামো পরিচালনায় প্রতি বছরের বাজেটেই বড় অংকের অর্থ বরাদ্দ দেয় সরকার। আর সে অর্থের একটা বড় অংশই ব্যয় হয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতায়।

জেনারেল পাবলিক সার্ভিস বা সাধারণ সেবা খাতের আওতায় রয়েছে সরকারের গুরুত্বের শীর্ষে থাকা বেশ কিছু মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। সেগুলো হলো রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, সংসদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সরকারি কর্ম কমিশন, অর্থ বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, প্ল্যানিং ডিভিশন-২, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ।

আজকের পত্রিকা

‘পাল্টা অবস্থানে দুই পক্ষ, সরকারের চাওয়া ভিন্ন’-এটা দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, সব সরকারি দপ্তরে একই ধরনের কাজে কর্মরতদের পদ-পদবি ও বেতন স্কেল একসময় একই ছিল। তিন দশক আগে সচিবালয়ের কর্মচারীদের পদনাম বদলে দিয়ে তাঁদের বেতন গ্রেড উন্নীত করে সরকার। পরে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারীদের এভাবে সুবিধা দেওয়া হয়। সরকারি অন্য দপ্তরের কর্মচারীরা ‘প্রভাবশালী’ ওই তিন দপ্তরের মতো সুবিধা চাইলেও সরকার হাঁটছে অন্য পথে।

৩০টি অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থার কর্মচারীরা তাঁদের পদনাম বদল করে বেতন গ্রেড উন্নীত করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতিতে আসা এসব আবেদন পর্যালোচনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি ১০ম থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত সব সরকারি কর্মচারীর জন্য অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নেও হাত দিয়েছে। তবে সচিবালয়ের কর্মচারীদের আপত্তিতে এ বিষয়ে কার্যক্রম এখনো শুরু করতে পারেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব সরকারি দপ্তরের কাজের ধরন এক রকম না হওয়ায় অভিন্ন নিয়োগবিধি জারি করলে জটিলতা সৃষ্টি হবে। বরং সচিবালয়ের মতো মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো যেতে পারে।

বর্তমানে ডিসি এবং ইউএনও কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি এবং বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য আরেকটি নিয়োগ বিধিমালা রয়েছে। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়-বিভাগের জন্য রয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় (ক্যাডারবহির্ভূত গেজেটেড কর্মকর্তা এবং নন-গেজেটেড কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা-২০১৪। এই বিধিমালা অনুযায়ী, সচিবালয়ের কর্মচারীরা উপসচিব পর্যন্ত পদোন্নতি পান। আর বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি ও ইউএনও কার্যালয়ের কর্মচারীরা সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি পান। অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা হলে সবার জন্য একই নিয়ম কার্যকর হবে।

দেশ রূপান্তর

দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘ভয়ানক চাপে ভারতে আশ্রিত আ.লীগাররা’। খবরে বলা হয়, ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতাদের কপালে ভাঁজ। সম্প্রতি ভারত সরকার অবৈধ নাগরিকদের বসবাস ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। অবৈধ সবাইকে ভারত ছাড়তে বলেছে দেশটির আইনশৃখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ফলে দেশটিতে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপর বড় মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে অবৈধ বসবাসকারী বাংলাদেশিদের আটক করে ‘পুশব্যাক’ করছে ভারত। এ পুশব্যাকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখনো না পড়লেও স্বল্প সময়ের মধ্যেই তাদের ওপর এ খড়গ নেমে আসবে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে নিতে ভারতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আরও দুই-তিন মাস সময় দিতে চায়। আগামী আগস্টে ভারত সরকার গ্রেপ্তার অভিযান আরও বাড়াবে।

দেশটির সরকার পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদেরও ভারত ছাড়ার চাপ দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অরুণাচল, মেঘালয়সহ ভারতের আরও কয়েকটি রাজ্যে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের লক্ষাধিক নেতা আশ্রয় নিয়েছেন। ৯ মাসেরও বেশি সময় নিরাপদে বসবাস করলেও অবৈধ নাগরিকের বসবাস ঠেকাতে ভারত সরকারের অবস্থান আওয়ামী লীগের নেতাদের ভেতরে দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে। এদিকে গত ১০ মে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ অবস্থায় দলটির পালিয়ে যাওয়া নেতাকর্মীদের দেশে ফেরা আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status