অনলাইন
ফের আন্দোলনের ডাক পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
স্টাফ রিপোর্টার
(৮ ঘন্টা আগে) ১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৮:১৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন
আবারো আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এবার ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পদোন্নতির রায় বাতিলের দাবিতে সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন তারা।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়। এতে রোববার সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির পাশাপাশি হাইকোর্টের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়। কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান, ১৮ই মে হাইকোর্টে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পদোন্নতি সংক্রান্ত মামলার শুনানি রয়েছে। সেজন্য তারা মাঠে নেমে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে নতুন কর্মসূচি দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা বলেন, সম্প্রতি হাইকোর্ট কর্তৃক ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে পদোন্নতি সংক্রান্ত মামলার রায় স্থগিত করা হয়েছে। পরে শুনানির সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ই মে। কারিগরি ছাত্র সমাজ পূর্বের রায়কে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এ মামলার রায় সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করে বাতিল দাবি করছে। ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের মূল কাজ হলো ল্যাব পরিচালনায় সহায়তা এবং প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসে যন্ত্রাংশ সরবরাহ করা। শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে তারা এসএসসি অথবা এইচএসসি ভোকেশনাল পাস। এ যোগ্যতায় তারা ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের পাঠদানে অক্ষম এবং অযোগ্য। তাই শিক্ষক পদে তাদের পদোন্নতি অযৌক্তিক। তাদের জন্য মন্ত্রণালয় ভিন্নভাবে চিন্তা-ভাবনা চালাচ্ছে যে, কীভাবে তাদের সিস্টেমে প্রমোশন দেয়া যায়। তারাও তাদের সিস্টেমে প্রমোশন পাবেন। এ বিষয়ে সুন্দর পদক্ষেপ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। প্রমোশন পাওয়ার অধিকার সবার আছে। তবে সেটা হতে হবে যৌক্তিক।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমরা সুস্পষ্টভাবে বলছি, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (শিক্ষক) পদে পদোন্নতির জন্য ভিন্ন কোনো মানদণ্ডে বা বাছাই ছাড়া সুযোগ সৃষ্টি করা যাবে না। শিক্ষকদের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদটি কেবল ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারীরা সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে বাছাইকৃত হয়ে নিয়োগ পান। যারা এ পদে আসতে চান, তারা নির্দিষ্ট যোগ্যতা নিয়ে পিএসসির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে যোগ্যতার ভিত্তিতে আসুক।
তারা বলেন, বিশেষভাবে এ পদে কারও পদোন্নতি নিয়ে আসার সুযোগ নেই। আমরা চাই, ১৮ই মে হাইকোর্ট এ মামলাটি বাতিল করে দিয়ে কারিগরি শিক্ষার স্বচ্ছতা ও মান রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করুক।
পাঠকের মতামত
ফ্যাসিবাদী হাসিনার শাসনামলে তোমরা সবাই কোথায় এবং কোথায় ছিলে? এখন তোমরা কি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে শাস্তি দিতে চাও? BAL and SADDAM is coming to size you all within a day.
নটরডেম কলেজে ঐতিহ্যগতভাবে ছদ্ম পাশ করা এইচএসসি মেধাবী ছাত্রদের দিয়ে নটরডেমের সবচেয়ে গৌরবের জায়গা নিয়মিত প্রাক্টিক্যাল ক্লাস করানোর স্ট্রাকচার হিসেবে তাদেরকে নিয়োগ দিয়ে থাকতেন তাতে করে ছাত্ররা শব্দ ফাঁস করা এই ইনস্ট্রাকচারদের কাছ থেকে একটি সফল শিক্ষা লাভ করতে পারতেন। তাই কে শেখালো ব্যবহারিক কাজ সেটা তার পথ দিয়ে বিবেচনা না করে শেখাতে পারছে কিনা ঠিকমত সেটা বিবেচনা করা দরকার। একই উদাহরণ সামরিক বাহিনীর গুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য তাদেরও অনেক ইন্সট্রাক্টর যারা ভবিষ্যতে বড় বড় জেনারেল হবেন তাদেরকে মৌলিক প্রশিক্ষণ গুলো দিয়ে থাকেন। এই বাস্তবতাগুলো বিবেচনা করে অযথা ইনস্ট্রাকটরের পদের ধোয়া তুলে বিভিন্ন জায়গা থেকে হাওয়া খেয়ে পয়সা খেয়ে এবার বাদামী করা জনগণ আর মেনে নেবে না অনেক বজ্জামি সহ্য করেছে এখন জনপ্রতিরোধ সহ্য করতে হবে আপনাদের।