অনলাইন
সরকারের উদ্দেশ্যে তারেক রহমান
পরিস্থিতি অযথা ঘোলাটে না করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ সপ্তাহ আগে) ১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ১০:৩৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:৪৫ অপরাহ্ন

অন্তর্বর্তী সরকারের করিডর ও বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশি হাতে তুলে দেয়াকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার রাতে রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে এনডিএমের ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। এসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই-আগস্টের হতাহতদের সঠিক তালিকা তৈরি না করার কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, সরকার কি তাহলে হতাহতের ব্যাপারে উদাসী। না কী ক্ষমতার মোহে আচ্ছন্ন। এটিও আজকে দেশের বহু মানুষের বড় জিজ্ঞাসা। জুলাই-আগস্টের হতাহতদের সঠিক তালিকা তৈরি করার চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে করিডর প্রদান কিংবা বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়াকেই বেশি প্রাধান্য বলে মনে হচ্ছে। আমরা আবারও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই, করিডর কিংবা বন্দর দেয়া না দেয়ার সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের অবশ্যই কাজ নয়। এই সিদ্ধান্ত নেবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ বা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আবারও আব্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পরিস্থিতি অযথা ঘোলাটে না করে জাতীয় নির্বাচনের সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন। জনগণের ভোটে, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠা করা না গেলে পতিত পলাতক স্বৈরাচারকে মোকাবিলা করা সহজ হবে না। লোভ-লাভে প্রলোভন থেকে মুক্ত থেকে অন্তর্বর্তী সরকার অচিরেই জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেশে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাযিত্ব পালন করবে।
সরকার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংস্কার শুরু করেছে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা, সুষ্ঠু পরিকল্পনা এবং পরিণতি চিন্তা না করে তড়িঘড়ি করে সংস্কার শুরু করে দেয়াই কিন্তু পুরো বিষয়টি হিতে বিপরীত হয়েছে।
দেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতিও আশাব্যঞ্জক নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপিসহ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো শুরু থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মপরিকল্পনার রোডম্যাপ ঘোষণার আব্বান জানিয়ে আসছে। সরকার সেই আব্বানে সেভাবে সাড়া দেয়নি। বরং সরকার জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ ঘোষণাকে সুকৌশলে অল্প সংস্কার, বেশি সংস্কার-এধরনের একটি অভিনব শর্তের বেড়াজালে আটকে দিয়েছে। সরকারের চিন্তা ও কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে জনগণ অন্ধকারে থাকায় কিন্তু দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে হয়তো অস্থিরতা বাড়ছে প্রায়। মাত্র ১০ মাসের মাথায় সরকারের ভেতরে এবং বাইরেও কিন্তু এক ধরনের অস্থিরতা দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।
তারেক রহমান বলেন, সরকার জনগণের ভাষা, আশা, আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হলে দেশে রাজনৈতি অস্থিরতা বাড়তেই থাকবে। আমরা মনে করি, এদেশে এভাবে অস্থিরতা বাড়লে এই সরকারের পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। সুতরাং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তাদের সক্ষমতা সম্পর্কে আরো সতর্ক আব্বান জানাই।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেযার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বদিচ্ছা ও সমর্থন নিয়ে ইতিমধ্যে জনমনে কিছুটা হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। তবুও গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের ভোটে, জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন এখনো অব্যাহত রেখেছে।
পাঠকের মতামত
পরিস্থিতি যদি ঘোলাটে হয়। তাহলে রাজনৈতিক দলগুলোই দায়ী হবে। জনগণ চায় গনহত্যার বিচার। ব্যাপক সংষ্কার। দেশের জনগণ এখন নির্বাচন চায় না।
আপাতত নির্বাচন বয়কট আন্দোলন চলছে, পরে কথা হবে।
তারেক সাহেবকে বলছি, পরিস্থিতি অযথা ঘোলাটে না করে সংস্কারের সময় দিন।
পলিথিন অপসারন, নারী কমিশন, এইসবে মনোযোগী না হয়ে পাচারকৃত টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আর হাসিনা লীগের গনহত্যার বিচারের ব্যাপারে বেশী মনযোগী হওয়া উচিৎ।
No need any election......
No election in this type of society brother.