রাজনীতি
নির্বাচনকে পিছিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা শুরু হয়েছে: ফখরুল
স্টাফ রিপোর্টার
(৫ দিন আগে) ২০ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ৫:৪৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৩ পূর্বাহ্ন

ফাইল ফটো
সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি এবং এর অঙ্গ-সংগঠনের যৌথ সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। সভায় থাইল্যান্ডের ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা মির্জা ফখরুল ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে যে নতুন একটা সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে, যে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করবার এবং সত্যিকার অর্থে ফ্যাসিবাদ মুক্ত যে একটি আধুনিক বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করবার, সেখানেও আমরা দেখি একটা কালো ছায়া এসে দাঁড়িয়েছে। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেয়া, জনগণের যে অধিকার সেই অধিকার থেকে তাদেরকে বঞ্চিত করা এবং ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবার একটা পাঁয়তারা শুরু হয়েছে।
আবার বিভাজনের রাজনীতি শুরু হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখানে গোত্রে গোত্রে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরস্পর মুখোমুখি করার একটা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত শুরু হয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, কিছু মানুষ যারা সরকারের মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে- অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে বাংলাদেশকে ভিন্নদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে, ভিন্নখাতে তাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির উপর সব সময় গুরু দায়িত্ব এসে পড়ে, সেই দায়িত্বটি হচ্ছে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করবার দায়িত্ব, সেই দায়িত্বটি হচ্ছে বাংলাদেশ আবার নতুন করে গড়ে তুলবার দায়িত্ব, সেই দায়িত্ব হচ্ছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যে স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করবার জন্য কাজ করা শুরু করেছিলেন, এখন তরুণ নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নতুন স্বপ্নের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বাংলাদেশ এবং দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলোকে বাস্তবায়িত করবার জন্য আজকে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীকে অত্যন্ত সজাগ ও সচেতনভাবে তাদের কাজ করতে হবে এবং যেকোন ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতা যেনো আর কখনো কেউ কেড়ে নিতে না পারে, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব কেউ যাতে বিনষ্ট করতে না পারে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে কেউ যাতে আর কখনো ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার দিয়ে দাবায়ে রাখতে না পারে, সেভাবে বিএনপির প্রতিটি কর্মীকে আজকে সেই ভূমিকা পালন করতে হবে। এই ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে আজকে শোক নয়, আমরা শোককে সমস্ত শক্তি পরিণত করতে চাই।
ফখরুল বলেন, আজকে যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, যারা বাংলাদেশকে ১৫ বছর ধরে একটা ফ্যাসিস্ট শাসনের মধ্যে রেখেছিল, বাংলাদেশে আবারও সেই জনগণের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবার জন্য এবং উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করবার জন্য যারা এখনো ষড়যন্ত্র করে চলেছে সীমান্তের ওপার থেকে। সেই সময়েও কিন্তু শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম আামাদেরকে বারবার মনে রাখতে হবে।
যৌথ সভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আবদুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত
হাহাহা, হাসালেন ফখরুল চাহেব, হাসিনা পালানোর পর এই ১ম আবার হাসলাম।
বিএনপি নেতাদের মুখে অবিরত নির্বাচন শব্দটি ছাড়া আর কোনো শব্দ নেই। দেশের জনগণ এখন নির্বাচন চায় না।
Boycott BNP!!!
সংস্কারে একেবারেই সাহায্য করবেন না, নিজেদের মতন স্টাইলে চলতে চান স্বৈরাচারের মতন, দুইবার প্রধানমন্ত্রী মানবেন না যেটা দেশের ৯৫% মানুষ চায়, একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী, দলীয় প্রধান ও সংসদের নেতা হতে পারবে না সেটাও মানবেন না, খালি চান নির্বাচন। কেন চান সেটা সবাই বুঝে। এইসব বাদ দিয়ে লাইনে আসেন, নইলে একদল তো পাশের দেশে পালানোর জায়গা পেয়েছে, আপনারা কিন্তু সেটাও পাবেন না!
মীর্জা ফখরুল মীর্জা ফখরুল বেঁচে আছে মনে হয় শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য বেচারা! জেনজি'রা যদি প্রান বিসর্জন দিয়ে হাসিনাকে দেশ ছাড়া না করতো তাহলে কি যে অবস্থা হতো এ দলটার
নির্বাচন দিয়ে কি হবে ? আপনাদের দলের চাঁদাবাজ, দখলবাজ, টোকাই, সন্ত্রাসীদের আগে সামলান। এটা না হলে নির্বাচন দিয়ে লাভ কি ? আমারতো ভালোই আছি ইনশাআল্লাহ। জনগণের পাল্স বুঝতে চেষ্টা করুন।
আপনারা আলি রীয়াজ স্যারের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংবিধান সংস্কার করতে একমত হোন।বিশেষ করে এক ব্যাক্তি দুই বারের বেশী প্রধানমন্ত্রী নয়,আস্থাভোট এবং বাজেট ব্যাতীত সংসদসদস্য রা সরকারের বিরুদ্ধ ভোট দিবে।এটা করে দেন আমরাও আপনাদের সাথে থাকবো।মনে হয় আতে ঘা~~~~~~~~
আমরা ভালো আছি। চুপ থাকেন
জনগন ভালো আছে। অনেক ভোটের অধিকার এর কথা বলছেন। ভোটের পর লাভ শত ভাগ আপনাদের। জনগন কে ব্ল্যাকমেল করাই আপনাদের কাজ। দয়া করে দেশ কে বিপদ গ্রস্থ কইরেন না। ফল ভালো হবে না।