রাজনীতি
সরকারের কথাবার্তা মানুষকে বিরক্ত করে তুলেছে: রিজভী
স্টাফ রিপোর্টার
(৯ ঘন্টা আগে) ২৫ মে ২০২৫, রবিবার, ৭:৩০ অপরাহ্ন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথাবার্তা ও চালচলন মানুষকে বিরক্ত করে তুলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের উদ্যোগে ‘যশোর জেলাধীন নোয়াপাড়া পৌর কৃষকদলের সভাপতি তারিকুল ইসলামকে সন্ত্রাসী কর্তৃক গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে’ এক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে রুহুল কবির রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের অনাস্থা এখনো নেই। কিন্তু আপনাদের কথাবার্তা, আপনাদের চালচলন মানুষকে কিন্তু বিরক্ত করে তুলেছে। এই কাজগুলো আপনারা করবেন না। আপনারা অবিলম্বে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, এটা শেখ হাসিনা কেড়ে নিয়েছিলেন। শেখ হাসিনার সেই কেড়ে নেয়া নির্বাচনের ধারায় যদি আপনারাও চলেন তাহলে জনগণ মনে করবে শেখ হাসিনার গায়ের বাতাস আপনাদের শরীরেও লেগেছে। তাই ওই কাজ করবেন না।
সরকারের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময় দিন। এর মধ্যে অনেক কাজ করা যায়। আপনারা সংস্কারের কথা বলছেন, সংস্কার করতে বেশি সময় লাগে না। দশ মাস সময় চলে গেছে। যদি ডিসেম্বরে নির্বাচন হয়, আরও অনেক সময় বাকি আছে। এত সময় লাগার তো কথা না।
রিজভী বলেন, আজকে জনগণের কর্তৃত্ব নেই, আজকে নির্বাচিত সরকার নেই। আজকে জনগণ ভোট দিতে পারছে না। পুলিশ কোনো কাজ করতে পারছে না, পুলিশ নির্লিপ্তভাবে দাঁড়িয়ে আছে। সে কারণেই একের পর এক সমাজবিরোধী কাজ, হত্যা, সন্ত্রাসী কাজ এবং খুন রাষ্ট্রে লেগে আছে। এগুলোর জন্য আমাদের আরও প্রতিবাদ করতে হবে, আরও জাগ্রত হতে হবে।
তিনি বলেন, এখন তো শেখ হাসিনা নেই, তার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নেই। তারপরও কৃষকদল নেতা তারিকুল হত্যাকাণ্ডের শিকার হবে কেন? এসময় কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত
আপনাদের কথাবার্তায় জনগন যে কি পরিমান বিরক্ত সে খবর রাখেন কি ? জনগণ আপনাদেরকে সামনের যে কোনো সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনে আপনাদেরকে লালকারড দেখাবে শুধু মাত্র আপনাদের নির্বাচন নিয়ে অধৈর্য্যের কারণে।
জনাব রিজভী, সকালে ঘুম থেকে উঠে পাবলিক এর সামনে এসে nonsensical কথাবার্তা বলে নিজেকে clown বানায়ে প্রতিদিন রাতে আবার ঘুমাতে যান। গত ১৭ বছর তো আওয়ামীলীগের কাছে পাত্তা পাননি, এখন সাধারণ জনগণের কাছেও নিজেকে পাত্তাহীন করে ফেলেছেন। বুড়া বয়সে এইগুলা কি মানায়?
সবই রাজাকার আর ধান্ধাবাজদের ধান্ধাবাজী। নিবন্ধন নাই, মার্কা নাই, জনসমর্থন নাই, নির্বাচন করলে ওয়ার্ডের মেম্বর হতে পারবে না, তারাই নির্বাচন চায় না। ইউনূস এক আন্তর্জাতিক ধান্ধাবাজ, তার সাথে যুক্ত আঞ্চলিক ধান্ধাবাজরা। নির্বাচন ছাড়া যত দিন থাকা যায় ততদিন ধান্ধাবাজী করা যাবে।
বিএনপির মধ্যে নতুনত্বের কিছুই নেই, চাদাবাজি তো শুরি করে দিয়েছে, এখন শুধু ক্ষমতায় বসে রাষ্ট্রীয়ভাবে দুর্নীতি, কমিশন ও আরও যত উপায় আছে তার জন্য অপেক্ষা করছে। এরা এজন্য ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে যাচ্ছে। সৃষ্টিকর্তার কাছে রহমত চাই।
এ সব দালালের বাচ্চারা এখনো জনসন্মুখে আসে কেন ? বিদেশের এজেন্ট এরা।
উল্টো বললেন। জনগণ বিএনপির চাঁদাবাজি অকৃতজ্ঞায় বিক্ষুব্ধ হয়ে গেছে