ঢাকা, ২৫ মে ২০২৫, রবিবার, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৬ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

শরীর ও মন

মেছতা ও বলিরেখা ত্বকের অনর্থক দুর্ভোগ

ডা. জেসমীন আক্তার লীনা
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার

মুখের মেছতা মেয়েদের মধ্যে খুব প্রচলিত একটি সমস্যা। এক কথায় মুখের মেছতা ও বলিরেখা এ দুটো বিষয়ই মেয়েদের জন্য একটি বিড়ম্বনাকর সমস্যা। 
২০-২৫ বছর বয়সের পর মেয়েদের বিশেষ করে বিবাহিত মহিলাদের যাদের বাচ্চা হয়েছে, যারা পিল ব্যবহার করেন, তাদের এই হরমোনের কারণে মুখের দুই পাশের গালে খয়েরি রঙের, বাদামি রঙের দাগ দেখা যায়। আস্তে আস্তে এটা আরও গাঢ় হয়ে কালচেও হয়ে যেতে পারে। এর সঙ্গে যদি সূর্যের আলো পড়ে তখন দেখা যায় এটি আরও গাঢ় হয়ে গেছে। নারীরা প্রথমেই ক্রিম, স্নো বিভিন্ন কিছু মাখে। এর ফলে আরও জটিলতা নিয়ে তারা চিকিৎসকের কাছে আসে। মুখের ত্বকে কোলাজেনের মতো একটি জালের মতো থাকে। 
বয়স যত বাড়তে থাকে, এই কোলাজেন জালটি  নষ্ট হতে শুরু করে। কোলাজেন জাল নষ্ট হলে মুখের যে ত্বক সেখানে বলিরেখা দেখা দেয়। এটাও একটি বিব্রতকর সমস্যা। কারণ, মুখে যদি ভাঁজ দেখা যায়, মহিলা ও পুরুষ সবাই একটু বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে। বিভিন্ন কারণে কোলাজেন নষ্ট হতে পারে। দেখা যায় যে যত্নের অভাবে কোলাজেন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সময়ের অনেক আগেই তাদের মুখে বলিরেখা দেখা দিতে পারে।
অনেকে ক্রিম, স্নো ব্যবহার করছে কিন্তু সব ক্রিম স্নো ব্যবহারেও এক ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। অনেকের হয়তো চামড়া পুড়ে যেতে পারে। অনেকের দেখা যায় বেশি গাঢ় হয়ে গেছে বা ক্ষত হয়ে গেছে। এই ধরনের ক্রিম, স্নো ব্যবহার করা বন্ধ রাখুন। এর নির্দিষ্ট কিছু চিকিৎসা আছে। যেমন- হাইড্রোকুইনো, এসিটিটিনয়েন বা আইসিটিটিনয়েন এটা যোগ করে, সঙ্গে একটা হালকা এক ধরনের স্টেরয়েড এই তিনটির সম্মিলনে এক ধরনের ক্রিম আছে শুধুমাত্র রাতে ব্যবহার করুন এবং সকালবেলা ধুয়ে পরিষ্কার করুন এবং দিনের বেলায় রোদের আলোতে যাবেন না। রোদের আলোতে যাওয়ার আগে অবশ্যই তাকে একটি চিকিৎসকের মতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। কিছু কথা না বললেই নয়: 
* চিকিৎসকের পরামর্শমতো সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। 
* রাতে ওই ধরনের ক্রিম এবং দিনে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। 
* মেছতা সহজে ওষুধে ভালো করা যায় না। সূর্যের আলোতে যাবেন না। 
* পরিবার পরিকল্পনার পিল ব্যবহার না করতে বলি। 
এর আরও কিছু চিকিৎসা আছে কেমিক্যাল পিলিং অথবা মাইক্রোডার্মাবেশন ও লেজার চিকিৎসা। যদিও লেজার চিকিৎসা অতটা ভালো ফল দেয় না, তবে কেমিক্যাল পিলিং ও মাইক্রোডার্মাবেশনে মোটামুটি দেখা যায়, মেছতা অনেকটাই পরিষ্কার করা যায়। এই চিকিৎসাটা ব্যয়বহুল। বিশেষ করে যারা মিডিয়ার জগতে বা মানুষের সামনে বেশি আসেন, তাদের জন্যই সাধারণত পরামর্শগুলো।
বলিরেখার ক্ষেত্রে কোলাজেন ইনজেকশন আছে এক ধরনের। এটি দিলে চামড়া আবার টান টান হয়ে যায়। তিন থেকে চার মাস বা ছয় মাস এর প্রভাবটা থাকে। আবার তাকে নিতে হয়। এটি অনেক ব্যয়বহুল। বাংলাদেশে বটুক্সটা করা হয়। বটুক্স করলে তিন থেকে চার মাসের প্রভাব থাকে। এটা করলে দেখা যায় চামড়া টান টান অবস্থায় আসে এবং বলিরেখা তখন দেখা যায় না।
 

লেখক: সহকারী অধ্যাপক (চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি রোগ বিভাগ) স্যার সলিমুল্লাহ্‌ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা। চেম্বার: আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মিরপুর রোড, ধানমণ্ডি, ঢাকা। প্রয়োজনে বা চিকিৎসা নিতে চাইলে- ০১৭২০-১২১৯৮২

শরীর ও মন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

শরীর ও মন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status