অনলাইন
চট্টগ্রামে শিবিরের হেল্প ডেস্কে ছাত্রদলের হামলা, আহত ৩
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
(১ দিন আগে) ৩১ মে ২০২৫, শনিবার, ৮:১৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ অপরাহ্ন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় হেল্প ডেস্ক বসানোকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজে ছাত্রদলের সাথে শিবিরের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে শিবিরের অন্তত ৩ জন কর্মী আহত হয়। এছাড়া ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজেও শিবিরের হেল্প ডেস্কে ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীরা বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সংঘর্ষে আহতরা হলেন- মোজাহেরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান জীবন ও আব্দুল হাদী। এদের মধ্যে মোজাহেরুল ইসলাম শিবিরের মহানগর উত্তর শাখার কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কলেজের সামনে একটি হেল্প ডেস্ক স্থাপন করে ছাত্রশিবির। সেখানে আগত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বসে বিশ্রাম নেওয়া, পানি পান ও তথ্য জানার ব্যবস্থা ছিল। এরমধ্যে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ছাত্রদলের কিছু কর্মী এসে হেল্প ডেস্ক চালানো যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেয়। কিন্তু শিবিরের কর্মীরা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকলে ছাত্রদল আকস্মিক হামলা চালায়। এতে কয়েকজন আহত হন। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক জাহিদুল আলম জয়ের অভিযোগ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতার জন্য ইসলামী ছাত্রশিবির কলেজের সামনে একটি হেল্প ডেস্ক স্থাপন করে। সেখানে পরীক্ষার্থীদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা এবং অভিভাবকদের জন্য পানি পান ও বসার ব্যবস্থা ছিল। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মী এসে হেল্প ডেস্ক বন্ধ করতে বলে এবং হুমকি দেয়। এরপর শিবিরের কর্মীরা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকলে ছাত্রদল হঠাৎ হামলা চালায়। এতে ৩ জন আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম বলেন, আগে-পরে দাঁড়ানো নিয়ে সামান্য কথা-কাটাকাটি হয়েছে। পরে দুই সংগঠনের কর্মীরাই একসঙ্গে কাজ করেছে। হামলার অভিযোগ সঠিক নয়। শিবির অপপ্রচার চালাচ্ছে। ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মো. বিধান আবিদ বলেন, ছোট একটা বিষয় নিয়ে দু’পক্ষের হালকা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয় হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে।
জানা যায়, কমার্স কলেজের পাশাপাশি সদরঘাটের ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজে শিবিরের হেল্প ডেস্কে বাঁধা দিয়েছে ছাত্রদল। তবে সেখানে কোন সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে কমার্স কলেজে হামলা ও ইসলামিয়া কলেজে হেল্প ডেস্কে বাধা দেয়ার প্রতিবাদে শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রশিবির মহানগর দক্ষিণ। সংবাদ সম্মেলনে শিবির মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মো. ইব্রাহিম রনি বলেন, আমরা নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসাবে ভর্তি-ইচ্ছুদেরকে সহযোগিতা করছিলাম। সেখানে আমরা কোনো রাজনৈতিক প্রচার করতে যাইনি। তবে ছাত্রদল নামধারী কিছু দুর্বৃত্ত সেখানে বাধা দিয়েছে ও হামলা করেছে। সেখানে কিছু যুবলীগ ছাত্রলীগের ক্যাডারও তাদের সাথে ছিলো। ইব্রাহিম রনি বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছিলাম। যে কারণে বড় অঘটন ঘটেনি। তবে আমরা তাদেরকে সাবধান করছি। ক্যাম্পাসে তারা বাড়াবাড়ি ও সন্ত্রাস চালালে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে প্রতিহত করবো।’
পাঠকের মতামত
বুঝা যাচ্ছে ভালো কাজ করলে বিপদ। কিন্তু ভালো কাজ বন্ধ করা যাবে না যে কোন মুল্যে এগিয়ে নিতে হবে। বিগত ১৭ বা আওয়ামীলীগ আমলের চেয়ে কঠি সময় মোকাবেলার প্রস্তুতি নিতে হবে । জনগণ একটা কথা বলে দুই সাপের এক বিষ ।
"ক্যাম্পাসে তারা বাড়াবাড়ি ও সন্ত্রাস চালালে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে প্রতিহত করবো।" সাধারন শিক্ষার্থী বলা কবে বন্ধ করবে? নিজের কর্মী, ক্যাডার নিয়া প্রতিহত- কইতে কি শরম লাগে?
ছাত্র দল চাপাতি লীগ থেকে শিক্ষা গ্রহন না করলে অবাঞ্ছিত হবে শিক্ষাগনে।
তোরা মানুষ হ
এই অবস্থা হলে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার জন্য ছাত্রদলকেও নিষিদ্ধ করতে হবে।
বিএনপির আদর্শ কি তাহলে পরিবর্তিত হয়ে আওয়ামী আদর্শ হয়ে গেছে?