অনলাইন
শাহজাদপুরে রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে সোচ্চার মমতা
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
(২ সপ্তাহ আগে) ১৩ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৯:১৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৪ পূর্বাহ্ন

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত কাছারিবাড়িতে দুষ্কৃতীদের হামলার ঘটনাকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবীন্দ্র সৃষ্টির উপর আক্রমণ বলে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই হামলা কবিগুরুর নিরন্তর সৃষ্টিকর্মের প্রতি অবমাননা।
প্রতিবেশী’র সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা এক চিঠিতে আরজি জানিয়েছেন মমতা।
মোদিকে মমতা লিখেছেন, প্রতিবেশী দেশে আমাদের ঐতিহ্যের প্রতি এমন হিংসাত্মক কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে সে দেশের সরকারের সঙ্গে কথা বলুন। এভাবে যেন আর কোনও ঐতিহাসিক স্থাপত্য, নিদর্শন ধ্বংস না হয়। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিবাদ প্রয়োজন জানিয়ে বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু দুই বাংলার নন, গোটা বিশ্বের গর্ব। সময়ের দাবি মেনে তার স্মৃতি বিজড়িত সব কিছু রক্ষা করতে হবে আমাদের।
মমতা বলেছেন, বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে ঐতিহাসিক স্থান, কবিগুরুর পৈতৃক বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনার কথা জানতে পেরে অত্যন্ত দুঃখ পেয়েছি। এটা শুধু বাড়ি ভাঙচুরই নয়। রবীন্দ্রনাথের বহু অসামান্য সৃষ্টির নেপথ্যে এই বাড়িটি। তাই আমরা মনে করি, এই হামলা সেসব সৃষ্টির উপর আক্রমণ।
বিশ্বকবির সিরাজগঞ্জের পৈত্রিক বাড়িটি ঐতিহাসিকভাবে কাছারিবাড়ি নামেই পরিচিত। এই বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ বিভিন্ন সময়ে থেকেছেন। এখানে বসেই তিনি অনেক সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন। বর্তমানে এখানেই রবীন্দ্র মেমোরিয়াল মিউজিয়াম গড়ে উঠেছে। সেই মিউজিয়ামেই গত মঙ্গলবার দুষ্কৃতিরা হামলা চালিয়ে বহু ঐতিহাসিক নথিপত্রের ক্ষতিসাধন করেছে। পশ্চিমবঙ্গের বিরোধীদলীয় বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীও এই হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে তিনি ‘বিএনপি এবং ছাত্রশিবিরের কর্মীদের হামলার জন্য দায়ী’ করেছেন। তিনি লিখেছেন, আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পবিত্র ঐতিহ্যকে বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে অপবিত্র করা হয়েছে। এই লজ্জাজনক এবং সম্পূর্ণরূপে লজ্জাজনক ধ্বংসাত্মক কাজটি এমন একটি স্থানকে লক্ষ্য করে করা হয়েছে যা বাংলার সাংস্কৃতিক আত্মা এবং রবীন্দ্রনাথের মানবতার সার্বজনীন বার্তার প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন।
পাঠকের মতামত
বাংলাদেশে অন্যান্য হেরিটেজের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ীও অন্যতম। কিছু দুষ্কৃতিকারীর দ্বারা সংঘটিত বিশৃংখলাকে সরকার কঠোরভাবে মোকাবেলা করছে। দুঃখজনক যে বিদেশী একটি দেশের মূখ্যমন্ত্রী যে ভাষায় কথা বলেছেন তা শিষ্টাচারের চরম লংঘন। ভারতজুড়ে মসজিদ ভাঙ্গার যে মহোৎসব তারা চালাচ্ছেন সেদিকে তিনি যেন নজর দেন এবং তার সরকারকে নিবৃত রাখেন।
ভারতে যখন গরু রেখে মানুষ মারা হয়, মসজিদ ভাংগা হয় তখন উনারা গরুর গাই হয়েযান। বাংলাদেশ বিষয়ে নাকগলাতে নিষেধ করুন।
ভারতে যখন মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা হয়, মমতা তুমি কই থাকো বোন?