অনলাইন
আসামের মুখ্যমন্ত্রী এনআরসিও মানতে চান না, জেদ ধরেছেন পুশব্যাকের
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
(২ সপ্তাহ আগে) ১৩ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৪ পূর্বাহ্ন

আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)ও মানতে চান না। তিনি জেদ ধরেছেন বিদেশিদের পুশব্যাকের মাধ্যমে ফেরত পাঠাবেনই।
বুধবার দারাংঙয়ে এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের বর্তমান নীতি হলো জাতীয় নাগরিক পঞ্জিতে (এনআরসি) নাম থাকলেও বিদেশিদের ফেরত পাঠানো। বিশ্বশর্মার মতে,আসামে এনআরসি যেভাবে পরিচালিত হয়েছে তাতে সন্দেহের অনেক সুযোগ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এটি কোনও ব্যক্তির নাগরিকত্ব নির্ধারণের জন্য একমাত্র নথি হতে পারে না।
অথচ আসামে বসবাসকারী প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকদের একটি সরকারি রেকর্ড হলো এনআরসি। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে এটি আপডেট করা হয়েছিল এবং ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট প্রকাশিত হয়েছিল, যার ফলে ১৯ লক্ষেরও বেশি আবেদনকারী বাদ পড়েছিলেন। তবে, ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেল কর্তৃক এটি প্রজ্ঞাপিত করা হয়নি। আসামের মুখ্যমন্ত্রীর মতে, বিতর্কিত নথিটি কোনও সরকারি বৈধতা ছাড়াই রয়ে গেছে। বিশ্বশর্মা বলেন, অনেক মানুষ অন্যায্য উপায়ে এনআরসিতে তাদের নাম প্রবেশ করিয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষ যদি নিশ্চিত হয় যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশি, তাহলে আমরা (বিদেশিদের) পুশব্যাক করার নীতি গ্রহণ করেছি।
তিনি জানান, গত মাস থেকে আসাম জুড়ে সন্দেহজনক নাগরিক সন্দেহে বিপুল সংখ্যক মানুষকে দেশব্যাপী অভিযানের অংশ হিসেবে আটক করা হয়েছে এবং তাদের অনেককে বাংলাদেশে ফেরতও পাঠানো হয়েছে। তবে প্রতিবেশী দেশ তাদের নাগরিক হিসেবে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর তাদের মধ্যে কয়েকজন ফিরে এসেছেন।
গত ৯ জুন বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে বিদেশিদের শনাক্তকরণ এবং ফেরত পাঠানো নিয়ে বক্তব্য রেখে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজ্য সরকার ১৯৫০ সালের অভিবাসী (আসাম থেকে বহিষ্কার) আইন বাস্তবায়ন করবে। এই আইনের মাধ্যমে আদালত ছাড়াই জেলা কমিশনারদের অবৈধ অভিবাসী ঘোষণা করা এবং তাদের ফেরত পাঠানোর ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত
Hemont babu, You are following too much communal line Rhetoric line never work in the long run