অনলাইন
'বিমান ভেঙে পড়ার সাথে সাথে তীব্র ধাক্কায় আমার সিটটা খুলে এল'
মানবজমিন ডিজিটাল
(২ সপ্তাহ আগে) ১৩ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৪:৫৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:২৪ পূর্বাহ্ন

আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI171 দুর্ঘটনার একমাত্র জীবিত ব্যক্তি, যে দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই ২৬৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। দুর্ঘটনার পরে তীব্র আগুনের হাত থেকে অলৌকিকভাবে বেঁচে ফিরেছেন বিশ্বাস কুমার রমেশ। হাসপাতালের বেডে শুয়ে বর্ণনা করলেন সে কথা। এই বৃটিশ নাগরিক বিমানের বাম দিকে জরুরি দরজার পাশে ১১এ-সিটে বসেছিলেন । আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডাক্তারদের তিনি বলেন, উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই বিমানটি ভেঙে যায় এবং তার আসনটি ছিটকে বেরিয়ে আসে। ফলস্বরূপ, বিমানের বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়া আগুন থেকে তিনি রক্ষা পান। রমেশ ডাক্তারদের জানান যে তিনি বিমান থেকে লাফ দেননি বরং বিমানটি ভেঙে পড়ার সময় সিটের সাথে বেল্ট বেঁধে থাকা অবস্থায় ছিটকে পড়েন । রমেশ ডিডি নিউজকে জানিয়েছেন - আমি যেখানে অবতরণ করেছিলাম সেই জায়গাটি নিচু ছিল আমি মাটির কাছাকাছি ছিলাম। সিট বেল্ট খুলে ফেলে কোনোরকমে বিমান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করি। হাসপাতাল থেকেই রমেশ বলেছেন, বিমান ওড়ার মাত্র ৩০ সেকেন্ড পর একটা প্রচণ্ড শব্দ শুনতে পেয়েছিলাম। তার পরেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। সব কিছু খুব দ্রুত ঘটে গিয়েছিল। তিনি আরও বলেছেন, আমি যখন উঠে দাঁড়াই, আমার চারপাশে শুধু লাশ আর লাশ। খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। উঠেই আমি দৌড়োতে শুরু করি। আমার চারপাশে বিমানের অনেক টুকরো দেখতে পেয়েছিলাম। তার পর কেউ আমাকে টেনে ধরে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলল। আমি হাসপাতালে চলে এলাম। ঘটনার ভয়াবহতার পর এখনো তাঁর বিশ্বাস হচ্ছে না তিনি বেঁচে আছেন। বলছেন - আমি ভেবেছিলাম আমিও বুঝি মারা যাব। আমার চোখের সামনেই একের পর এক মানুষ মারা গেল। বর্তমানে ট্রমা ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এই বৃটিশ নাগরিককে। ঘটনার আনুষ্ঠানিক তদন্ত চলছে। শেষ গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোতে কী ঘটেছিল তা বোঝার জন্য বিমানের ব্ল্যাক বক্স - ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডার-এর অনুসন্ধানও চলছে।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে
পাঠকের মতামত
He is a very lucky man to have survived amid the deaths of all other passengers and crew members. He should only thank God for this miracle. Hope he can do something good for humanity to repay this debt.