অনলাইন
নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আসা শুরু
স্টাফ রিপোর্টার
(২ সপ্তাহ আগে) ১৫ জুন ২০২৫, রবিবার, ৯:২২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৫ পূর্বাহ্ন
নেপাল থেকে আমদানি বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। শনিবার রাত ১২টার দিকে ভারতের সঞ্চালন লাইন ব্যবহার করে দেশটি থেকে প্রথম ৩৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি ইউনিটের দাম ৭ টাকা ৮৭ পয়সা (৬ দশমিক ৪ সেন্ট)। ভারতের মুজাফফরপুর-বাহারামপুর হয়ে বাংলাদেশের ভেড়ামারা দিয়ে এ বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।
বাংলাদেশ-নেপাল পাঁচ বছর মেয়াদি চুক্তি করেছে। প্রতিবছর ১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাস বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করবে নেপাল। গত বছরের ১৫ নভেম্বর চুক্তি বাস্তবায়নে প্রতীকী হিসেবে এক দিনের জন্য বাংলাদেশে বিদ্যুৎ দিয়েছিল নেপাল।
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের (পিজিসিবি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার রাত ১২টা থেকে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়। রোববার বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায় ৩৮ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে। ভারতের ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন ব্যবহার করে ঘণ্টায় ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি করছে নেপাল।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বিদ্যুৎ কেনাবেচার বিশেষ সুযোগ রয়েছে। কারণ, নেপাল জলবিদ্যুৎনির্ভর দেশ এবং তাদের বিপুল পরিমাণ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। গ্রীষ্ম মৌসুমে (জুন-নভেম্বর) নেপালে চাহিদার চেয়ে বেশি জলবিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, যা ওই সময়ে বাংলাদেশ চাহিদা পূরণে ব্যবহার করতে পারে। আবার শীত মৌসুমে (নভেম্বর-মার্চ) নেপালের অধিকাংশ জলভাগ জমে বরফ হয়ে যায়। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস পায়। সেই সময় বাংলাদেশে চাহিদা কমে ৭-৮ হাজার মেগাওয়াটে নেমে আসে। উৎপাদন সক্ষমতার বড় অংশ অলস থাকে। বাংলাদেশ উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ শীত মৌসুমে নেপালে রপ্তানি করতে পারে। এতে উভয় দেশ লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
পাঠকের মতামত
এই চুক্তিটা খুবই ভালো হয়েছে। বাংলাদেশের প্রয়োজনে নেপালের উদ্বৃত্ত বিদ্যুত বাংলাদেশে আসবে, আবার নেপালের প্রয়োজনে বাংলাদেশের উদ্বৃত্ত বিদ্যুত নেপালে যাবে। তাতে দুই দেশই উপকৃত হবে।
মাত্র ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিয়ে তেমন কোন কাজ হবে না।
Good news, increase the quantity, প্লিজ