অনলাইন
নিউ ইয়র্কে বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা
নির্বাচনের আগে রাষ্ট্র সংস্কার খুবই প্রয়োজন
সিদ্দিকুর রহমান সুমন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে
(১ দিন আগে) ৭ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ১১:২৪ পূর্বাহ্ন
মৌলিক রাজনৈতিক পরিবর্তন না হলে যে আশা, আকাঙ্ক্ষা আর স্বপ্ন নিয়ে ছাত্র-জনতার রক্তে নতুন বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে তা বাস্তবায়ন হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিউ ইয়র্কের বিশিষ্টজনরা। বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে যদি গণতন্ত্র না থাকে, নেতা নির্বাচনে কর্মীদের মনোভাবের বিকাশ না ঘটে তাহলে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হবে না। তারা জানান, প্রচলিত পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচনের আগে রাষ্ট্র সংস্কার খুবই প্রয়োজন। তা না হলে বাংলাদেশ পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না, যা হয়নি স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও ।
নিউ ইয়র্কে দৈনিক মানবজমিনসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সমসাময়িক রাজনৈতিক ও বাংলাদেশের ঘটনা প্রবাহের প্রবন্ধ নিয়ে সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খানের লেখা ‘বাংলাদেশের স্বপ্ন ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান’ এর প্রকাশনা উৎসবে বক্তারা এসব কথা বলেন ।
রোববার স্থানীয় একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। সাংবাদিক আদিত্য শাহীনের উপস্থাপনায় এতে বক্তারা জানান, বাংলাদেশে জনগণের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হলে রাজনৈতিক সংস্কার অত্যাবশ্যক। তা না হলে ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। চলমান রাজনীতির অক্টোপাস থেকে মুক্ত হয়ে নতুন এক রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্র সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিয়ে রাজনীতিতে পরিবর্তন আনাকে এর পূর্বশর্ত হিসেবে স্থির করা উচিত। শুধুমাত্র একটি নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেই জাতির আকাঙ্ক্ষার পূরণ হবে না।
বক্তারা বলেন, একটি গণতান্ত্রিক সুশাসন আর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই ২৪শের জুলাই-আগস্টে গণ অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। যে আশা আকাঙ্ক্ষা আর স্বপ্ন নিয়ে ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে তার মুল ভিত্তি হলো বৈষম্যহীন সমাজ আর রাষ্ট্র। যেখানে মানুষ পাবে তাদের অধিকার, প্রতিষ্ঠিত হবে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক মনজুর হোসেন, হাসান ফেরদৌস, লেখক ও কলামিস্ট মাহমুদ রেজা চৌধুরী, বিশিষ্ট কবি কাজী জহিরুল ইসলাম, সাপ্তাহিক ঠিকানার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি এম এম শাহীন, সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকার সম্পাদক আবু তাহের, সাপ্তাহিক প্রবাসের সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ, বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব খন্দকার বদরুজামান পিকলু, ফখরুল ইসলাম দেলওয়ার, এবিএম ওসমান গণি, সৈয়দ আল আমীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেট থেকে আগত অতিথিরা ছাড়াও নিউ ইয়র্কের কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।