ঢাকা, ৮ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১২ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

তরুণেরা চান শিক্ষা-স্বাস্থ্যে সংস্কার, ‘মব’ ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

অনলাইন ডেস্ক

(৯ ঘন্টা আগে) ৮ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯:৩২ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৫:১৭ অপরাহ্ন

mzamin

প্রথম আলো

তরুণেরা চান শিক্ষা-স্বাস্থ্যে সংস্কার, ‘মব’ ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ-এটি দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও মব (সংঘবদ্ধ বিশৃঙ্খলা) নিয়ে উদ্বিগ্ন তরুণেরা। তাঁরা চান সাধ্যের মধ্যে আধুনিক শিক্ষা ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা। সংস্কারের ক্ষেত্রেও তাঁরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও শ্রমবাজারকে অগ্রাধিকারে দেখতে চান।

তরুণদের এই মনোভাব উঠে এসেছে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও একশনএইডের একটি জরিপে। জুলাই অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তরুণদের ভাবনা–সম্পর্কিত এই জরিপ গতকাল সোমবার প্রকাশ করা হয়।

জরিপে তরুণদের কাছে একটি প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, ‘নিচের আর্থসামাজিক অবস্থা জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করছে—আপনি কি একমত?’ জবাবে বারবার অগ্নিসংযোগ, দস্যুতা (ছিনতাই) ও চুরি নিয়ে উদ্বেগের ক্ষেত্রে একমত পোষণ করেছেন ৮০ শতাংশ তরুণ উত্তরদাতা। দ্বিমত পোষণ করেছেন ৮ শতাংশের কম। বাকিদের মতামত ছিল না।

‘মব’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রায় ৭২ শতাংশ উত্তরদাতা। জনপরিসর নিরাপত্তাহীন (বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে)—এ বিষয়ে একমত ৬১ শতাংশের বেশি উত্তরদাতা। বিষয়টি নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন ১৬ শতাংশ। অন্যায্য ও রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট গ্রেপ্তার ও বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন ৫৬ শতাংশ তরুণ। এ প্রশ্নে দ্বিমত পোষণ করেছেন ১৫ শতাংশ।

জরিপে উঠে এসেছে, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর ৭৮ শতাংশ তরুণের ব্যক্তিগতভাবে সুনির্দিষ্ট প্রত্যাশা ছিল। সাধ্যের মধ্যে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার প্রত্যাশা ছিল প্রায় ৭৩ শতাংশ তরুণের। ৬৭ শতাংশ তরুণের প্রত্যাশা সাধ্যের মধ্যে উন্নত ও সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা। এরপর রয়েছে রাজনৈতিক দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি দূর করা। এই প্রত্যাশার কথা বলেছেন ৬৫ শতাংশের বেশি তরুণ। তরুণদের প্রত্যাশার মধ্যে শক্তিশালী বিচারব্যবস্থা, জনপরিসর ও অনলাইনে নিরাপত্তা, সুষ্ঠু নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও প্রতিনিধিত্বমূলক রাজনীতি, ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ ইত্যাদিও রয়েছে।

দেশের আট বিভাগের ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ২ হাজার তরুণের (নারী ও পুরুষ) ওপর জরিপটি করা হয়েছে। গত ২০ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত জরিপে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এতে গ্রাম ও শহরাঞ্চল থেকে উত্তরদাতা নেওয়া হয়েছে।

সানেমের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান প্রথম আলোকে বলেন, ‘জরিপে আমরা দেখেছি, তরুণেরা আইনশৃঙ্খলা ও মব পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। এটা নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকার খুব একটা সফলতা দেখাতে পারেনি।’

তরুণেরা কোন সংস্কার চান

জরিপে কর্মসংস্থান, অভিবাসন, রাজনীতি, নির্বাচন, অন্তর্বর্তী সরকারের পারদর্শিতা, সংস্কার ইত্যাদি নানা বিষয়ে তরুণদের প্রশ্ন করা হয়।

জরিপে প্রশ্নের জবাবে ৫৬ শতাংশ তরুণ সংস্কার নিয়ে বিভিন্ন মাত্রায় অবহিত থাকার কথা উল্লেখ করেছেন। ৪৪ শতাংশ বলেছেন, তাঁদের এ বিষয়ে মোটেও ধারণা নেই। নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ নিয়ে সংস্কারের কথা জানার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন ৫০ শতাংশ বা তার বেশি তরুণ। বাকি ক্ষেত্রে হার ৫০ শতাংশের কম। শ্বেতপত্র কমিটি সম্পর্কে শুনেছেন সবচেয়ে কম, ৬ দশমিক ৬ শতাংশ তরুণ।

সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়িত হবে কি না, এ প্রশ্নে অর্ধেকের কম তরুণ কমবেশি আশাবাদ দেখিয়েছেন। বাকিরা তেমন আশাবাদী নন অথবা নিশ্চিত নন। তরুণেরা কোন কোন ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কার চান, সেই প্রশ্নও করা হয়েছিল। উত্তরে সবচেয়ে বেশি জোর এসেছে শিক্ষা (৯৪ শতাংশ), স্বাস্থ্য (৯২ শতাংশ), শ্রমবাজার (৯০ শতাংশ), মানবাধিকার, অর্থাৎ নিরাপত্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা (৮৯ শতাংশ), প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার (৮৫ শতাংশ) ইত্যাদি ক্ষেত্রে।

অনুষ্ঠানে সেলিম রায়হান বলেন, সংস্কারের একটি সুযোগ এখন এসেছে। এটা কাজে লাগাতে না পারলে বড় পরিবর্তন আনা যাবে না। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের প্রত্যাশার বাস্তবায়ন হবে না।

সরকার কেমন করছে

জরিপে ১৩টি বিষয় উল্লেখ করে সে ক্ষেত্রে সরকার কেমন করছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। দেখা গেছে, তিনটি ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ বা তার বেশি তরুণ সরকারকে সফল উল্লেখ করেছেন—মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুরক্ষা (৫৬ শতাংশ), সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা (৫৩ শতাংশ) ও অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনা (৫১ শতাংশ)।

বেশি সংখ্যক তরুণ সরকারকে ব্যর্থ বলে উল্লেখ করেছেন রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ (৪০ শতাংশ), নারীর নিরাপত্তা (৩৯ শতাংশ), কর্মসংস্থান সৃষ্টি (৩৮ শতাংশ), স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ (৩৮ শতাংশ) এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় (৩৫ শতাংশ)। উল্লেখ্য, সফলতা ও ব্যর্থতার প্রশ্নে বড় অংশের উত্তরদাতা কোনো মতামত দেননি।

৪০ শতাংশের কম উত্তরদাতা সরকারকে সফল বলেছেন, এমন খাতের মধ্যে আরও রয়েছে বিনিয়োগ পরিবেশ, আমলাতন্ত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি।

জরিপে প্রশ্নের জবাবে ৭৭ শতাংশ তরুণ বলেছেন, তাঁরা আগামী নির্বাচনে ভোট দেবেন। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে কি না, সেই প্রশ্নে আশাবাদের মাত্রায় ভিন্নতা রয়েছে। ৪১ শতাংশ মোটামুটি, ২৮ শতাংশ অত্যন্ত ও ১২ শতাংশ পুরোপুরি আশাবাদী। ১৩ শতাংশ আংশিক আশাবাদী। ৬ শতাংশ মোটেও আশাবাদী নয়।

কোন দল কত শতাংশ ভোট পাবে, সে সম্পর্কে ধারণা জানতে চাওয়া হয়েছিল তরুণদের কাছে। উত্তরদাতাদের মতে, আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি—৩৮ দশমিক ৭৬ ভোট বিএনপি পাবে। এরপর জামায়াতে ইসলামী ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ১৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ ভোট পাবে। এ ছাড়া বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নিবন্ধন স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পায় তাহলে ১৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ ভোট পাবে বলে ওই তরুণেরা মনে করেন। তাঁদের মতে, জামায়াতের বাইরে অন্য ইসলামিক দলগুলো ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ ভোট পেতে পারে। জাতীয় পার্টি পাবে ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ ভোট।

সেলিম রায়হান বলেন, এখানে যে মতামত এসেছে, তা শুধু বাছাই করা ওই তরুণদের মতামত। এটাকে দেশের পুরো জনগোষ্ঠীর বা অন্যান্য বয়সের মানুষের মতামত হিসেবে বিবেচনা করা উচিত হবে না। বিশেষ করে রাজনীতির মতো সংবেদনশীল বিষয়গুলোতে তা কখনোই করা সংগত হবে না।

জরিপের তথ্যমতে, তরুণদের ৮৭ দশমিক ৪ শতাংশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে রাজনীতির তথ্য পান। এরপর রয়েছে টেলিভিশন (৪৮ শতাংশ), বন্ধুবান্ধব (৩৭ শতাংশ), সংবাদপত্র (১৩ শতাংশ) এবং বাকিরা অন্যান্য মাধ্যম থেকে তথ্য পান।

রাজনীতিতে আগ্রহ নেই

রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে ফলাফল তুলে ধরেন সানেমের গবেষণা সহযোগী সাফা তাসনীম। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব মুহাম্মদ মুনীরুজ্জামান ভূঁঞা এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ কুদ্দুছ আলী সরকার অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

জরিপে ৮৩ শতাংশ তরুণ বলেছেন, তাঁরা রাজনীতিতে যোগ দিতে আগ্রহী নন। এর বড় তিনটি কারণ হলো রাজনৈতিক সহিংসতা, রাজনীতিতে দুর্নীতি ও নৈতিকতার ঘাটতি এবং পারিবারিক ও সামাজিকভাবে নিরুৎসাহিত করা। পেশাজীবনে তরুণেরা সরকারি চাকরিতে বেশি আগ্রহী।

জরিপের ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, রাজনীতিতে যেসব তরুণ আসেন, তাঁরা সুযোগ–সুবিধা পাওয়ার আশায় নাকি সত্যিকারের পরিবর্তন বা আদর্শ নিয়ে আসেন, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। তিনি আরও বলেন, গণ–অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব সব সময় তরুণেরাই দিয়েছেন, কিন্তু নীতিনির্ধারণে গিয়ে আর এই তরুণেরা থাকেন না।

যুগান্তর

দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর ‘৫৮৭ প্রস্তাবের ৪৩৬টিতে একমত বিএনপি’। প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বেশির ভাগ সংস্কার প্রস্তাবেই একমত হয়েছে বিএনপি। চারটি কমিশনের মোট ৫৮৭ প্রস্তাবের মধ্যে ৪৩৬টিতেই একমত দলটি। এর মধ্যে দুদক সংস্কার কমিশনের ৪৭ সুপারিশের ৪৬টিতে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ২০৮ সুপারিশের ১৮৭টিতে, বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের ৮৯ সুপারিশের ৬২টিতে এবং নির্বাচনিব্যবস্থা বিষয়ক সংস্কার কমিশনের ২৪৩ সুপারিশের মধ্যে ১৪১টিতে একমত বিএনপি। এছাড়া আরও ২৮টি প্রস্তাবে আংশিক একমতও পোষণ করেছে।

ছয়টি সংস্কার কমিশনের মধ্যে পুলিশ সংস্কার কমিশনের বিষয় এখনো চূড়ান্ত আলোচনা হয়নি। তবে এ কমিশনের প্রস্তাবে থাকা র‌্যাব বিলুপ্তিসহ প্রায় সব বিষয়েই ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আর সংবিধান সংস্কার কমিশনের ১৩১টি সুপারিশে বিএনপি দফাওয়ারি মতামত দিয়েছে। এতেও অধিকাংশ সুপারিশে একমত দলটি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৭০ অনুচ্ছেদ ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, জাতীয় সংসদে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ বিরোধী দলকে দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চারটিসহ আসন সংখ্যার অনুপাতে সভাপতির পদ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাসংক্রান্ত আর্টিকেল ৪৯ পরিবর্তনে একমত দলটি।

আরও একমত পোষণ করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন, ন্যায়পাল আইন যুগোপযোগী করা, জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা বিন্যাসে সংস্কার আনার জন্য সংবিধানের সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ সংশোধন ও আইনের মাধ্যমে বিশেষায়িত কমিটি গঠন, উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণ, জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিধান পরিবর্তন ও সংশোধনও। বিএনপি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

কালের কণ্ঠ

‘দ্রুতই নির্বাচনী পালে হাওয়া’-এটি দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে কি না—এ প্রশ্নে এক ধরনের অস্পষ্টতার মধ্যেও ইতিবাচক উত্তরই মিলছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থী নির্ধারণসহ নির্বাচনমুখী নানা তৎপরতা এবং সংস্কার নিয়ে দ্রুত সংলাপ শেষ করতে দলগুলোকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহযোগিতার আহবান নির্বাচন আসন্ন বলেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। অনেকের সঙ্গে এ ধারণা পোষণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বীর আহমেদ। তিনি গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, সংশয়-সন্দেহের মধ্যেও নির্বাচনমুখী পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলেই আমার মনে হয়।

দেশে নির্বাচন হওয়া এবং নির্বাচিত সরকার গঠনও খুব জরুরি। অনেকের পর্যবেক্ষণ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এম নাসির উদ্দিন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে আসার পর গত মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন,  ‘নির্বাচনের জন্য ফুল গিয়ারে প্রস্তুতি চলছে। আমাদের ফোকাস জাতীয় নির্বাচন। এই মুহূর্তে আমাদের প্রস্তুতি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে।

স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি নেই।’ তিনি আরো বলেন, সময় এলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনের তারিখ জানানো হবে। গত  রবিবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাজধানীর উত্তরায় শিল্পাঞ্চল পুলিশ সদর দপ্তর ও উত্তরা পূর্ব থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আর পাঁচ-ছয় মাস পরেই নির্বাচন ধরে পুলিশ প্রস্তুতি নিচ্ছে।’ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আগামী ১৮ মাসের মধ্যে যাতে নির্বাচন হতে পারে, সে জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো সম্পন্ন করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেন।

সমকাল

দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম ‘শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস-ফেলের খেলা’। খবরে বলা হয়, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। গত ৪ জুন প্রকাশিত ফলে দেখা গেছে, একই দিন ও একই বিষয়ে কোনো কোনো বোর্ডে ৩০ জনের মধ্যে ২৯ জনই ফেল করেছেন। আবার অন্য বোর্ডে ৩০ জনের মধ্যে ২৯ জন পাস করেছেন। এ ধরনের বেশ কিছু ঘটনাকে ভূতুড়ে, গোঁজামিল ও অযৌক্তিক বলছেন প্রার্থীরা।

বোর্ডভিত্তিক ফলে ব্যাপক বৈষম্য দেখা যাওয়ায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগী চাকরিপ্রার্থীরা। তারা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে ফল পুনর্মূল্যায়ন ও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। প্রায় প্রতিদিনই রাজধানীতে আন্দোলন করছেন তারা।

গতকাল সোমবারও শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীরা এনটিআরসিএ ভবন ঘেরাও করেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, তারা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। মৌখিক পরীক্ষায় ৮৩ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৩ হাজার জনকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করানো হয়েছে। তাই তাদেরও উত্তীর্ণ সনদ দিতে হবে।

চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, ভাইভা বোর্ডে মাত্র ৮ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে এই ফলবৈষম্য তৈরি করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে যোগ্যতা, মেধা, এমনকি প্রশ্নের উত্তরদানের দক্ষতা বিবেচনায় না নিয়ে মনগড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ইত্তেফাক

‘উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত স্থাপনে ঐকমত্য’-এটি দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, এবার উপজেলা পর্যায়ে পর্যায়ক্রমে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণের ক্ষেত্রেও একমত পোষণ করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে, এক্ষেত্রে ভৌগোলিক অবস্থানে যেসব উপজেলা জেলা সদরের নিকটবর্তী সেখানে আদালত স্থাপনের বিপক্ষে দলগুলো। গতকাল সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের দশম আলোচনায় দলগুলো এব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছায়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে রাজধানীর পাশাপাশি প্রতিটি বিভাগীয় শহরেও হাইকোর্টের এক বা একাধিক স্থায়ী বেঞ্চ করার বিষয়েও একমত হয় দলগুলো।

ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়, উপজেলা সদরের ভৌগোলিক অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য, জেলা সদর থেকে দূরত্ব ও যাতায়াত ব্যবস্থা; জনসংখ্যার ঘনত্ব ও বিন্যাস এবং মামলার চাপ বিবেচনা করে কোন কোন উপজেলায় স্থায়ী আদালত স্থাপন করা প্রয়োজন তা নির্ধারণ করতে হবে।

বর্তমানে যেসব উপজেলায় চৌকি আদালত পরিচালিত হয়, সেগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে সবগুলো চৌকি আদালতকে স্থায়ী আদালতে রূপান্তর করা প্রয়োজন, নাকি সেক্ষেত্রেও পুনর্বিবেচনা ও পুনর্বিন্যাসের সুযোগ রয়েছে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কথা বলা হয়েছে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবে। বাস্তব পরিস্থিতির নিরিখে উপজেলা সদরে স্থাপিত কোনো আদালতের জন্য একাধিক উপজেলাকে সমন্বিত করে অধিক্ষেত্র নির্ধারণ করা প্রয়োজন হলে, তা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও প্রস্তাবে উল্লেখ করে কমিশন।

প্রস্তাবে আরো বলা হয়, উপজেলা আদালতগুলোতে সিনিয়র সহকারী জজ ও প্রথম শ্রেণিরর ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের বিচারকদের পদায়ন করতে হবে। দেওয়ানি মামলা গ্রহণে সিনিয়র সহকারী জজের আর্থিক এখতিয়ার বাড়িয়ে বাস্তবানুগ করাও প্রয়োজন। আইনগত সহায়তা কার্যক্রম উপজেলা পর্যায়ে সম্প্রসারিত করতে হবে।

নয়া দিগন্ত

আগামী নির্বাচন নিয়ে সানেমের যুব জরিপ নিয়ে দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম ‘বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২২ এনসিপি ১৬ ভাগ ভোট পাবে’। খবরে বলা হয়, আগামী নির্বাচনে বিএনপি ৩৮.৭৬ শতাংশ, জামায়াত ২১.৪৫ শতাংশ, এনসিপি ১৬ শতাংশ ভোট পাবে বলে মনে করে দেশের তরুণ জনগোষ্ঠী। এর পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মীয় দলগুলো পাবে ৪.৫৯ শতাংশ ভোট, জাতীয় পার্টি পাবে ৩.৭৭ শতাংশ এবং অন্যান্য দল পাবে শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ ভোট। ৫১ শতাংশ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার দেশে সোস্যাল হারমনি (সামাজিক ঐক্য) বজায় রাখতে সক্ষম হচ্ছে। ৫০ ভাগ তরুণ দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে সন্তুষ্ট। অন্যদিকে, আইনশৃখলা পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্ট নয় ৩৫ ভাগ তরুণ। ৯৪ ভাগ তরুণ আশাবাদী আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। তবে তরুণরা রাজনৈতিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে হতাশ।

গতকাল সোমবার সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) ও অ্যাকশন এইডের যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

তারা কোনো মত দেননি। যুব জরিপ-২০২৫ শীর্ষক এই জরিপ প্রকাশ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত ব্র্যাংক-ইন সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সানেম নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হানের নেতৃত্বে গবেষণা দল এই জরিপ পরিচালনা করেন। গবেষণা দলে আরো ছিলেন একরামুল হাসান, শাফা তাসনিম, এশরাত শারমিন, নীলাদ্রি নভিয়া নভেলি এবং মো: রজিব।

বণিক বার্তা

‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের চুক্তি হওয়া নিয়ে উদ্বেগ ও সংশয়’-এটি দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ওপর গত ২ এপ্রিল উচ্চ হারে পারস্পরিক বা পাল্টা শুল্ক (রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ) আরোপ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে তা তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখার ঘোষণা দেন তিনি, যে সময়সীমা শেষ হবে আগামীকাল ৯ জুলাই। এ সময়ের মধ্যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দরকষাকষি শুরু হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশকেও রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ বিষয়ক বাণিজ্য চুক্তির খসড়া পাঠিয়েছে দেশটি। কিন্তু ৯ জুলাইয়ের মধ্যে চুক্তি হওয়া নিয়ে সংশয় এখনো কাটেনি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

এরই মধ্যে কিছু দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করেছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরো বেশকিছু চুক্তি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্য দেশগুলোর ক্ষেত্রে কী হবে তা পরিষ্কার করেননি তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসান্টও একই কথা জানিয়ে বলেন, ৯ জুলাইয়ের সময়সীমা মাথায় রেখে নতুন অনেক দেশ তাদের কাছে চুক্তির প্রস্তাব পাঠিয়েছে।

তবে পাল্টা শুল্ক কার্যকরের সময়সীমা বৃদ্ধির কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব কমার্স হাওয়ার্ড লুটনিক। দেশটির স্থানীয় সময় রোববার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পাল্টা শুল্ক ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। প্রেসিডেন্ট এখন শুল্কহার নির্ধারণ এবং বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাজ করছেন।

আজকের পত্রিকা

দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘অর্ধেক শিক্ষকে চলছে মেডিকেল’। খবরে বলা হয়, বর্তমানে দেশের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের প্রায় অর্ধেকই (৪২%) ভর্তি হচ্ছে সরকারি কলেজগুলোতে। অথচ বিদ্যমান ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষকের তীব্র সংকট চলছে। বিশেষ করে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকসহ মোট পদের ৪৩ শতাংশই খালি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এতে শিক্ষার্থীদের শিখন ও প্রশিক্ষণে ঘাটতি থাকছে। মানসম্মত চিকিৎসক তৈরিতে থেকে যাচ্ছে বড় ধরনের দুর্বলতা।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়গুলোতে প্রতি শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস (ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি) ডিগ্রিতে ৫ হাজার ৩৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এ ছাড়া পুরোনো কয়েকটি কলেজে রয়েছে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ডক্টর অব মেডিসিন (এমডি), মাস্টার্স অব সার্জারি (এমএস), এফসিপিএস, এমফিল ও ডিপ্লোমা ডিগ্রি।

সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষকের অনুমোদিত পদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ খালি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। তথ্য বলছে, শিক্ষকের ৬ হাজার ৩৮৪টি পদের মধ্যে খালি রয়েছে ২ হাজার ৭২৫টি। সবচেয়ে বেশি খালি অধ্যাপক পদে। পদের বিপরীতে ৬৪ শতাংশ অধ্যাপক নেই কলেজগুলোতে। অধ্যাপকের ৮৭৭টি পদের বিপরীতে ৫৬৫টিই খালি। সহযোগী অধ্যাপকের ১ হাজার ৬৩৪টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে খালি ৭৩৫টি বা ৪৫ শতাংশ। ২ হাজার ৪৫৩টি সহকারী অধ্যাপক পদের বিপরীতে ১ হাজার ২৫৩টি পদ খালি রয়েছে, যা পদের ৫১ শতাংশ। সবচেয়ে কম খালি প্রভাষকের পদ। মোট ১ হাজার ৪২০টি প্রভাষক পদের বিপরীতে ১৭২টি শূন্য রয়েছে।

দেশ রূপান্তর

‘জটিলতা সৃষ্টি হবে বিচারিক ব্যবস্থায়’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্টের বিকেন্দ্রীকরণে ঐকমত্যের কথা জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধনের কথা বলেছে কমিশন। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে হাইকোর্টের বিকেন্দ্রীকরণের বিষয়ে মত দিয়েছে কিছু রাজনৈতিক দল। বিচারব্যবস্থাকে বিচারকাক্সক্ষীদের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালতের সম্প্রসারণেও বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে দুটি বিষয়েই ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

এসব বিষয়ে ইতিমধ্যে আইনজীবীরা সরব হয়েছেন। তারা কোনোভাবেই হাইকোর্টের বিকেন্দ্রীকরণ চান না। জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা বলছেন, ঢাকার বাইরে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ নিয়ে ৩৬ বছর আগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এক রায়ে বিষয়টি মীমাংসিত হয়েছে। এখন এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ আদালত অবমাননার শামিল হবে। আর উপজেলা পর্যায়ে আদালত বিলুপ্ত হয়ে গেছে ৩৫ বছর আগে। এখন এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হলে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করেই করতে হবে।

আইনজীবীরা জানান, গত শতকের আটের দশকে সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ হাইকোর্টের বিকেন্দ্রীকরণের উদ্যোগ নেন। ১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ সালে সামরিক ফরমানের মাধ্যমে রাজধানীর বাইরে হাইকোর্টের কয়েকটি স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপন করা হয়। এরপর ১৯৮৮ সালে অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদকে সংশোধন করে বরিশাল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোর, রংপুর ও সিলেটে ছয়টি স্থায়ী বেঞ্চ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপনের তৎপরতাকে চ্যালেঞ্জ করে করা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ১৯৮৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর সংশোধিত ১০০ অনুচ্ছেদকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে রায় দেয়। হাইকোর্টের বিকেন্দ্রীকরণের বিষয়টিকেও অবৈধ ঘোষণা করে সর্বোচ্চ আদালত। জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা বলেন, আপিল বিভাগের এ রায়ের ফলে কার্যত বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন

দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম ‘তরুণদের দৃষ্টিতে এগিয়ে বিএনপি’। খবরে বলা হয়, দেশের ৩৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ তরুণ মনে করেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ক্ষমতায় আসতে পারে। আর ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ তরুণ মনে করে, আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে পারে জামায়াতে ইসলামী। এছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পক্ষে ১৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ তরুণ মত দিয়েছেন।

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন এইড পরিচালিত সাম্প্রতিক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এক সেমিনারে জরিপের তথ্য প্রকাশ করা হয়।

চলতি বছরের ২০ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত দেশের আট বিভাগে ২ হাজার তরুণ-তরুণীর ওপর এ জরিপ চালানো হয়। জরিপে অংশ নেওয়া সবার বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে ছিল। জরিপে মোট ১৭টি কেইস স্টাডি অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যেখানে তাদের অভিজ্ঞতা ও মতামত তুলে ধরা হয়।

‘পরিবর্তনের পথে তরুণরা; কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও জুলাই আন্দোলনের পর বদলে যাওয়া রাজনৈতিক বাস্তবতা’ শীর্ষক এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সানেমের সহযোগী গবেষক শাফা তাসনিম। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অ্যাকশন এইড, বাংলাদেশের পরিচালক ফারাহ কবির। অনুষ্ঠানে সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান জাতির জন্য অনেক সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। এখন কথা হচ্ছে, আমরা সেগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারছি কি না। যদি করতে না পারি তাহলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ।

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

নবীজীর সাহাবীদের নিয়ে কটূক্তি/ মৌলভীবাজারে নারী আইনজীবী আটক

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status