অনলাইন
প্রতিবছর আবেদন জমা পড়ে প্রায় ১ লাখ
মাত্র ১০ দিনে এক্সপ্যাটসদের ভিসা দিচ্ছে মালয়েশিয়া
স্টাফ রিপোর্টার, মালয়েশিয়া
(৯ ঘন্টা আগে) ৮ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯:৪১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:১২ অপরাহ্ন

বিদেশি কর্মীদের নিয়োগে ব্যবহৃত এক্সপ্যাট্রিয়েট এমপ্লয়মেন্ট পাস (ইপি) অনুমোদনের সময়সীমা, যা আগে ৪০ দিন পর্যন্ত লাগত, তা এখন কমে এসেছে মাত্র ১০ কার্যদিবসে। এই সাফল্য এসেছে ইন্টিগ্রেটেড ফরেন ওয়ার্কার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইপিপিএএক্স) ও মাই ফিউচার জবস -এর এক্সপাটস গেটওয়ে-তে একীভূতকরণের ফলে, যা ১ জুলাই ২০২৫ থেকে কার্যকর হয়েছে।
বারনামা জানিয়েছে, মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম বলেছেন, “আগে নিয়োগকর্তাদেরকে এক্সপ্যাট নিয়োগের জন্য একাধিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে হতো। এখন তারা শুধু একটিমাত্র প্ল্যাটফর্ম এক্সপাটস গেটওয়ে ব্যবহার করেই আবেদন করতে পারছে, যা প্রক্রিয়াটিকে অনেক দ্রুত ও দক্ষ করে তুলেছে।”
বারনামা মানবসম্পদ মন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে আরো জানিয়েছে, "এক্সপাটস গেটওয়েতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত এখন একীভূত হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, কর্মসংস্থান আইন ১৯৫৫-এর ধারা ৬০কে (সেকশন ৬০কে) – যা পরিচালনা করে ডিপার্টমেন্ট অব লেবার পেনিনসুলার মালয়েশিয়ার মাধ্যমে ইপিপিএএক্স, এবং মাই ফিউচার জবস-এর স্বীকৃতি পত্র – যা পরিচালনা করে সোশ্যাল সিকিউরিটি অর্গানাইজেশন (এসওসিএসও)। এখন নিয়োগকর্তাদের শুধু একটি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করলেই চলবে, যার ফলে আবেদন প্রক্রিয়া অনেক দ্রুত ও সহজ হয়েছে। আবেদনকারীরা রিয়েল-টাইমে তাদের আবেদন পরিস্থিতি ট্র্যাক করতে পারবেন। সকল তথ্য ও নথি সরাসরি সরকারি সিস্টেম থেকে গ্রহণ করা হচ্ছে, যা জালিয়াতির ঝুঁকি অনেক কমিয়ে দিয়েছে। মাত্র এক সপ্তাহেই প্রায় ১০০টি কোম্পানি ইতোমধ্যে নতুন এই সিস্টেমের মাধ্যমে আবেদন করেছে,” বলে তিনি আজ মাই ফিউচার জবস ও ইপিপিএএক্স-এর একীভূতকরণ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাহাবান, মালয়েশিয়া প্রোডাকটিভিটি কর্পোরেশনের উপ-মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ নোরজায়াদি তামাম, এবং ট্যালেন্টকর্পের গ্রুপ সিইও থমাস ম্যাথিউ।
২০২৩ সালের জুনে চালু হওয়া এক্সপাটস গেটওয়ে হলো ট্যালেন্টকর্প কর্তৃক উন্নীত একটি একক-উইন্ডো প্ল্যাটফর্ম, যা এক্সপ্যাট আবেদন প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য তৈরি। এটি সরকারের ২৬টি নিয়ন্ত্রক ও অনুমোদন সংস্থাকে সংযুক্ত করে একটি কেন্দ্রীয় ডিজিটাল গেটওয়েতে। স্টিভেন সিম আরো জানান, এই একত্রীকরণ নিয়োগকর্তাদের খরচ প্রায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনবে এবং অংশীজনদের জন্য প্রায় ৫০ কোটি রিংগিত সাশ্রয় করতে পারে। প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ এক্সপ্যাটদের আবেদন জমা পড়ে—এই নতুন সিস্টেম নিয়োগকর্তা, কর্মী, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য উপকার বয়ে আনবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বারনামা মানবসম্পদ মন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে আরও যোগ করেছেন, এই উন্নয়ন মালয়েশিয়ার আইএমডি ওয়ার্ল্ড কম্পেটিটিভনেস র্যাঙ্কিংয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে, যার ফলে গত বছরের ৩৪তম স্থান থেকে এবার আমরা উঠে এসেছি ২৩তম স্থানে।