কলকাতা কথকতা
ভোটপ্রচারে গোটা ভারতের মধ্যে প্রথম পশ্চিমবঙ্গ, জানালো নির্বাচন কমিশন
সেবন্তী ভট্টাচার্য্য , কলকাতা থেকে
(৮ মাস আগে) ৩১ মে ২০২৪, শুক্রবার, ৫:২৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:১৪ অপরাহ্ন

আর মাত্র কয়েকঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরেই ভারতের মাটিতে লোকসভা ভোটের পরিসমাপ্তি। ইতিমধ্যেই গোটা দেশে এবং রাজ্যে ছয় দফার ভোটগ্রহণ শেষ। আগামী ১ জুন শনিবার, বাংলায় সপ্তম তথা শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন। মোট ৯টি কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ। নির্বাচনী প্রচারে ভারতবর্ষের মধ্যে সবথেকে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। বিবৃতি দিয়ে জানাল নির্বাচন কমিশন
পরিসংখ্যান বলছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মিলিয়ে রাজ্যে প্রায় ১ লক্ষ কর্মসূচি হয়েছে। তীব্র দাবদাহ কিংবা বৃষ্টি, সবকিছু উপেক্ষা করেই প্রার্থীরা ছুটেছেন এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত। বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটায় অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শেষ হয়েছে। শেষ দফার প্রচার শেষের পরে কমিশন জানাচ্ছে, লোকসভা ভোটের প্রচারপর্বে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট সংক্রান্ত কর্মসূচি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গতে। এরাজ্যে সভা-সমিতি-মিছিল-রোড শো মিলিয়ে প্রায় ৯৫ হাজার রাজনৈতিক কর্মসূচি হয়েছে।
কমিশন সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে কর্মসূচি করতে চেয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের তরফে ১ লক্ষ ১৯ হাজার ২৭৬ আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে ৯৫ হাজার আবেদনের অনুমতি দেওয়া হয়। রাজ্যের মধ্যে আবার সব চেয়ে বেশি প্রচার হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। সেখানে ১০,৬৮৮টি কর্মসূচি হয়েছে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। রাজ্যে ভোটপ্রচারে কোনও দলই পিছিয়ে ছিল না। বিজেপির তরফে রাজ্যের নেতাদের পাশাপাশি যেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রচারে এসেছেন, তেমনি এসেছেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা। এসেছেন যোগী আদিত্যনাথ, হিমন্ত বিশ্বশর্মার মতো ভিনরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের প্রচারে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মমতার প্রচার সভা ও রোড-শোয়ের মিলিত সংখ্যা ১০৭ আর অভিষেকের ৭২। বামেদের হয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে যেমন এসেছেন সীতারাম ইয়েচুরি, বৃন্দা কারাতরা তেমনই এসেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে। ভোটের হারে যেমন দেশের অন্য সব রাজ্যকে পিছনে ফেলেছে পশ্চিমবঙ্গ , তেমনি প্রচারের ক্ষেত্রেও এ রাজ্যই দেশের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে।