শেষের পাতা
এবি পার্টি ছাড়লেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক
স্টাফ রিপোর্টার
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবারএবি পার্টির প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। লন্ডন থেকে এক হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় তিনি মানবজমিনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এবি পার্টির সঙ্গে কিছু ক্ষেত্রে মতপার্থক্য তৈরি হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আর দলটির প্রধান উপদেষ্টা নই।’
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক দীর্ঘদিন ধরেই বৃটেনে অবস্থান করছেন। সেখানে বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ব্যারিস্টার রাজ্জাক জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন। দলটির আইনি এবং আন্তর্জাতিক বিষয় দেখভাল করতেন তিনি। ২০১৯ সালে তিনি জামায়াত থেকে পদত্যাগ করেন। জামায়াতে সংস্কারের তাগিদ দিয়েছিলেন তিনি। বিশেষত ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকার জন্য দলটিকে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক।
ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক যেসব অযুহাত দেখিয়ে জামায়াত থেকে পদত্যাগ করেছেন, এগুলো তাঁর মর্যাদার সহিত খাপ খায়না। দিতীয়ত জামায়াতে ইঁদুর বিড়াল খেলার সুযোগ নেই যে, ইচ্ছে করলেই ”যখন যেমন, তখন তেমন” করা যায়। হ্যাঁ, আইন অংগনে জামায়াত সম্পর্কিত বিষয়ে ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক এর যথেষ্ট অবদান আছে। তাঁর সেই অতীত নিয়ে চিন্তা গবেষণা করার কোন অথবা বিবেচনায় আনার সিস্টেম এখানে নেই। আদর্শিকভাবে তাঁর উচিত ছিল- জামায়াত থেকে পদত্যাগের পর অন্য কোন রাজনৈতিক দলের সহিত সংযুক্ত না হওয়া। জামায়াত থেকে বেরিয়ে কোন নেতাই প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি।
এইটা কোন রাজনীতি? আমার কথামত কাজ না হলেই পদত্যাগ! এইটা একধরণের ফ্যাসিজম। সংখাগরীষ্ঠের মতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে, সেখানে আমার মতের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত হতে পারে। সেটাকেই নিজের সিদ্ধান্ত হিসেবে মেনে কাজ করতে হবে। এটাই গণতন্ত্র। ইসলামেও পরামর্শের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। এখানে গণতন্ত্র ও ইসলামের মিল রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার উনার মত একজন বিজ্ঞ আইনজীবিকে রাস্ট্রের কাজে বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ দিলে উনি আইন অঙ্গনে ভাল ভুমিকা রাখতে পারবেন ।
জামায়াতের ওতো ঠেকা পরেনি যে ওনাকে দলে নেবে।
Genarel public
আব্দুর রাজ্জাক ভাই কে বলব পুনরায় সঠিক রাস্তায় জামায়াতের সাথে ফিরে আসুন।
জামাতের পালে হাওয়া কেন তাহলে এবি তে যাওয়া।
আবার জামাতে যোগ দিন। জামায়েত ইসলামী বাংলাদেশের দ্বীন কায়েমের সঠিক রাস্তায় রয়েছে। আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন কায়েম বেগবান করায় আপনাদের মত অভিজ্ঞ আইনজীবীর কাজ করতে হবে। আল কুরআনের আলোকে সংবিধান সংশোধন করার জন্য অভিজ্ঞ দ্বীনদার আইনজীবী দরকার। সময় নষ্ট করবেন না।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক যেহেতু বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলের সাথে এখন আর জরিত নন । বাংলাদেশ সরকার উনার মত একজন বিজ্ঞ আইনজীবিকে রাস্ট্রের কাজে যেমন বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ দিলে উনি আইন অঙ্গনে ভাল ভুমিকা রাখতে পারবেন ।
জামায়াত ছাড়ার পর এবি পার্টিও ছাড়লেন। এখন অবসর পার্টি তাবলীগ জামায়াতে যোগ দিবেন নাকি!