বিশ্বজমিন
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন
বাংলাদেশে আইন প্রয়োগে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার আহ্বান
মানবজমিন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১২:৪৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১০ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশে আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে নিউইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। বুধবার ‘বাংলাদেশ: আপহোল্ড ইমপারশিয়ালিটি ইন ল ইনফোর্সমেন্ট’ শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রতি এ আহ্বান জানায় সংগঠনটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগী হওয়া উচিত। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো যেন নিরপেক্ষভাবে কাজ করে এবং রাজনৈতিক সহিংসতার ক্ষেত্রে আইনের শাসনকে সম্মান জানায় সে বিষয়ে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে সংগঠনটি বলছে, ২০২৪ সালের আগস্টে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উৎখাত করতে গড়ে ওঠা বিক্ষোভ দমন করার জন্য গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী।
দেশে নিরাপত্তা খাতের সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কিন্তু ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনা করতে সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করেছেন তিনি। তারা ইতিমধ্যেই ২ হাজার জনের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে। যাদের বেশির ভাগই ক্ষমতাচ্যুত হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সমর্থক। এক্ষেত্রে অতীতের ভুল পুনরাবৃত্তি করা উচিত নয় বলে উল্লেখ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
সংগঠনটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের দশকের পর দশক ধরে দমন-পীড়নের পর বাংলাদেশ এখন রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত। এক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনীর অতীতের ভুল পুনরাবৃত্তি না করে নিরপেক্ষভাবে আইনের শাসন নিশ্চিত করা উচিত বলে উল্লেখ করেছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক উপ-পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি। এ বিষয়ে তিনি জাতিসংঘকে উদ্ধৃত করেছেন। যেখানে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং অর্থনৈতিক শাসন ব্যবস্থায় জরুরি সংস্কারের দিকে মনোনিবেশ করা।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্বিচারে গুলি করা, গণগ্রেপ্তার ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিল বিগত সরকার। বিশেষ করে গত বছরের ১লা জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ১৪০০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এদের বেশির ভাগই নিহত হয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে। প্রতিবেদনটিতে যে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে তা নিরসনে জবাবদিহিতা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা জরুরি।