ঢাকা, ২২ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২২ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

ভারত

দোষী সাব্যস্ত রাজনীতিবিদদের আজীবন নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে ভারত সরকার

মানবজমিন ডিজিটাল

(১ মাস আগে) ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৬:৩১ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ২:৫৪ অপরাহ্ন

ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত রাজনীতিকদের ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার চিরতরে কেড়ে নেওয়া ঠিক হবে না। তাদের ওপর ছ’বছরের নিষেধাজ্ঞাই যথেষ্ট! গোটা বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের এক্তিয়ারের মধ্যেও পড়ে না। এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারী একমাত্র সংসদ। সুপ্রিম কোর্টে এমনই সওয়াল করল ভারতের মোদি সরকার। ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। দোষী সাব্যস্ত রাজনীতিকদের ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার সারা জীবনের জন্য কেড়ে নেওয়ার আর্জি জানিয়ে মামলা দায়ের করা হয়। এমনকী দেশের সাংসদ, বিধায়কদের বিরুদ্ধে যে ফৌজদারি মামলা রয়েছে, সেগুলি দ্রুত নিষ্পত্তির আবেদন জানানো হয়। তবে কেন্দ্রের দাবি, একজন জনপ্রতিনিধির আজীবন ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ সংসদের বিষয়। কেন্দ্র পিটিশনে জানায়, সংসদকে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে আইন প্রণয়নের নির্দেশ দেওয়া সম্পূর্ণরূপে বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার ক্ষমতার বাইরে। উপাধ্যায় নিজের আবেদনে ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধি আইনের ৮ এবং ৯ নম্বর ধারাকে চ্যালঞ্জ জানিয়েছেন। ওই আইনের ৮ (১) ধারায় ফৌজদারি মামলায় নেতা-মন্ত্রীদের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার দিন থেকে ছ’বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলা হয়েছে। আর ইতিমধ্যেই যাঁরা জেলে রয়েছেন, তাঁরা মুক্তির দিন থেকে ছ’বছর পর্যন্ত ভোটে প্রার্থী হতে পারেন না। ওই আইনের ৯ ধারায় দুর্নীতি বা আনুগত্যহীনতার দায়ে সরকারি কর্মীদের উপর পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলা হয়েছে। উপাধ্যায় অবশ্য উভয় ক্ষেত্রেই আজীবন নিষেধাজ্ঞা চাপানোর দাবি তুলেছেন। ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট এব্যাপারে একটি রায় দিয়েছিল। উচ্চ আদালত স্পষ্ট জানায়, অন্তত দু’বছর কারাবাসের সাজা হলে সঙ্গে সঙ্গে সাংসদ বা বিধানসভা থেকে সংশ্লিষ্ট সাংসদ  বা বিধায়ককে বহিষ্কার করতে হবে। যদিও এই রায় বাতিল করতে একটি অর্ডিন্যান্স জারি করে তৎকালীন মনমোহন সিং সরকার। এর প্রবল বিরোধিতা করে বিজেপি ও বামেরা। এমনকী স্বয়ং রাহুল গান্ধী ওই অর্ডিন্যান্সকে ছিঁড়ে ফেলার কথা বলেছিলেন।ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত মনমোহন সরকারকে পিছু হটতে হয়। বাতিল হয় অর্ডিন্যান্সটি।  উল্লেখ্য, বর্তমানে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী কোনও নির্বাচিত সাংসদ-বিধায়কের দু’বছর বা তার বেশি কারাদণ্ড হলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সাংসদ বা বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যায়। পাশাপাশি জেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পরবর্তী ছ’বছর সেই ব্যক্তি ভোটে লড়তে  পারেন না।

সূত্র: এনডিটিভি

পাঠকের মতামত

কোন দেশের কথা শুনে তো বাংলাদেশ চলবেনা বাংলাদেশ চলবে বাংলাদেশের জনগণের কথায়।

ফিরোজ আহমেদ
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮:৩৩ অপরাহ্ন

ভারত থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

ভারত সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status