বিশ্বজমিন
এনডিটিভিকে তুলসি গ্যাবার্ড
বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র
মানবজমিন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ১৭ মার্চ ২০২৫, সোমবার, ৫:৩৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৩ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের এনডিটিভি ওয়ার্ল্ডকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিষয়ক প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, বিশ্বজুড়ে ইসলামপন্থি সন্ত্রাসকে পরাজিত করার দিকে দৃষ্টি দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন এবং তাদেরকে পরাজিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্বজুড়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন, হত্যাকাণ্ড সহ বিভিন্ন ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক তুলসি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও অন্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নিষ্পেষণ, হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতন দুর্ভাগ্যজনক। এসব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসন উদ্বিগ্ন। অনলাইন এনডিটিভি জানাচ্ছে, তুলসি গ্যাবার্ড বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে নতুন মন্ত্রীপরিষদ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। এই আলোচনা সবে শুরু হয়েছে। এ বিষয়টি উদ্বেগের মূল। তুলসি গ্যাবার্ড এ সময় ইসলামিক খিলাফতের আদর্শ সম্পর্কেও মন্তব্য করেন। কিভাবে উগ্রপন্থিরা এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো বিশ্বব্যাপী এমন একটি আদর্শ বাস্তবায়ন করতে চায় তা নিয়ে কথা বলেন। তুলসি বলেন, ইসলামপন্থি সন্ত্রাসের হুমকি এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের বৈশ্বিক প্রচেষ্টা একই আদর্শের এবং একই লক্ষ্যের। তাদের লক্ষ্য ইসলামিক খেলাফতের শাসন প্রতিষ্ঠা। তারা যেটাকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করে তার বাইরে অন্যদের ক্ষেত্রে, এটা স্পষ্টত, অন্য যেকোনো ধর্মের মানুষকে প্রভাবিত করে। তারা এটা বাস্তবায়ন করার জন্য সন্ত্রাস এবং অত্যন্ত ভয়াবহ পন্থা ও উপায় বেছে নেয়। তুলসি গ্যাবার্ড বলেন, এমন আদর্শকে শনাক্ত করে তাকে পরাজিত করতে এবং মৌলবাদী ইসলামপন্থি সন্ত্রাসের উত্থানের ইতি ঘটাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ডনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ওয়াশিংটনে সাক্ষাৎ হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সেখানে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, এবিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ সময় কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী (মোদি)। সত্যি বলতে কি, আমি এখনও এ বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি। ‘আই উইল লিভ বাংলাদেশ টু দ্য প্রাইম মিনিস্টার’। পাকিস্তান থেকে ভারতে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ের এক প্রশ্নের জবাবে তুলসি গ্যাবার্ড বলেন, আমরা দেখছি এটা কিভাবে ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের ওপর প্রভাব ফেলছে। বর্তমানে এমন অবস্থা চলছে সিরিয়া, ইসরাইল ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদি ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা একত্রিত হয়ে এদেরকে শনাক্ত করে পরাজিত করার চেষ্টা করছেন।
পাঠকের মতামত
আমরা ভারত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন
এটা কিছু না তিস্তা প্রকল্প না হওয়ার জন্য,তারপর প্রধান উপদেষ্টার চায়না ভিজিট,যদি তিস্তা চুক্তি হয়ে যায় আরো অপপ্রচার হবে,এর জন্য উচিত জবাব দিতে হবে,বিনা শুল্কে আমাদের ভূখণ্ড কোনো ভাবে ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। তিস্তা প্রকল্প করতেই হবে!!
বিশ্বযুদ্ধে একমাত্র দেশ হলো ইন্ডিয়া যেখানে সংখ্যালঘুদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয় নিজের বদনাম ডাকার জন্য অন্য দেশের উপর চাপানোর চেষ্টা করিতেছে ইন্ডিয়া
Bangladesh is the sovereign country. It will run by own constitution. Why Tulsa not concerned about Muslims in India. We don't care about india internal peace. We should give priority about our peace and prosperity
সর্বপ্রথমেই বলে রাখা ভালো, কোনো এক অজ্ঞাত কারনে মানবজমিন আমার কোনো মন্তব্য প্রকাশ করে না। সেই ধারাবাহিকতায় এটাও প্রকাশ করবে না! মিসেস গ্যাবার্ড, যেদেশের মিডিয়াতে আপনি সাক্ষাৎকার দিলেন সেই দেশে গতকালও হোলি উৎসবের দিনে শুধুমাত্র হওয়ার কারনে পিটিয়ে কয়েকজন কে হত্যা করা হয়েছে। এ যেন হলোকাষ্ট পূর্ববর্তী জার্মানীতে 'ইহুদী পেটানো' খেলার মতো! ভারতে শখের বশেও মুসলিম পিটিয়ে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশের কোন পরিস্থিতি আপনাকে উদ্বিগ্ন করেছে সেটা বুঝলাম না। এখানকার সংখ্যালঘু রা জামাই আদরে বসবাস করে। খোদ জাতিসংঘ মহাসচিব এদেশ পরিদর্শন করে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করেননি। আর আপনি সেই ভারতের সংবাদ মাধ্যমের সাথে উদ্ভব ও অলীক অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করছেন যে ভারত তার নিজ দেশের সংখ্যালঘুদের ন্যূনতম নিরাপত্তা দিতে শতভাগ ব্যর্থ। এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি! আপনাদের দূতাবাসের মাধ্যমে খবর নেন। ভারতের বয়ানে কথা বলেন কেন? নাকি আপনার দেশ যেমন অসভ্যের মত একটা স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ কানাডাকে ৫১ তম স্টেট হিসেবে একীভূত করার খায়েশে ব্যক্ত করেছে ঠিক তেমনি আপনার পেয়ারের ভারতও বাংলাদেশকে তার প্রদেশ হিসেবে দখল করে নিক এটাই আপনার অভিপ্রায়! আপনি ধর্মান্তরিত হয়ে যে ধর্ম অনুসরণ করছেন সেই ধর্মকে মিঃ মোদী এই অঞ্চলে একটা বর্বর আর হিংস্র ধর্ম হিসেবে ইতঃমধ্যেই দাঁড় করিয়েছে! আগে নিজ ঘর সামলান তারপর বাংলাদেশ নিয়ে নাক গলাতে আসবেন। ভারতের বয়ানে কথা বললে আমরা আপনাকে ফুলের মালা গলায় দিয়ে বরন করে নিবো এমন টা ভাবার কোনো কারন নাই।
Stop stop stop baby
মানবজমিন পত্রিকায় ভারতের এনডিটিভির ভুয়া খবর প্রচার আশাহত করল।
পৃথিবীর বুকে একটি রাষ্ট্র আছে যেখানে সংখ্যালঘু সব সময় নির্যাতিত, সেই কলঙ্কিত রাষ্ট্রের নাম ভারত, ট্রাম প্রশাসনের উচিত আগে ভারতকে শায়েস্তা করা তারপর অন্য দেশের দিকে নজর দেওয়া
amra o america k nia khubi udbigno
Whoever foreign dignitaries visits India , Indian media and newspapers raise Bangladesh issue to force them to show their concern in support of fallen autocratic regime from whom India got many undue advantages. In fact they should address their own situation and seek US support for betterment of Indian people instead of worrying Bangladesh matter.
মানবজমিন পাঠকদের এই মন্তব্যগুলো কখনো মার্কিন সরকারের কান পর্যন্ত পৌঁছাবে কি? মনে হয়না। বিশ্বের সবচেয়ে এবং সর্বাধিক নির্যাতিত জনগোষ্ঠী হচ্ছে গাজার মুসলমান। তারপর ভারতের গুজরাট, কাশ্মীর, কেরালা ও প্রায় ভারতের সকল রাজ্য। চীনের উইঘুর মুসলিম নির্যাতনের অবর্ণনীয় কথা মুখে উচ্চারণ করতে রুচিতে বাঁধে। ট্রাম্পের পূর্বসূরিরা ইরাকের ১০ লক্ষ নিরীহ নিরপরাধ মানুষ হত্যা করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে অমানবিক সরকার যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টির সরকার। তাঁরা বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন! বাহ্! ভুতের মুখে রাম নাম। ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তা করার দরকার নাই। বাংলাদেশের জনগণ এবং ছাত্র সমাজ বারবার জীবন বাজি রেখে রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কি দরকার বাংলাদেশের জনগণের? বাংলাদেশের জনগণের গনতান্ত্রিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা, ভোটের অধিকার বিগত স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের সময় ভুলুন্ঠিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তখন তো জনগণের পাশে দাঁড়ায়নি। এখন এতো জ্বলছে কেন?
বিশ্বযুদ্ধে একমাত্র দেশ হলো ইন্ডিয়া যেখানে সংখ্যালঘুদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয় নিজের বদনাম ডাকার জন্য অন্য দেশের উপর চাপানোর চেষ্টা করিতেছে ইন্ডিয়া
এরা শেখ হাসিনার দোসর।
তুলসি তুমি মোদিকে জিজ্ঞেস কর কেন তাকে গুজরাটের কসাই বলা হয় কেন আমেরিকা তাকে ব্যান করেছিল।
বিশ্বে যদি কোনো দেশে সংখ্যা লঘু নির্যাতনের দেশ থাকে তাহলে সেটা ভারত এবং নির্যাতিত হচ্ছে সবচেয়ে বেশী সেখানকার মুসলমানরা। তাই বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে গ্যাবার্ডের উচিৎ হবে ভারতকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া।
ভারতের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার ব্যাপারে তুলসী গ্যাভার্ড তথা বর্তমান যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অবস্থান কি?
তুলস গ্যবার্ড তুমি মুখ সামলে কথা বলো। তুমি ভুলের রাজ্যে বসবাস করছ। তোমার পরিচয় আমাদের অজানা নয়। তোমার নরেন্দ্র মোদী আন্তর্জাতিক অপরাধী এটা প্রমাণিত। যুক্তরাষ্ট তার বিরুদ্ধে রেডএলার্ট ছিল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নয়।
পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু নির্যাতনের দেশ ভারত। কট্টর হিন্দুত্ববাদি, মোদির একাগ্র সমর্থক তুলশী গ্যাবার্ড ভারতের মুসলমানদের নির্যাতনের বিষয়টা এড়িয়ে গিয়ে বাংলাদেশের মতো শান্তিপ্রিয় দেশের কাল্পনিক সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয় নিয়ে যে মাথা ঘামাবে এটা দিনের আলোর মতই স্পষ্ট। এই নিউজ দেখে নিশ্চয়ই ফ্যাসীবাদীদের মনের আকাশে অনেকদিন পর এক চিলতে রোদ্দুরের দেখা মিলেছে।
সারা বিশ্বে মুসলিমদের মেরে শেষ করে দিচ্ছেন ঐদিকে উদ্বিগ্ন হন প্লিজ
সত্য বলতে কি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সমূহের বাংলাদেশ সম্পর্কিত কোন সংবাদই এখন এট এ গ্লেন্স মোটেই বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। কারণ তাদের অন্যতম কাজই হল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা, বিষোদগার করা, প্রপাগান্ডা চালানো, সাম্প্রদায়িক নোংরা উসকানি দেয়া, স্বীয় স্বার্থে নগ্ন ভাবে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন বিষয়ে অযাচিত নাক গলানো। যতই তারা এ ধারা অভ্যহত রাখবে ততই তাদের সংবাদের মান ও গ্রহণযোগ্যতা নিম্নমূখী হতে থাকবে এবং তাদের দেউলিয়াত্ব প্রকাশিত হবে।
তুলসী, তোমার ব্রেন ওয়াশ করেছে মুদি, তবে কি তোমার পূর্ব পুরুষরা গোমূত্র সেবন করতো.আশা করি শত্রুরা বেশি সুবিধা করতে পারবেনা ,সত্য উম্মোচিত হবে