অনলাইন
অবৈধ অভিবাসীদের তাড়ানোর ক্ষেত্রে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন বাইডেন
মানবজমিন ডিজিটাল
(৪ সপ্তাহ আগে) ২৪ মার্চ ২০২৫, সোমবার, ৫:১০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৪ পূর্বাহ্ন

ডনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণ করেন ২০২৫ এর ২০ জানুয়ারি। তার পর থেকে বহু অবৈধ অভিবাসীকে চিহ্নিত করে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। হোয়াইট হাউসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম মাসে মোট ৩৭ হাজার ৬৬০ জন অবৈধ অভিবাসীকে আমেরিকা থেকে তাড়িয়েছেন। বাইডেন ক্ষমতায় থাকাকালীন শেষ বছরে এই ধরনের বিতাড়নের মাসিক গড় ৫৭ হাজার। ট্রাম্পের প্রথম মাসের তুলনায় প্রায় ২০ হাজার বেশি। আমেরিকার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা (হোমল্যান্ড সিকিউরিটি) বিভাগের রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, ট্রাম্প অভিবাসীদের গ্রেপ্তার এবং অপসারণের জন্য নতুন উপায় অবলম্বন করার কারণে আগামী মাসগুলোতে নির্বাসন বাড়তে পারে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন বলেছেন, উচ্চ মাত্রার অবৈধ অভিবাসনের কারণে বাইডেন যুগের নির্বাসনের সংখ্যা ‘উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি’ বলে মনে হয়েছে। হোয়াইট হাউসে ফিরতে যুক্তরাষ্ট্রে লাখ লাখ অভিবাসীকে নির্বাসন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচারণা চালিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবুও প্রাথমিক পরিসংখ্যানগুলো পরামর্শ দেয় যে ট্রাম্প বাইডেন প্রশাসনের শেষ বছরে উচ্চ নির্বাসন হারের সাথে তাল মেলাতে পারবেন না। কারণ সেইসময়ে বিপুলসংখ্যক অভিবাসী অবৈধভাবে পারাপারের সময় ধরা পড়েছিল, তাদের নির্বাসনে পাঠানো সহজসাধ্য ছিল। ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। তাই বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক, ক্যালেব ভিটেলোকে পুনরায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্পের একজন কর্মকর্তা এবং বিষয়টির সাথে পরিচিত আরও দু'জন ব্যক্তি। এখনো পর্যন্ত মার্কিন সামরিক বাহিনী গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, পানামা, ইকুয়েডর, পেরু এবং ভারতে এক ডজনেরও বেশি সামরিক নির্বাসন ফ্লাইটে অভিবাসীদের ফেরত পাঠিয়েছে। ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের গুয়ানতানামো বেতে অবস্থিত মার্কিন নৌঘাঁটিতে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র : ইকোনোমিক টাইমস