অনলাইন
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বাদ জুমা বড় জমায়েতের ঘোষণা
অনলাইন ডেস্ক
(৮ ঘন্টা আগে) ৯ মে ২০২৫, শুক্রবার, ৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:১৮ অপরাহ্ন

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আজ বাদ জুমা বড় জমায়েত করার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার পূর্ব পাশে ফোয়ারার সামনে এই জমায়েত হবে বলে জানিয়েছেন হাসনাত আবদুল্লাহ। এতে দল-মতনির্বিশেষে সবাইকে অংশ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি। আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে যমুনার সামনে চলমান বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এই ঘোষণা দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। হাসনাত বলেছেন, ফোয়ারার সামনে মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে বাদ জুমা জনসমুদ্র হবে। আজকে তারা বুঝতে পারবেন কারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায়।
এদিকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কয়েক শ নেতা-কর্মী সেখানে বিক্ষোভ করছেন। এনসিপির পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। রাত একটার পর হেফাজতে ইসলামের বেশ কিছু নেতাকর্মী যমুনার সামনে যান। রাত দেড়টার দিকে এবি পার্টির কিছু নেতা-কর্মী যমুনার সামনে উপস্থিত হন। রাত দুইটার দিকে সেখানে যান ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা। এছাড়া আজ সকালে জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে কয়েক শ নেতা-কর্মী এ বিক্ষোভে অংশ নেন।
পাঠকের মতামত
অনেক দেরি হয়ে গেল একটা সময় উপযোগী একটি পদক্ষেপ কালক্ষেপণ না করে সরকারের উচিত হবে এই দাবি অতি দ্রুত বাস্তবায়ন করা এতে করে দেশের স্মৃতিসৌধ বাড়বে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও কিছু বার্তা পাবে।
২০১৪-পরবর্তী আওয়ামী লীগ আজ "আওমী-র"-এ পরিণত হয়েছে! দিল্লিদাসী বানু হাসিনার নেতৃত্বে এই গোষ্ঠী বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে পদদলিত করে দেশকে দিল্লির দাসত্বের শিকলে বেঁধে ফেলেছিল! এরা রক্তচোষা পরজীবী, বাংলাদেশের মেরুদণ্ডে বিষাক্ত ছুরি! এদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এখনই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময়!
যেদিন ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গেছে ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে সেদিনই এদেশের আপামর জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগ ও তার সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু, তারপরও আইনতঃ তারা নিষিদ্ধ হয়ে যায়নি। ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানের ফসল প্রফেসর ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য ছিলো নিপীড়িত, নির্যাতিত, শহীদ, পঙ্গু, অন্ধ ও গুম খুনের শিকার ছাত্র জনতার আকাঙ্খার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং সেই কারণে আওয়ামী লীগ ও তার সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আইনতঃ নিষিদ্ধ করা। প্রশাসনের ছত্রছায়ায় যারা রয়েছে তাদের চিহ্নিত করে অপসারণ করা। অভ্যুত্থান পরবর্তী যখন পুলিশ সদস্যরা কেউ আত্মগোপনে কেউ দ্বিধাগ্রস্ত তখন আমাদের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেছেন স্বেচ্ছায়। সরকারের উচিত ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশে নিয়োগ দিলে শৃঙ্খলা কিছুটা হলেও ফিরিয়ে আনতে পারতো। আজ দীর্ঘ নয় মাস পরে এসে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের জন্য রাস্তায় নামতে হয়েছে, এরচেয়ে লজ্জাজনক আর কি হতে পারে! বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ধোঁকা প্রতারণা ও ধাপ্পাবাজি একটা সাধারণ বিষয়। কিন্তু যে শিক্ষার্থীরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে দেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে তারা তো নিষ্পাপ। শিক্ষার্থীরা সরল মনে আন্দোলন করেছে দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে। তাঁরা রাজনীতির মারপ্যাচ বুঝেনা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কেউ ক্ষমতার মসনদে আসীন হয়েছেন, কেউ মামলা মুক্ত হয়েছেন, স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছেন, তাঁরা কেন শিক্ষার্থীদের মনের ভাষা বুঝতে চাচ্ছেন না তা এক রহস্যময় ঘটনা। তাঁদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই তারুণ্যের শক্তির কাছে ক্ষমতা নস্যি অতি। দুঃখজনক হলো, সবচেয়ে বড়ো রাজনৈতিক দল বিএনপি গণ-অভ্যুত্থানের সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী। তাঁরা আওয়ামী লীগকে ঘোষণা দিয়ে দলে ভেড়াতে চায়। এরচেয়ে লজ্জাজনক আর কি হতে পারে! অবশ্য অতীতে দেখা গেছে আমাদের রাজনীতিবিদদের লজ্জা শরম একটু কমই বটে। সবশেষে বলতে চাই যে শিক্ষার্থীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অন্তর্বত্নী সরকার সেই শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি সরকারকে মানতে হবে। একদিকে যদি বিএনপিকে রাখা হয়, অন্যদিকে এনসিপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জামায়াতে ইসলামী, ছাত্র শিবির ও হেফাজতে ইসলাম সহ সকল ইসলামপন্থী দল, তাহলে নিঃসন্দেহে বলা যায় দ্বিতীয় পক্ষের পাল্লা ভারী হবে। বিএনপি ছাড়া দ্বিতীয় পক্ষের দলগুলো যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছে। সুতরাং সরকারকে জনগণের মনের ভাষা পড়তে হবে এবং বুঝতে হবে। নাহয় আবারও কি রাজপথে রক্ত ঝরবে?
বাংলার বাঘেরা এবার ধরছে আওয়ামী লীগকে আর ছাড়বে না ধাওয়া দিয়ে দিল্লি দেখাবে