ঢাকা, ৯ মে ২০২৫, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

সবাই সবকিছু জানে তবু তদন্ত কমিটি

স্টাফ রিপোর্টার

(৯ ঘন্টা আগে) ৯ মে ২০২৫, শুক্রবার, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন

mzamin

যুগান্তরের প্রথম পাতার শিরোনাম, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদের দেশত্যাগ নিয়ে নানা প্রশ্ন, সবাই সবকিছু জানে তবু তদন্ত কমিটি’। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। হত্যা মামলার আসামি হয়েও কীভাবে তিনি দেশ ছাড়লেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চুপিসারে নয়, বিমানবন্দরে সব গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের উপস্থিতি এবং ইমিগ্রেশনের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেই দেশ ছাড়েন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। শুধু নিজে নয়, সঙ্গে নিয়ে গেছেন ছেলে ও শ্যালককেও। ঢাকা ত্যাগের সময় সাবেক এ রাষ্ট্রপতি ভিআইপি টার্মিনাল ব্যবহার করেন এবং বিমানবন্দরের সার্বিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে তিনি প্রায় ৪ ঘণ্টা অবস্থান করেন। সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায়ের সম্মতি ছাড়া তিনি দেশত্যাগ করেননি। নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র যুগান্তরকে এসব তথ্য জানায়।  জানা গেছে, সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে পৌঁছার পর থেকে দেশত্যাগ পর্যন্ত কোনো কর্মকর্তা কী করেছেন কে কার সঙ্গে যোগাযোগ করে ইমিগ্রেশন সম্পন্নের নির্দেশ দিয়েছেন এ বিষয়ে একটি গোয়েন্দা সংস্থা প্রতিবেদন তৈরি করেছে। গোপনীয় প্রতিবেদনটি সরকারের উচ্চপর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। এতে দেখা গেছে, তিনটি সংস্থার কর্মকর্তারা আবদুল হামিদের দেশ ছাড়ার বিষয়টি জানতেন। তারা এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ঊর্ধ্বতনদের সম্মতি সাপেক্ষে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়, টিজি বিমানযোগে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ব্যাংককগামী যাত্রী আবদুল হামিদ ভিআইপি টার্মিনালে আসলে, টার্মিনাল ইনচার্জ ওসি ইমিগ্রেশনকে বিষয়টি জানান। তিনি আলাদা দুটি সংস্থার দুই কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেন। তারা দুজনই এ বিষয়ে অনাপত্তি দেন। এই অনাপত্তির বিষয়টি ইমিগ্রেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানো হয়। ওসি ইমিগ্রেশন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ, প্রাপ্ত অনাপত্তি এবং ইমিগ্রেশন ফরট্র্যাক সিস্টেমে কোনো বিরূপ মন্তব্য না থাকায় ভিআইপি টার্মিনালে ইনচার্জকে ইমিগ্রেশন করার নির্দেশ দেন। টার্মিনাল ইনচার্জ ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করেন। সাবেক রাষ্ট্রপতির পাসপোর্ট ও ভিসা পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ২০২৩ সালের ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন। পদাধিকারবলে নিয়মানুযায়ী তিনি কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল পাসপোর্ট) ব্যবহার করতেন। পরে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অবসর নেয়ার পর তিনি কূটনৈতিক পাসপোর্ট সমর্পণ করে সাধারণ (সবুজ রংয়ের) পাসপোর্ট নেন। সাধারণ পাসপোর্ট ব্যবহার করেই তিনি ইমিগ্রেশন পার হন। তবে আবদুল হামিদ বিদেশে চলে গেছেন বৃহস্পতিবার এমন খবর প্রকাশিত হওয়ার পর তার পাসপোর্টের তথ্য তলব করা হয়। পরে পাসপোর্ট অধিদপ্তর থেকে আবদুল হামিদ ও তার পরিবারের সব সদস্যের পাসপোর্টসংক্রান্ত তথ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এদিকে আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় অতিরিক্ত আইজিপিকে (প্রশাসন) প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মতিউর রহমান শেখ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘উনি পাসপোর্ট কিভাবে পেয়েছেন-এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। এছাড়া কারা তাকে দেশত্যাগে সহায়তা করেছেন তা খতিয়ে দেখাসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্তের আগে কিছু বলা যাচ্ছে না। বিমানবন্দরে দায়িত্বরত একটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানান, ওনারা চুপিসারে দেশত্যাগ করেছেন-বিষয়টি এমন না। ওই সময় বিমানবন্দরে সব গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্বরত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু কোনো সংস্থার কাছে আবদুল হামিদের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা ছিল না। ফলে সবার উপস্থিতিতেই ইমিগ্রেশনের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তিনি দেশত্যাগ করেন।

নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, 'Yunus under criticism over privileges' অর্থাৎ 'সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সমালোচনার মুখে ইউনূস সমালোচনার মুখে ইউনূস'। প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতায় থাকাকালীন বিশেষ সুবিধা নেয়ায় নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ২০২৪ সালের ৮ই অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হন। এরপর তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ গ্রুপের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দ্রুত সরকারি অনুমোদন ও বিশেষ সুবিধা পায়। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা শহরে গ্রামীণ ইউনিভার্সিটির অনুমোদন, গ্রামীণ এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেসের জনশক্তি রপ্তানির লাইসেন্স, গ্রামীণ টেলিকমের ডিজিটাল ওয়ালেট চালুর অনুমতি। সেইসাথে আছে, গ্রামীণ ব্যাংকের কর মওকুফ ও সরকারিভাবে ব্যাংকে শেয়ারের পরিমাণ ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে থাকা শ্রম আইন লঙ্ঘন ও অর্থপাচারের মামলা দ্রুত খারিজ হয়ে যাওয়ায় স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশিষ্টজনেরা বলছেন, এভাবে নিজ প্রতিষ্ঠানের সুবিধা পাওয়া এবং মামলা খারিজ হওয়া স্বার্থের সংঘর্ষ তৈরি করে এবং জনআস্থা হারানোর ঝুঁকি বাড়ায়। ইউনূসপন্থীরা দাবি করছেন, এসব সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আগে আটকে ছিল, এখন নিয়ম মেনেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে বিভিন্ন মহল মনে করছে, প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং স্বার্থের দ্বন্দ্বের বিষয়টি খোলাসা না হওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, 'আবার পাল্টাপাল্টি হামলা'। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ২২শে এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে ওঠে। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও পাকিস্তান তা অস্বীকার করেছে। এরপর ভারত 'অপারেশন সিঁন্দুর' নামে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে অভিযান চালায়, আর পাকিস্তান ভারতের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করে। পাল্টাপাল্টি হামলায় উভয় পক্ষই ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি করছে। জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তে গোলাবর্ষণ ও বিস্ফোরণের ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন। দুই দেশের বিমানবন্দর ও হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে এবং শেয়ারবাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ভারতের ২০টির বেশি বিমানবন্দর ও পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভারতের বিরোধী দলগুলো সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতীয় হামলায় ৩২ জন নিহত হয়েছে। আন্তর্জাতিক নেতারা, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইরান ও সৌদি আরব, দুই দেশকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, 'রাতভর যমুনার সামনে বিক্ষোভ'। প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ছাত্র-জনতা ও ছাত্রশিবিরসহ কয়েকটি সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বিক্ষোভে বসে। তারা জানায়, গণহত্যা, ছাত্রদের ওপর হামলা ও উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতেই হবে। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, আওয়ামী লীগ ও তার কিছু সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং প্রয়োজনীয় আইন দেশের মধ্যে আছে। এর মধ্যেই যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তবে আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট করে বলেন, আগে মূল দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, মুজিববাদীরা বাংলার মাটিতে আর রাজনীতি করতে পারবে না এবং বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বে না। যমুনার সামনে রাতভর অবস্থান চলাকালে তারা আওয়ামী লীগবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয় এবং সামাজিক মাধ্যমে সবাইকে আন্দোলনে যোগ দেয়ার আহ্বান জানায়। পুলিশ এলাকাটি ঘিরে রাখে এবং যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। আন্দোলনকারীদের দাবি, আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ ও নিশ্চিহ্ন করতে হবে এবং গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, 'আবদুল হামিদের দেশত্যাগে আবারও 'চাপে' রাষ্ট্রপতি!' প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশত্যাগ করায় দেশজুড়ে নতুন করে তীব্র বিতর্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও রাজনৈতিক দল এ ঘটনায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে দায়ী করে তার অপসারণের দাবি জানিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, রাষ্ট্রপতির অফিসের ফোনকলের পরই আবদুল হামিদকে বিমানবন্দর থেকে যেতে দেয়া হয়। এনসিপিসহ কয়েকটি দল ও শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে ঢাকায় বিক্ষোভ করে এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে প্রতিবাদ জানায়। সরকার দাবি করেছে, যারা আবদুল হামিদের দেশত্যাগে সহায়তা করেছে, তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপারসহ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার ও বরখাস্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত কমিটিও গঠিত হয়েছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, রাষ্ট্রপতির অপসারণ চাওয়া মূলত রাজনৈতিক সংকট তৈরি এবং নির্বাচন বিলম্বের কৌশল। গত বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী আত্মগোপনে থাকলেও আবদুল হামিদ এতদিন দেশে ছিলেন। অবশেষে তিনি পরিবারসহ ব্যাংকক পাড়ি জমান। তার বিরুদ্ধে মামলা থাকলেও কোনো সংস্থার কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায় তিনি বেরিয়ে যেতে সক্ষম হন। এখন এ নিয়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চাপে রয়েছেন।

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান শিরোনাম, 'Depleting reserves deepening crisis: why gas shortfall has no quick fix TBS' অর্থাৎ, 'গ্যাসের মজুদ কমে যাওয়ায় সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে: কেন গ্যাস ঘাটতির দ্রুত সমাধান নেই?'। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের গ্যাস সংকট ছিল না বললেই চলে। চাহিদা ও সরবরাহের পার্থক্য ছিল খুবই সামান্য। তবে বর্তমানে প্রতিদিন ১,১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে—যা মোট চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ। এদিকে, গ্যাসক্ষেত্রগুলো ক্রমেই শুকিয়ে যাচ্ছে, নতুন কোনো বড় গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারও হয়নি। ২০১৭ সালে যেখানে গ্যাস উৎপাদন ছিল ৯৭২ বিলিয়ন ঘনফুট, সেখানে ২০২৪ সালে তা নেমে এসেছে ৭৪৭ বিলিয়নে। অথচ শিল্প ও রপ্তানি বেড়েছে। গ্যাসের দাম কয়েক ধাপে প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি বাড়ানো হলেও সরবরাহ ও চাপ কমে গেছে। বহু শিল্প কারখানা যেমন আশুলিয়ার লিটল স্টার স্পিনিং মিল বা ফতুল্লার ডাইং কারখানাগুলো স্বাভাবিক উৎপাদন রাখতে পারছে না। গ্যাস না থাকায় অনেক সময়ই যন্ত্রপাতি বন্ধ থাকে, ক্ষতির অঙ্ক কোটি টাকায় পৌঁছায়। সরকারের ভরসা ছিল এলএনজি আমদানির ওপর, কিন্তু দামের অস্থিরতা ও অপর্যাপ্ত অবকাঠামো সেই পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করেছে। দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধানেও গতি নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বহু আগেই এই সংকটের পূর্বাভাস ছিল, কিন্তু কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সাম্প্রতিক ঘোষণা অনুযায়ী, শিল্পে ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বাড়ানো হবে, যা কিছুটা স্বস্তি দিলেও সমস্যার স্থায়ী সমাধান নয়।

বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, 'দেশে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা এখন কওমি'। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা হলো কওমি মাদ্রাসা। দরিদ্রতার কারণে অনেক পরিবার সন্তানদের সাধারণ স্কুলের বদলে কওমি মাদ্রাসায় পাঠাচ্ছে, কারণ এখানে বিনামূল্যে বা কম খরচে পড়ার সুযোগ থাকে এবং আবাসিক ব্যবস্থাও রয়েছে। বেফাক নামক কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গত তিন বছরে ৫৫ শতাংশ বেড়েছে। শুধু বেফাক নয়, অন্যান্য বোর্ডগুলোর অধীনেও মাদ্রাসা ও শিক্ষার্থী বাড়ছে। এদের মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান শহরের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে চালানো হচ্ছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষার্থী কমছে, বিপরীতে কওমি মাদ্রাসায় বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দরিদ্রতা, ধর্মীয় মনোভাব ও সাধারণ শিক্ষার মান ও মনিটরিং ঘাটতির কারণে মানুষ কওমি মাদ্রাসার দিকে ঝুঁকছে। তবে এ শিক্ষা ব্যবস্থা এখনো সরকারি মনিটরিংয়ের বাইরে। সরকার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমতুল্য স্বীকৃতি দিলেও চাকরি বা উচ্চশিক্ষায় কওমি শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে থাকছে। শিক্ষাবিদরা মনে করেন, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাকে মানসম্মত ও উপযোগী করে তুলতে সরকারি নীতিমালার আওতায় আনা জরুরি। এতে শিক্ষার্থীরা দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হতে পারবে। সেই সঙ্গে কওমি মাদ্রাসার পরিবেশ, তথ্য ও কারিকুলাম নিয়ে একটি সুস্পষ্ট জরিপ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া দরকার।

দৈনিক কালবেলার প্রথম পাতার শিরোনাম, ‘দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক ও দ্বিকক্ষ সংসদে একমত’। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলসহ বেশিরভাগ দলই জাতীয় নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের পক্ষে মত দিয়েছে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদীয় পদ্ধতি চালুর ক্ষেত্রেও ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছে তারা। পাশাপাশি সংসদের মেয়াদ কমিয়ে চার বছর করার পক্ষে সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিরোধিতা করে বেশিরভাগ দলই পাঁচ বছর করার ব্যাপারে মত দিয়েছে। এ ছাড়া নারীর উন্নয়ন ও সংসদে নারী প্রতিনিধি বাড়াতে বিদ্যমান ৫০টি সংরক্ষিত আসন বাড়িয়ে ১০০-তে উন্নীত করার পক্ষে মত দিয়েছে দলগুলো। ফলে এ চারটি বিষয়ে দলগুলোর ঐকমত্যের আলোকে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ঐকমত্য কমিশন। এ ছাড়া একই ব্যক্তি টানা দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না—সংস্কার কমিশনের এ প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে বিএনপিসহ অধিকাংশ দল। এ ক্ষেত্রে একই ব্যক্তি টানা দুইবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বিরতি দিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ চেয়েছে দলগুলো। ফলে শেষ পর্যন্ত এ বিষয়টিতেও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে পারে ঐকমত্য কমিশন। অন্যদিকে, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও নির্দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়েও একমত হয়েছে দলগুলো। জানা গেছে, সংবিধান, জনপ্রশাসন, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারে গঠিত কমিশনের সুপারিশের আলোকে ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রায় ৬৯৪টি প্রস্তাবের মধ্যে পাঁচ শতাধিক বিষয়ে একমত হয়েছে বিএনপি। তবে সংস্কারের কিছু মৌলিক সুপারিশের বিষয়ে একমত হয়নি দলটি। সূত্র জানায়, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের ২৪৩টি সুপারিশের মধ্যে বিএনপি ১৪১টিতে একমত হয়েছে। আংশিক একমত হয়েছে ১৪টিতে, মন্তব্যসহ ভিন্নমত দিয়েছে ৬৪টিতে। আর একমত নয় ২৪টিতে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ২০৮টি প্রস্তাবের মধ্যে ১৮৭টিতে তারা একমত হয়েছে। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ৮৯টি সুপারিশকে দলটি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে ৬২টিতে তারা একমত হয়েছে। দুদক সংস্কার কমিশনের ২০টি সুপারিশের মধ্যে একটিতে তাদের আপত্তি আছে। সংবিধান সংস্কারের ১৩১টি সুপারিশের বেশিরভাগের সঙ্গেই দলটি একমত হয়েছে।

 

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

‘দ্য উইক’ ম্যাগাজিনে তারেক রহমানকে নিয়ে কাভার স্টোরি/ ‘নিয়তির সন্তান’

১০

বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসায় পুলিশ/ ডিএমপির দুঃখ প্রকাশ, এসআই ক্লোজড

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status