অনলাইন
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার মালিক বিএনপি না, সিদ্ধান্ত নিতে পারে ইসি-সরকার: মঈন খান
স্টাফ রিপোর্টার
(৭ ঘন্টা আগে) ৯ মে ২০২৫, শুক্রবার, ১:১৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:০৪ অপরাহ্ন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন ও সরকার নিতে পারে। আমরা এই সিদ্ধান্ত নেয়ার মালিক না। শুক্রবার গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র দ্য কার্টার সেন্টারের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির নেতারা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বৈঠকে দলটির স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার উপস্থিত ছিলেন। কার্টার সেন্টারের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামের সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর জোনাথন স্টোনস্ট্রিট।
এক প্রশ্নের জবাবে মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কি হবে না তা বিএনপির বক্তব্যের বিষয় নয়, নির্বাচন কমিশন ও সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। দেশের রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কথা বলছে। আমরা বিএনপি হিসেবে তো, এই সিদ্ধান্ত নেয়ার মালিক নই। আমাদের মহাসচিব ইতিমধ্যে তো বলছেন, জনগণের সিদ্ধান্তের বিষয় এটি। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে তারা নির্বাচন করবে কি করবে না। এটা হচ্ছে আমাদের বক্তব্য।
তিনি বলেন, আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসবে কি আসবে না, তাদেরকে গ্রহণ করা হবে কি না, তাদের নিষিদ্ধ করা হবে কি হবে না। এটা আওয়ামী লীগকে জিজ্ঞাসা করেন। তারা কি আসলেই নির্বাচন করতে চায়, তারা কি আসলেই গণতন্ত্র চায়? এটা তো আওয়ামী লীগকে বলতে হবে।
এ প্রসঙ্গে ড. মঈন আরও বলেন, আজকে পর্যন্ত ৯ মাস চলে গেছে, একজন আওয়ামী লীগকে দেখাতে পারবেন যে, তারা বলছেন- দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই মানুষের উপর তারা জুলুম করেছে, ফ্যাসিস্ট কায়দায় এদেশকে তছনছ করে দিয়েছে, লুটপাট করে নিয়েছে! তারা ভুল করেছে, তারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে ক্ষমা স্বীকার করেছে! তারা জনগণের মতামত নিয়ে নির্বাচন করতে চায়, আওয়ামী লীগের একটি লোক কি তা বলেছেন? বলেনি। তাই এই প্রশ্ন আমাদের করার প্রয়োজন নেই। এর উত্তর দেশের ১৮ কোটি মানুষ জানে।
বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুটি বিষয় নিয়ে মূলত কথা বলেছেন, একটি হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সার্বিক পরিস্থিতি। নির্দিষ্টভাবে তারা যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছেন, নির্বাচনে তারা হয়তো মনিটরিং করতে আসতে পারেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বিএনপি কখন নির্বাচন প্রত্যাশা করছে, এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের বক্তব্য তো স্পষ্ট, এ বছরের শেষে দিকে যদি নির্বাচন হয় সেটা জনগণের কাছে অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য হবে।
পাঠকের মতামত
আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের কথা উঠলে যেন মনে হয় আমার ভাইয়ের গলা কাটা গেল । একথা বলতে পারেন না যেটা আমাদের দায়িত্ব না সরকারের এবং সিই সির দায়িত্ব তারা কার্যকর করার দায়িত্বে আছে আপনাদের মতামত ব্যক্ত করতে হবে। আপনি একজন শিক্ষিত লোক শুনেছেন পৃথিবীর যে কোন ফ্যাসিবাদী দল আর কখনো তারা দল হিসেবে যুগের পর যুগ ধরে অপেক্ষা করুন নির্বাচন করতে পেরেছে।
এদেশে আওয়ামী লীগ ফিরে আসা মানে বিএনপিসহ সবার বিপদ। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে হলে বিএনপিকে জায়গায় খালি করতে হবে। আওয়ামী লীগ কী জিনিস তা গত ১৫ বছরে না বুঝলে আর কবে বুঝবে!
আপনি যতই বলেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে বিএনপির ভুমিকা ততটা জোড়ালো নয়, দায়সারা দায়সারা ভাব
বিএনপি ও জামায়াত ইসলা, আওয়ামীলীগ দ্বারা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত দল তাই আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করতে বিএনপি ও জামায়াত দুই দলকেই রাজপথে জোরালো ভাবে আওয়াজ তুলতে হবে। এবং আওয়ামীলীগকে অবশ্যই নিষিদ্ধ করতেই হবে।
নির্বাচন দেওয়ার মালিক বিএনপি না। সিদ্ধান্ত নেবে ইসি সরকার। তাহলে হুদাই গলা ফাটান ক্যান?
সকল দল নিষিদ্ধ করে, ৬০ বছর এর বেশী সকল নেতাদের তাবলীগে পাঠিয়ে, দেশে ৪-৫ টা নতুন দল গঠন করে, তাদের শিক্ষিত মার্জিত তরুণ নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দিতে হবে। তাহলেই দেশের উন্নতি সম্ভব। আর তা না হলে যেই লাউ সেই কদুই থেকে যাবে।
নিষিদ্ধ করার মালিক না সেটা সবাই জানে। কিন্তু নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছে না কেঘ?
আপনাদের এত দরদ কেন?