শেষের পাতা
রেমিট্যান্স পাঠিয়ে সন্দ্বীপের প্রবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে সন্দ্বীপের প্রবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সন্দ্বীপে ফেরি সার্ভিস চালু হওয়ায় এখন থেকে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সবাই নিরাপত্তার সঙ্গে সাগর পারাপার হতে পারবেন।
তিনি বলেন, সন্দ্বীপকে নৌবন্দর ঘোষণা, কুমিরা ও গুপ্তছড়া ঘাট উন্মুক্ত, ঢাকা-কুমিরা বাস চালু, ফেরি ঘাট এলাকায় সড়ক নির্মাণ এবং নৌপথ নিয়মিত ড্রেজিংয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে সন্দ্বীপবাসীর দীর্ঘদিনের ভোগান্তি কমে আসবে বলে সরকার প্রধান প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। প্রধান উপদেষ্টা প্রত্যেককে নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ঘাটে ফেরি চলাচল উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৬ জন উপদেষ্টা। ফেরির পাশাপাশি সোমবার থেকে ঢাকা-সন্দ্বীপ রুটে বিআরটিসি’র বাস চলাচলও উদ্বোধন করেন উপদেষ্টারা। এছাড়া চট্টগ্রামের এয়ারপোর্ট-সিবিচ-নিমতলা-নয়াবাজার-কুমিরা-বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট-সন্দ্বীপ এনাম নাহার মোড় রুটেও এসি বাস সেবা চালু করেছে বিআরটিসি।
ফেরি উদ্বোধনে অংশ নেয়া উপদেষ্টারা হলেন- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এম. সাখাওয়াত হোসেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ফারুক-ই-আজম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ফরিদা আখতার।
এদিকে চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ সরাসরি ফেরি চালুর মাধ্যমে ৪ লাখ সন্দ্বীপবাসী নিরাপদ নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা পাচ্ছেন। বাস, ট্রাক, ট্যাঙ্ক লরি, মিনিবাস, প্রাইভেটকারসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচলের ফলে সন্দ্বীপবাসীর জীবনযাত্রার মান ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়বে। সন্দ্বীপে পর্যটকও বাড়বে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপে যেতে এখন মাত্র এক ঘণ্টা ১০ মিনিট সময় লাগছে। জোয়ার-ভাটা হিসাব করে প্রতিদিন যাওয়া-আসা মিলিয়ে চারবার ফেরি চলাচল করবে। ফেরিতে ছোট-বড় ৩৫ টির মতো যানবাহন পরিবহন করা যাবে। ফেরিতে ৬০০ জন মানুষ উঠতে পারবে। চলাচলের জন্য সাধারণ যাত্রী ১০০ টাকা, মোটরসাইকেল ২০০ টাকা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ৫০০ টাকা, ব্যক্তিগত গাড়ি ৯০০টাকা, বাস ৩ হাজার ৩০০ টাকা, ট্রাক ৩ হাজার ৩৫০ টাকা এবং ১০ চাকার গাড়ির জন্য ৭ হাজার ১০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত
Good news..hope for the best