শেষের পাতা
কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা
৩ জনের ফাঁসির দণ্ড
স্টাফ রিপোর্টার
২৬ মার্চ ২০২৫, বুধবার
রাজধানীর কেরানীগঞ্জে এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার সকালে ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-কেরানীগঞ্জের খোলামোড়া গ্রামের কামির উদ্দিনের ছেলে সজীব (২৫), ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার খাঁকান্দা গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে রাকিব (২৩) এবং শরীয়তপুরের পালং থানার মুসলিম মাতবরের ছেলে শাওন ওরফে ভ্যালকা শাওন (২৬)। তবে মামলার অপর দুই আসামি আলী আকবর (২২) ও রিয়াজের (২২) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেন আদালত। ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এরশাদ আলম জর্জ সাংবাদিকদের বলেন, লাশ গুমের ঘটনায় তাদের প্রত্যেককে সাত বছর করে কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। কারাগারে থাকা তিন আসামি রাকিব, রিয়াজ এবং শাওনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে বিচারক রায় ঘোষণা করেন।
রায় শেষে দণ্ডিত রাকিব এবং শাওনকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে দণ্ডিত সজীব পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তিনি আরও বলেন, আসামিদের স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়ার জন্য ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মামলার নথিপত্র অনুযায়ী, ২০২২ সালের ১১ই জুন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে পশ্চিম বামনসুর জামে মসজিদের সামনে পুকুরের পানিতে একজনের লাশ ভাসছে। ওই লাশ উদ্ধারের পর পরিচয় শনাক্ত করে তার এক বান্ধবী। শাওন, রাকিব, সজীব ও আলী আকবর মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের পাশাপাশি শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে আদালতে জবানবন্দি দেয়।
পাঠকের মতামত
আলহামদুলিল্লাহ, ধন্যবাদ জজ সাহেব
ফাঁসি গুলো জনসম্মুখে দেন - দেখেন অপরাধ কত কমে যায়