খেলা
নিজ দেশের বিরুদ্ধে বিশ্ব রেকর্ড আব্বাসের!
স্পোর্টস ডেস্ক
৩০ মার্চ ২০২৫, রবিবার
অভিষেকেই ওয়ানডের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়লেন মুহাম্মদ আব্বাস। ২৪ বলে হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ডটি তিনি করেছেন জন্ম দেশ পাকিস্তানের বিপক্ষে। আব্বাসের পরিবারের দুই প্রজন্মের স্বপ্নই একটি ক্রিকেট। আজহার আব্বাস ক্রিকেট একটু বেশি ভালোবাসতেন বলেই তো নিউজিল্যান্ডে পাড়ি জমানোর পরও ক্রিকেট ছাড়েননি। খেলেছেন ওয়েলিংটন ও অকল্যান্ডের হয়েও। বর্তমানে ওয়েলিংটনে সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক এই পেসার। ক্রিকেটটা তাই এই পরিবারের জন্য একটি বেশিই বিশেষ। ছেলে মোহাম্মদ আব্বাসের ধ্যানজ্ঞানও এই ক্রিকেটই। সেটিও মাত্র ৩ বছর বয়স থেকে। আব্বাসের বেড়ে ওঠা অকল্যান্ডে। ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলার কথা ছিল আব্বাসের। তবে কোয়ারেন্টিন বাধ্যবাধকতায় শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্ট থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় নিউজিল্যান্ড। গত ফেব্রুয়ারিতে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ওয়েলিংটনের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরি করেন আব্বাস। ডাক পাওয়ার আগে সবমিলিয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ম্যাচ খেলেছেন ১৫টি। প্রায় ৩৫ গড়ে আব্বাস রান করেছেন ৪৫৪, উইকেট পেয়েছেন ৫টি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ম্যাচ খেলেছেন ২১টি। ৬টি ফিফটির সঙ্গে সেঞ্চুরি আছে ২টি। গড় ৩৬.১৩। ৩০.৪১ গড়ে উইকেট নিয়েছেন ১২টি। মানে ঘরোয়া ক্রিকেটে আব্বাসের পারফরম্যান্স খুব একটা আহামরি নয়। এমনকি হঠাৎ করে দলে ডাক পাওয়াতে তিনিই অনেকটা অবাক হয়েছেন। ইএসপিএনক্রিকইনফোতে আজহার আব্বাস বলেন এভাবে, ‘ও (মোহাম্মদ আব্বাস) আসলে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিল, বিষয়টি বোধগম্য। যেকোনো মানুষ এভাবে অনুভব করবে। উচ্ছ্বসিত, খুব খুশি, কিন্তু একইসঙ্গে অবাকও। ও ভালো খেলোয়াড়, তবে ঘরোয়া ক্রিকেট আরও অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। অনেক ক্রিকেটারের খেলা দেখতে ভালো লাগে। ও তাদের একজন। তাই এটি আমাদের সবার জন্যই একটি চমক ছিল।’ নিউজিল্যান্ড ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না তার প্রমাণ তো অভিষেক ম্যাচেই দেখা গেল। ইনিংসের ৪২তম ওভারে উইকেটে আসা আব্বাস ফিফটি তুলে নেন দুই বল বাকি থাকতে। ২৪ বলে ফিফটি করা আব্বাস ইনিংসে শেষ বলে আউট হওয়ার আগে করেন ২৬ বলে ৫২। আব্বাসের আগে অভিষেকে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ছিল ভারতের ক্রুনাল পান্ডিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলিক অ্যাথানেজের। দু’জনেরই লেগেছিল ২৬ বল।