অনলাইন
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ত্রিপুরার গ্রাম থেকে ক্যামেরা লাগানো ড্রোন উদ্ধার
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ সপ্তাহ আগে) ৮ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ৪:৪৮ অপরাহ্ন
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ক্যামেরা লাগানো ড্রোন উদ্ধার করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও দক্ষিণ ত্রিপুরার সীমান্তের গ্রাম থেকে এই ক্যামেরা লাগানো ড্রোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রামবাসীদের মতে, একজন কৃষক প্রথমে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে বিলোনিয়া মহকুমার বল্লমুখায় একটি ধানক্ষেতে ড্রোনটি দেখতে পান। সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া থেকে মাত্র ৩০০ মিটার দূরে তা পড়ে থাকতে দেখে তিনি খবর দেন স্থানীয় পুলিশকে। এলাকার বাসিন্দারা গত কয়েকদিন ধরেই ওই ড্রোনটি দেখছিলেন বলা জানিয়েছেন। সীমান্ত এলাকার আকাশে উড়ছিল সেটি।
তাদের ধারণা, সীমান্ত এলাকায় নজরদারি চালানোর জন্য তা ব্যবহার করা হচ্ছিল। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্যামেরা লাগানো ড্রোনটি উদ্ধার করে।
একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, তথ্য পাওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ড্রোনটি জব্দ করি। বর্তমানে ড্রোনটি বেলোনিয়া থানায় হেফাজতে রয়েছে। আমরা ড্রোনটির ফরেনসিক পরীক্ষা শুরু করার পরিকল্পনা করছি যাতে এর শেষ উড্ডয়নের পথ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা যায়। এখনও পর্যন্ত আমরা এর উৎপত্তিস্থল নিশ্চিত করতে পারিনি।
ভারত-বাংলাদেশ ৪,০৯৬ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ৮৫৬ কিলোমিটার ত্রিপুরায় অবস্থিত। ত্রিপুরার আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৯৭ শতাংশেরও বেশি অংশ কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘেরা। ১৯৭২ সালের ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি অনুসারে প্রায় ২০ বছর আগে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, যার লক্ষ্য ছিল জাতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অনুপ্রবেশ, বিদ্রোহ রোধ করা এবং সীমান্ত-সম্পর্কিত অপরাধ হ্রাস করা।
মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে বিএসএফ সৈন্যরা বেশ কয়েকটি চোরাচালানের প্রচেষ্টা সফলভাবে ব্যর্থ করেছে এবং ২.৮৮ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ গরু, চাল, মাদক এবং অন্যান্য অবৈধ পণ্য জব্দ করেছে। সীমান্তে চোরাচালান এবং অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধে ৬১টি একযোগে অভিযান এবং সমন্বিত টহল পরিচালনা করা হয়েছে। বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশটিতে সাম্প্রতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক সীমান্তে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়।
ভারতের সীমান্তগুলো সুসংরক্ষিত করার এবং কোনও অবৈধ অভিবাসনের অনুমতি দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয়া হয় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।
গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের ধারাবাহিক অনুপ্রবেশ প্রতিহত করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তৎকালীন বিএসএফ ত্রিপুরা সীমান্তের ইন্সপেক্টর জেনারেল প্যাটেল পীযূষ পুরুষোত্তম দাস ওই এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ফিল্ড কমান্ডারদের পদক্ষেপগুলো পর্যালোচনা করেন এবং আন্তঃসীমান্ত চোরাচালান রোধে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহারের ওপর জোর দেন। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস