খেলা
বক্সিং স্টেডিয়ামের বেহাল দশা
স্পোর্টস রিপোর্টার
৯ এপ্রিল ২০২৫, বুধবারপল্টনের জাতীয় স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সের ভেতরে মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়ামের প্রবেশ পথে জমে ছিল ময়লা। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ঠিকাদাররা এখনো রিং বসাতে পারেননি। যেখানে খেলা প্রায় অসম্ভব। জিমেও নেই বেশ কিছু সরঞ্জাম। বক্সারদের গর্বের এই স্টেডিয়াম আজ জড়াজীর্ণ। এ নিয়ে মহা বেকায়দায় পড়েছেন নতুন এডহক কমিটির কর্মকর্তারা। স্টেডিয়াম সংস্কারে অর্থ জোগাড়ে দিশাহারা তারা। যদিও ইতিমধ্যে স্টেডিয়ামটি সংস্কারের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চাহিদাপত্র দিয়েছেন নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস খান।
গত বছরের ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়। ফলে বক্সিংয়েও আসেননি আগের কমিটির কর্মকর্তারা। সূত্রে জানা গেছে, কর্মকর্তারা না এলেও সাবেক বেশ কিছু বক্সাররা কিছুদিন অবস্থান করেছিলেন স্টেডিয়ামে। ক্রীড়াঙ্গণ সংস্কারের নামে সার্চ কমিটি গঠন হলেও বক্সিংয়ে কমিটি দিয়েছে ১৯শে মার্চ। ফলে সাড়ে সাত মাস ধরেই বক্সিং স্টেডিয়াম ছিল বক্সারহীন। এই ক’দিনেই উধাও হয়ে গেছে বক্সিংয়ের সরঞ্জাম। এ নিয়ে ক্ষমতায় এসেই বেশ ক’টি সভা করেছেন নতুন কমিটির কর্মকর্তারা। গত ৬ই এপ্রিল ক্রীড়া পরিষদের সচিবের কাছে সেই চাহিদাপত্র দেন কুদ্দুস খান। সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জিমে রানিং ও ওয়ার্ক সাইকেল নেই। গ্রিপ, বক্সিং প্যাড, হেড, গ্লাভস, চেস গার্ড, সোনাবাথ কোনো কিছুই নেই। দেয়ালের রংও উঠে গেছে। কোথাও পলেস্তারা খসে পড়েছে। বাথরুমের কমোড নেই। গ্যালারির চেয়ার ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে। কনফারেন্স রুমের মাইক সিস্টেম নষ্ট। বিদ্যুতের তার কেটে ফেলা হয়েছে। স্টেডিয়ামের ভেতরের অবস্থা খুবই সংকীর্ণ। তাই আমি ৬ই মার্চ জরুরি ভিত্তিতে স্টেডিয়ামের অবকাঠামোগত সংস্কার এবং স্টেডিয়ামের দেয়ালে রংকরণের জন্য চিঠি দিয়েছি।’