খেলা
ফের অশ্রুসিক্ত নয়নে মাঠ ছাড়লেন নেইমার
স্পোর্টস ডেস্ক
(১ দিন আগে) ১৭ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১:১৯ অপরাহ্ন

দীর্ঘদিন পর শুরুর একাদশে নামেন নেইমার জুনিয়র। ‘১০০’ নাম্বার জার্সি পড়ে নামার কারণটি ছিল বিশেষ। সান্তোসের মাঠ ভিলা বেলমিরোতে বুধবার নিজের শততম ম্যাচ ছিল ব্রাজিলিয়ান মহাতারকার। তবে সেই স্বপ্নময় আবহ পরিণত হয় দু:স্বপ্নে। বিরতির বাঁশি বাজার আগেই অশ্রুভেজা চোখে মাঠ ছাড়তে হয় ব্রাজিলের রাজপুত্রকে।
নেইমারের ক্যারিয়ার আর চোট যেন একইসূত্রে গাঁথা। চোটে পড়ে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থেকে ফিরে আবারও চোটে পড়ার গল্পটা নতুন নয় তার জন্য। ৩৩ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ানকে যখন কার্টে করে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন তার মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছিল না। বাঁ হাত দিয়ে চোখমুখ চেপে ধরে হয়তো কান্না আটকাতে চাচ্ছিলেন। পারেননি। বাঁ পায়ের সেই পুরনো চোটটা ফিরে এসেছে আবার। বারবার মাঠের বাইরে চলে যাওয়ার যন্ত্রণাটা তার থেকে বেশি আর কে-ই বা জানেন। এই চোটের কারণেই ছাড়তে হয়েছে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল। সৌদি প্রো লিগের এ ক্লাবে চোটের কারণে তিনি ১৮ মাসে খেলতে পেরেছেন মাত্র ৭ ম্যাচ। সান্তোসে এসেও চলতি মৌসুমে চোট পিছু ছাড়ছে না তাকে। ক্যাম্পেওনাতো পলিস্তায় গত মাসের শুরুতে ব্রাগান্তিনোর বিপক্ষে বাঁ পায়ের চোটে পড়েন নেইমার। সেবার প্রায় ছয় সপ্তাহের জন্য ছিলেন মাঠের বাইরে। এই সময়ের মধ্যে ব্রাজিল জাতীয় দলে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত ওই চোটের কারণে মার্চের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দু’টি ম্যাচে তিনি খেলতে পারেননি। পরে গত রোববার ব্রাজিলের শীর্ষ লীগ সিরি আতে ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে মাঠে ফেরেন বদলি হিসেবে। এরপর এই লীগেই অ্যাথলেটিক মিনেইরার বিপক্ষে ফের ছিটকে গেলেন তিনি। যদিও তার দল জিতেছে ২-০ গোলে। শুরু থেকেই সংশয় ছিল নেইমারকে নিয়ে। দুই ঊরুতে মোটা টেপ পেঁচিয়ে নামতে দেখে যে কারো মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে, তিনি আদতে পুরোপুরি সুস্থ কি না। ২৪ আর ২৭তম মিনিটের দুই গোলে এগিয়ে ছিল সান্তোস। ঘরের মাঠে সমর্থকদের গর্জনে গ্যালারি তখন উত্তাল।
তবে তা মিইয়ে যায় কিছুক্ষণের মধ্যেই। ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে নিজের পরিস্থিতি বুঝে যান নেইমার। বাঁ ঊরুতে হাত থেকে একটু খোঁড়াতে দেখা যায় তাকে। হাত নাড়িয়ে ডাগআউটের দিকে বদলির ইশারা করলে স্পষ্ট হয় সবকিছু। মাঠে থাকা অবস্থাতেই কেঁদে ফেলেন তিনি। এক পর্যায়ে দুজনের সহায়তায় কার্টে বসে মাঠ ছাড়েন। গ্যালারি থেকে বিপুল করতালি ভেসে আসে নিজেদের রাজপুত্রের জন্য। ক্যারিয়ারে এমন বাজে সময়ে সান্তোসকে পাশে পাচ্ছেন নেইমার। ক্লাবটি নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে, ‘প্রিন্স! পুরো সান্তোস তোমার সঙ্গেই আছে।’