বিনোদন
‘এমন দমবন্ধ পহেলা বৈশাখ দেখিনি’
স্টাফ রিপোর্টার
(১৬ ঘন্টা আগে) ১৫ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ৪:০৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২৯ পূর্বাহ্ন

অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন রাষ্ট্র নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আটক হয়েছিলেন গত ৬ ফেব্রুয়ারি। আটক হওয়ার পরের দিন ছাড়াও পেয়েছিলেন। এরপর এক মাস দেশের কোনো জরুরি ইস্যু নিয়ে সেভাবে লিখতে দেখা যায়নি অভিনেত্রীকে। তবে এবার পহেলা বৈশাখ নিয়ে লিখলেন তিনি। যে লেখা প্রকাশ হয়েছে কলকাতার সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারে। তার লেখায় পহেলা বৈশাখ নিয়ে ক্ষোভ উঠে এসেছে।
শাওন লিখেছেন, এমন দমবন্ধ করা, অবরুদ্ধ পহেলা বৈশাখ দেখিনি। কখনো দেখব বলেও আশা করিনি। আসলে ছোটবেলার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রমনার বটমূল, ছায়ানটের গান। ছোটবেলায় ছায়ানটের গান দিয়ে শুরু হতো দিন। সবাই মিলে রাস্তায় ঘুরে বেড়াতাম, রংবেরঙের মুখোশ কিনতাম। যে দিকে তাকাতাম, সেদিকেই লাল-সাদা। মনে হতো গোটা বাংলাদেশটা ঝলমল করছে। ঝলমলে শহরে পহেলা বৈশাখ উদ্যাপনটা এমন হয়ে যাবে, সেটা ভাবিনি। চারপাশে বৈশাখের নাম পরিবর্তন নিয়ে নানা কথা শুনছি। তবে এর বীজটা মনে হয় আগে থেকেই রোপণ করা হয়েছিল। এখন নামের মধ্যেও ধর্ম খুঁজে বের করা হচ্ছে। ‘আনন্দ’ শব্দটার মধ্যেও চাইলে অনেক কিছু খুঁজতে পারেন। আমার ধারণা, একটা বিশেষ শ্রেণিকে তুষ্ট করতেই এই নাম বদল। কারণ তারা ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটা পছন্দ করে না। তারা অনেক দিন ধরেই চাইছিলেন, এই নামটা পরিবর্তন হোক। রাজনৈতিক পটভূমি পরিবর্তনে কিছু না কিছু রদবদল হয়ই। কিন্তু আমরা যা ভেবেছিলাম, তার থেকে অনেক বেশি পরিবর্তন হয়েছে। দেশকে নিয়ে এখনো স্বপ্ন দেখেন জানিয়ে শাওন লেখেন, মাঝেমধ্যে হতাশ লাগে। তবে তারপরেও দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে ছাড়ি না। ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বপ্ন দেখি। তবে একটা জিনিস বড্ড ভাবায়। বাংলাদেশে ‘মব সংস্কৃতির’ চল শুরু হয়েছে, যাকে বলা হয় ‘উত্তেজিত জনতা’। তবে এটাও ঠিক, জনতা নিজে নিজে উত্তেজিত হয় না। পেছনে কোনো না কোনো ইন্ধন থাকে। আমি চাই এই ‘মব সংস্কৃতি’ বন্ধ করতে আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করুক এই সরকার।
পাঠকের মতামত
শাওন কে কিছু বলার নাই কারণ শাওন গংরা যেহেতু একচুখা তাই তাদের বুঝানু যাবেনা। ওরা যা অনুভব করছে তাই প্রকাশ করছে এই আর কিছুনা। ওদের চুখে আওয়ামীলীগ আর আওয়ামীলীগ এর বাহিরে কারো কোনো কিছু ভালো লাগবেনা। এতটা দিন আওয়ামীলীগ যেই দুশশাসন করেছে তা তাদের কাছে খারাপ ছিলোনা কারণ ওই যে বললাম এক চুখা।
আপনারা দেবীকে হারিয়ে বিমর্ষ। তাই দেবীহারা এই পহেলা বৈশাখে আপনাদের দম বন্ধ হয়ে আসে। আমরা স্বৈরাচারকে দেশছাড়া করে উৎফুল্ল। তাই এবারের পহেলা বৈশাখ স্বরন কালের সবচাইতে আনন্দের। অমঙ্গলকে তাড়িয়ে এবার হলো সত্যিকার আনন্দ শোভাযাত্রা।
নাচনেওয়লীর নাচ ছাড়া সব কিছু যেন খাপছাড়া খাপছাড়া লাগে, এই আর কি।
আপনার লেখা এমন দম বন্ধ বৈসাক আর কখনো দেখেননি এর অর্থ হলো আপনার অতীত থেকে দেখে এসেছেন স্বৈরাচারী সরকারের নিজস্ব মতবাদের বৈসাক। এবার দেখেছেন সম্পুর্ন বাংলাদেশি সংস্কৃতির বৈসাক। যার জন্য এমন মনে হয়েছে। আপনার মানসিক চিন্তা ভাবনা বদলান দেখবেন জীবন অনেক সুন্দর হয়েছে।
তসলিমা নাসরিনের অন্ধ অনুসারী ও সমর্থক। একমাত্র মুসলমানদের মধ্যে নাস্তিক সৃষ্টি হয় যা অন্য ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে হয় না। ২৪ এর এতো রক্ত ও ত্যাগের মাধ্যমে একটি নতুন দেশ আমরা পেলেও এই নোংরা/অশ্লীলতায় ভরপুর গুটিকয়েক দেশ বিরোধীদের জন্য দেশটি এখন তাদের কাছে ভালো লাগে না।
Hypocrite.