বিনোদন
সাইফ কাণ্ডে নয়া মোড়
বিনোদন ডেস্ক
(৮ ঘন্টা আগে) ১৬ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১১:১৬ পূর্বাহ্ন

সাইফ আলি খান কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে একাধিক সাক্ষ্যপ্রমাণ রয়েছে। ফরেন্সিক রিপোর্টও তার বিরুদ্ধেই গিয়েছে। এর আগে আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন শরিফুলের আইনজীবী। একাধিক সাক্ষ্য ও তথ্যপ্রমাণ পেশ করে অভিযুক্তের জামিনের আবেদন নাকচ করার আবেদন জানায় মুম্বাই পুলিশ। হাজার পাতার চার্জশিটও পেশ করে। তবে এবার নয়া মোড় নিয়েছে তদন্ত। অভিনেতার আবাসন থেকে পাওয়া কিছু আঙুলের ছাপের সঙ্গে মিলছে না অভিযুক্তের আঙুলের ছাপ। অভিযুক্তের আঙুলের ছাপের ২০টি নমুনা সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যুরোতে পাঠানো হয়েছিল। যার মধ্যে ১৯টি নমুনা অভিযুক্তের সঙ্গে মেলেনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিনেতার বাথরুমের হাতল, আলমারির হাতল, দরজার হাতল সহ একাধিক জায়গা থেকে আঙুলের যে ছাপ পাওয়া গিয়েছে তার সঙ্গে শরিফুলের আঙুলের ছাপের মিল নেই। এ ভাবে ২০টি আঙুলের ছাপের মধ্যে ১৯টি নাকি মেলেনি। কেবল আট তলার ঘর থেকে পাওয়া আঙুলের ছাপের সঙ্গে মিলেছে অভিযুক্তের আঙুলের ছাপ। পুলিশের দাবি, বাকি জায়গার হাতলে অভিযুক্তের পাশাপাশি অন্যরাও হাত রেখেছিলেন। অভিযুক্তের আঙুলের ছাপের উপরেই পড়েছে সেই ছাপগুলো। ফলে, মুছে গিয়েছে শরিফুলের আঙুলের ছাপ। তাদের দাবি, এই ধরনের অমিল অনেক তদন্তেই ঘটে থাকে। সাধারণত, হাজার জনের মধ্যে একজনের ছাপ মিলে যায়। তবে আটতলার ঘর থেকে পাওয়া আঙুলের ছাপই প্রমাণ করে দিচ্ছে, আততায়ী অভিনেতার বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। মুম্বাই পুলিশের চার্জশিটে আরও প্রকাশিত, বাংলাদেশ থেকে আগত শরিফুল তার পরিবারের কাছে অবৈধ ভাবে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠাতেন। চার্জশিটে পুলিশ এ কথা উল্লেখ করে জানিয়েছে, শরিফুল তার সহকারী অমিত পাণ্ড্যর মাধ্যমে আবদুল্লাহ আলিমের কাছে টাকা পাঠাতেন। আলিম তার বোনের স্বামী ছিলেন।
চার্জশিটে এও জানানো হয়েছে, এ ভাবে অনেক দিন ধরে বেঙ্গালুরুর একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অবৈধভাবে ভারতীয় মুদ্রা দেশ থেকে বাইরে পাঠানো হচ্ছিল। ৮ এপ্রিল বান্দ্রার মেট্রোপলিটন আদালতে হাজার পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছিল মুম্বাই পুলিশ। সেই চার্জশিট এর তথ্য একে একে সংবাদমাধ্যমের হাতে আসে। জানা গিয়েছে, ঘটনার তদন্তে পুলিশের কাছে ১১১ জন সাক্ষী দিয়েছিলেন। বয়ান রেকর্ড করা হয় ৪৮ জনের।