বড় হারের পরও অসাধারণ সাফল্য বলছেন ফ্লিক

 অবশেষে ২৪ ম্যাচ পর জয়রথ থামলো বার্সেলোনার। মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়নস লীগের ফিরতি লেগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠে ৩-১ গোলে হেরেছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন ডর্টমুন্ডের গিনিয়ান ফরোয়ার্ড সেরহু গিরাসি। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ ব্যবধানে সেমিফাইনালে পেঁৗঁছে গেছে কাতালানরা। দীর্ঘ ৬ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লীগের সেমিফাইনালে উঠলো বার্সেলোনা। ম্যাচ শেষে বার্সা বস হান্সি ফ্লিক এটিকে আখ্যা দেন অসাধারণ সাফল্য হিসেবে। সিগনাল ইদুনা পার্কে এদিন বেশিরভাগ সময়ই ম্রিয়মান থাকে বার্সেলোনা। গোলের দিকে ১৮টি শটের মধ্যে ১১টিই লক্ষ্যে রাখে স্বাগতিকরা। বিপরীতে ৭টির মধ্যে স্রেফ ২টি শট লক্ষ্যে রাখতে পারে আসরের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন বার্সা। যদিও বল পায়ে আধিপত্য দেখিয়েছে কাতালুনিয়ান দলটি। নিজ মাঠ প্রথম লেগে ৪-০ গোলে জয় পাওয়া বার্সেলোনার ওপর এদিন শুরুতেই চাপ দেয় গতবারের রানার্সআপরা। ম্যাচের একাদশ মিনিটে ডর্টমুন্ডকে পেনাল্টি উপহার দেন বার্সা গোলকিপার ভয়চেক সেজনি। স্পটকিক থেকে দলকে এগিয়ে নেন গিরাসি। এরপর একের পর আক্রমণ চালায় স্বাগতিক দল। বিরতির আগে আর কোনো গোল না হলেও সফরকারীদের মনে ভয় ধরিয়ে দিতে সক্ষম হয় ডর্টমুন্ড। প্রথমার্ধে গোলের জন্য মাত্র একটি শট নিতে পারে বার্সেলোনা। যেখানে এই সময়ে ডর্টমুন্ডের ১০টি শটের ৭টিই লক্ষ্যে ছিল। মাঠে ফিরেই বার্সাকে আরও কোণঠাসা করে ফেলে কালো হলুদরা। ৪৯তম মিনিটে রামি বেনসেবাইনির হেড পাস থেকে নিজেও হেডে জাল খুঁজে নেন গিরাসি। বিরতির আগে বার্সার আক্রমণভাগকে সবচেয়ে বেশি ভোগান রামি। ৫৪তম মিনিটে বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল পাঠিয়ে দেন এই আলজেরিয়ান ডিফেন্ডার। ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক গোলটি করেন গিরাসি। চ্যাম্পিয়নস লীগে এবারের আসরে এটি এই গিনি ফরোয়ার্ডের ত্রয়োদশ গোল। বাকি সময়ে আর গোলের দেখা না মেলায় ৩-১ গোলে ম্যাচ জিতে যায় ডর্টমুন্ড। তবে দুই লেগ মিলিয়ে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। চলতি বছরে প্রথমবারের মতো হারের গ্লানিতে ডুবলেও চওড়া হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। কেননা তারা যে ২০১৯-এর পর প্রথমবারের মতো শেষ চারে খেলবে। ম্যাচের পর কোচ ফ্লিক বলেন, ‘আমরা সমতার মধ্য দিয়ে এসেছি এবং এটিই ছিল আমাদের উদ্দেশ্য। ক্লাবের সেমিফাইনালে থাকা অসাধারণ ব্যাপার। চ্যাম্পিয়নস লীগের সেমিফাইনালে থাকাটা একটি বড় সাফল্য এবং আমাদের এটি নিয়ে খুশি হতে হবে।’ ডর্টমুন্ডের প্রশংসা করে বার্সা বস যোগ করেন, ‘বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের একটি অসাধারণ দলের বিপক্ষে আমরা খেলেছি, যারা কি না আমাদের জীবন আরও কঠিন করে দিয়েছে। আমরা সেমিফাইনালে আছি, সেটিই গুরুত্বপূর্ণ। নেতিবাচক নয়, আমাদের ইতিবাচক দিকগুলো দেখতে হবে। এই ম্যাচটির দিকে ঘুরে তাকানো এবং যা ঘটেছে তা মেনে নেয়া গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমাদেরও সামনের দিকে তাকাতে হবে। আমাদের সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে।’