বাংলারজমিন
আখড়ার জমি বিক্রি সিলেটে ৩০ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২২ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবারসিলেটে আখড়ার সম্পত্তি হস্তান্তরের ঘটনায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সোমবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. শরিফুল হক তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। ১৮৬৮ সালে স্থানীয় বিত্তবান মায়ারাম দাস বৈষ্ণব শ্রীশ্রী রাধা গোবিন্দ জিউর আখড়ার জন্য প্রায় তিন একর জমি দান করেন বলে স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান। জীবদ্দশায় তিনি মন্দিরটি পরিচালনাও করেন। জিন্দাবাজারের সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও পাঁচপীরের মাজারসংলগ্ন আখড়াটি সিলেট মিউনিসিপ্যালিটি মৌজার জেএল নম্বর ৯১-এর অন্তর্গত। মন্দিরের সেবায়েত বিভাবসু গোস্বামী বাপ্পার তথ্যমতে মন্দিরের রেকর্ডে ৮৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ জমি। এর মধ্যে দখলে রয়েছে ৪০ শতাংশ, বাকি জমি বেহাত। বিভিন্ন সময়ে জায়গা বেহাতের পর সর্বশেষ ২০০৫ সালে পরিচালনা কমিটি মন্দিরের ১১ দশমিক ৪৪ শতাংশ জমি হস্তান্তর করে। সেই জমিতে বর্তমানে প্রতিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ২০২৩ সালের ১৩ই জুলাই আদালতে মামলা করেন আখড়ার বাসিন্দা ও ভক্ত রাহুল দেবনাথ। তিনি মামলায় আখড়ার জায়গা অবৈধভাবে হস্তান্তর ও ১২ কোটি ২৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাৎ, দলিল জালিয়াতি ও বিক্রির অভিযোগ করেন। মামলা তদন্তে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালত থেকে পিআইবিকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময় প্রতিবেদন দাখিল না করে পরবর্তীতে আরও ৫ দফা সময় নেন একাধিক তদন্ত কর্মকর্তা। সর্বশেষ ১৩ই এপ্রিল আদালতে ৫ম তদন্ত কর্মকর্তা মোহনলাল তালুকদার ১২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনের আলোকে আজ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদনে মিউনিসিপ্যালিটি মৌজার ২৯২১ খতিয়ানের ৫৭৬৫ নং দাগের সাড়ে দশ ডেসিমেল ও ৫৭১২ নং দাগের ১১ ডেসিমেল ৪৪ পয়েন্ট ভূমি গোবিন্দ জিউর আখড়ার ভূমি উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয় দেবোত্তর ভূমি উষা রানী দাশ পুরকায়স্থর স্বামী বিরজা মোহন দাশ পুরকায়স্থ আখড়ার তৎকালীন সম্পাদকের দায়িত্বে থাকাকালীন কৌশলে দলিলবিহীন তার স্ত্রী উষা রানী দাশ পুরকায়স্থর নামে এসএ রেকর্ড করে নেন। পরবর্তীতে এ নিয়ে মামলা করা হয়। বিভিন্ন সময় একাধিক দলিল সম্পাদন করা হয়।