অনলাইন
এনসিপি নেতা তানভীরকে অব্যাহতি
স্টাফ রিপোর্টার
(১ সপ্তাহ আগে) ২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ৯:৪১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:৫৯ অপরাহ্ন

জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে দল থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সোমবার দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ১১ই মার্চ জাতীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে আপনার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক নিয়োগে অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এর পাঠ্যবই ছাপার কাগজে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে এসেছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির প্রধানের নিকট আগামী সাত দিনের মধ্যে লিখিতভাবে যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদান করতে এবং আপনাকে কেন দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর জন্য আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন নির্দেশ প্রদান করেছেন।
এতে আরও বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রদত্ত পূর্ববর্তী মৌখিক সতর্কতা অমান্যের প্রেক্ষিতে শৃঙ্খলা কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্ব পর্যন্ত আপনাকে দলের সকল দায়িত্ব ও কার্যক্রম থেকে আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব জনাব আখতার হোসেনের নির্দেশক্রমে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
উল্লেখ্য, এনসিপি গঠনের আগে থেকেই গাজী সালাউদ্দিন তানভীরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে দলের সর্বশেষ বৈঠকেও আলোচনা হয়। তানভীর সচিবালয়ে প্রবেশ করছেন এমন একটি ছবি নিয়ে সোমবারও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা হয়।
পাঠকের মতামত
মাশাল্লাহ, তানভির এর অবদান। দেখতে এক দম এক জন কামেল। কাজে করমে মিল নেই চেহারা সুরাতের সাথে। হায়রে মানুষ!!!
why not arrest his ?
চকচক করলেই সোনা হয়না যার উত্তম উদাহরণ এই বাটপারটা। ইদের ছুটিতে বগুড়ায় যেয়ে তার কুকীর্তি সম্পর্কে জানতে পারি। পুরা শহরের বড় বড় সব বিলবোর্ডে তার ছবি। ছোট ছোট সব ব্যানার, ফেস্টুনে অলি গলি ছেয়ে গেছে। হুট করে এর এমন উত্থান যে কারো মনে সন্দেহ জাগাবেই। এই তানভীরকে আইনের আওতায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার, এই কয়েক মাসে যেন আলাদিনের চেরাগ পেয়ে গেছে।
আওয়ামীলীগ নেতা ও সাদপন্তী দরবেশ এরতেজা হাসান এর ফটো কপি। শুরুতেই চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ায় এনসিপি কে ধন্যবাদ।
শুধুই দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি কোন বিচার নয়। ঘুষ বাণিজ্য এবং কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা জরুরি। অন্যথায় এইসব অভিযোগ মাথায় নিয়ে যারা ( দরবেশ বাবা সহ) জেলখানায় মানবেতর জীবন যাপন করছে সবাইকে আবারও লুটপাটের বৈধতা দেয়া হোক। কারণ একই যাত্রায় দুই রকমের ফলাফল হতে পারে না। ক্ষমতায় থাকলে লুটপাট দখলদারিত্ব চাঁদাবাজি বৈধ - ক্ষমতাসীনদের জন্য এগুলো অপরাধ - একই অপরাধে অপরাধীদের বেলায় এই ডাবল স্টান্ডার্ড আইনের শাসনের কবর রচনা করার জন্য যথেষ্ট।
ধর্ম ব্যবসায়ী, ভন্ড, প্রতারক, দরবেশ বাবা যা'ই বলেন সব কিছুতেই এই ভন্ড তানভীর একজন পাঁকা খেলোয়াড় ! বেশ ভুসা দেখলেই বুঝা যায় প্রকৃতপক্ষে সে একজন মহা প্রতারক, শ্রেষ্ঠ ভন্ড !!