খেলা
উইজডেনের বর্ষসেরা বুমরাহ ও মান্ধানা
স্পোর্টস ডেস্ক
(২ সপ্তাহ আগে) ২২ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ১:১২ অপরাহ্ন

‘ক্রিকেটের বাইবেল’ খ্যাত উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমানাকের বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন ভারতের জসপ্রিত বুমরাহ। এই স্বীকৃতির আনুষ্ঠানিক নাম ‘উইজডেনস লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’। ২০২৫-এর মেয়েদের ‘লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ পুরস্কার পেয়েছেন বুমরাহর স্বদেশি তারকা স্মৃতি মান্ধানা। আজ উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমানাকের সবশেষ সংস্করণে এটি জানানো হয়। ক্রিকেটের অনেক ইতিহাসের প্রামাণ্য দলিল এই অ্যালমানাকের ১২৬তম সংস্করণ এটি।
উইজডেনের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী স্বীকৃতি ‘ক্রিকেটার্স অব দ্য ইয়ার’-এ দেখা গেছে সারের ক্রিকেটারদের আধিপত্য। সেরা পাঁচজনের মধ্যে তিনজনই সারেকে টানা তৃতীয় কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ জেতানো গাস অ্যাটকিনসন, জেমি স্মিথ ও ড্যান ওরাল। বাকি দু’জন হ্যাম্পশায়ারের লিয়াম ডসন ও ইংল্যান্ড নারী দলের বাঁহাতি স্পিনার সোফি একলেস্টন। এছাড়া ‘লিডিং টি টোয়েন্টি ক্রিকেটার’ স্বীকৃতি পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিকোলাস পুরান। অস্ট্রেলিয়া সফরে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ভারতের বোলিংকে প্রায় একাই সামলেছেন জসপ্রিত বুমরাহ। চলতি বছরের জানুয়ারিতে পিঠের চোটে পড়ার আগে অসাধারণ ফর্মে ছিলেন এই ভারতীয় বোলার। গত বছর টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে ২০-এর কম গড়ে তুলে নেন ২০০ উইকেট। সে বছর ১৩ টেস্টে কেবল ১৪.৯২ গড়ে ৭১ উইকেট নেন এই ডানহাতি পেসার। উইকেটে তার ধারেকাছেও ছিলেন না বিশ্বের আর কেউ। পাশাপাশি ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়েও বড় ভূমিকা রাখেন তিনি। বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে সফরকারীদের নড়বড়ে অবস্থা থাকলেও বল হাতে দ্যুতি ছড়ান বুমরাহ। সিরিজের শেষ টেস্টে চোটের হানার আগ পর্যন্ত স্রেফ ১৩.০৬ গড়ে নেন ৩২ উইকেট। উইজডেন সম্পাদক লরেন্স বুথ বুমরাহর প্রশংসা লিখেছেন, ‘খুব সহজেই বছরের তারকা।’
মূলত, ইংলিশ গ্রীষ্মে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দারুণ পারফর্মেন্স করা ক্রিকেটারদের বিবেচনায় নেয়া হয় পাঁচ বর্ষসেরার বাছাইয়ে। একাধিকবার এই স্বীকৃতি দেয়া হয় না কাউকে। বুমরাহকে নিয়ে বুথ আরও লিখেছেন, ‘সে খুবই ভয়ঙ্কর, চ্যালেঞ্জ হিসেবে অনন্য, তার বিপক্ষে করা রানগুলো দ্বিগুণ করে বিবেচনা করা উচিত.. সর্বকালের সেরা হওয়ার দাবিটা সে উত্থাপন করেছে।’ গত বছর তিন সংস্করণ মিলিয়ে নারীদের ক্রিকেটে ব্যাট হাতে ১৬৫৯ রান করেন ভারতের স্মৃতি মান্ধানা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক পঞ্জিকাবর্ষে কোনো নারী ক্রিকেটারের এটিই সর্বোচ্চ। এর মধ্যে সেঞ্চুরি ছিল চারটি, এটিও রেকর্ড। গত বছরের জুনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে ভারতের ১০ উইকেটের জয়ে ১৪৯ রানের ইনিংস খেলেন মান্ধানা। আর বছরের সেরা পারফর্মেন্সের জন্য ‘উইজডেন ট্রফি’ পেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের মিচেল স্যান্টনার। গত বছর পুনেতে ভারতের বিপক্ষে ১১৩ রানের জয়ে ১৩ উইকেট নেন স্যান্টনার। তিন টেস্টের সেই সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় স্বাগতিকরা। ২০১২-এর পর ঘরের মাঠে সেবার প্রথমবার সিরিজ হারে ভারত।
২০০৩ থেকে ‘লিডিং ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার’ নামে চালু হওয়া এই পুরস্কার ছেলেদের ক্রিকেটে বছরের সেরা ক্রিকেটারের স্বীকৃতি। ২০১৫ থেকে চালু হয় মেয়েদের বর্ষসেরা স্বীকৃতি। বছরের সেরা পাঁচজনকে নির্বাচন করেন উইজডন সম্পাদক। বাংলাদেশের কেবল একজনের নামই আছে এই তালিকায়। ২০১০-এ লর্ডস আর ওল্ড ট্রাফোর্ডে পরপর দাপুটে দুই সেঞ্চুরিতে সেবার এই স্বীকৃতি পান তামিম ইকবাল। যদিও সেবার পাঁচজনের বদলে তালিকায় ছিলেন চারজন।