অনলাইন
সহযোগীদের খবর
অভ্যুত্থানে হত্যার মামলা: বেশির ভাগ আসামিকে চেনেন না বাদী
অনলাইন ডেস্ক
(১১ ঘন্টা আগে) ২৯ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:২৭ অপরাহ্ন

সমকাল
‘বেশির ভাগ আসামিকে চেনেন না বাদী’-এটি দৈনিক সমকালের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রায় ৯ মাস পর করা একটি হত্যা মামলা নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। গুলিতে প্রাণ হারানো মাহফুজ আলম শ্রাবণের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পী মামলাটির বাদী। মামলায় তিনি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ব্যবসায়ী, সাংবাদিক মিলে ৪০৮ জনকে আসামি করেছেন। কিন্তু বেশির ভাগ আসামিকেই তিনি চেনেন না বলে গণমাধ্যমকে জানান।
এই মামলা নিয়ে গতকাল সোমবার কথা বলেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বাহারুল আলম। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেনা 'বাংলাদেশের আইনে কোথাও মামলা করার ক্ষেত্রে বাধা নেই। যে যার মতো মামলা করছে। অনেক হয়রানিমূলক মামলা হচ্ছে।'
হত্যা মামলাতে অভিনেতা ইরেশ যাকেরকে আসামি করার বিষয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, 'এটি খুবই বিরক্তিকর ও উদ্বেগজনক।' এদিকে ভুয়া মামলার বাদীর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বাহারুল আলম বলেন, 'মামলা হলেই গ্রেপ্তার করা যাবে না। তদন্তে যার দায়ভার পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
এ হত্যা মামলায় ২৪ সাংবাদিককে অভিযুক্ত করায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) উদ্বেগ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। শুধু এই মামলাই নয়, জুলাই আন্দোলনের ঘটনায় হওয়া আরও বেশ কিছু মামলার বাদী আসামিদের চেনেন না বলে এর আগেও গণমাধ্যমকে বলেছেন। মামলা দিয়ে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার খবরও বেরিয়েছে সংবাদ মাধ্যমে।
২০ এপ্রিল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুজ্জামানের আদালতে মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পী ৪০৮ জনের নামে মামলার আবেদন করেন। ওই দিন আদালত তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করে অভিযোগটি মিরপুর মডেল থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে নিতে নির্দেশ দেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বাপ্পী সমকালকে বলেন, 'বেশির ভাগ আসামিকে চিনি না। সব আসামিকে চেনা সম্ভবও না।'
মামলায় কার নাম কীভাবে ঢুকেছে, জানি না: বাদী বাদী মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পী গতরাতে সমকালকে বলেন, 'আমি আদালতে উপস্থিত ছিলাম না। তাই কে কীভাবে যুক্ত হলো, তা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালনের সময় কিছু নাম যুক্ত করেছে; আইনজীবীরাও কিছু নাম দিয়েছেন। আমি নিজেও পত্রিকা থেকে তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্টদের নাম দেওয়ার চেষ্টা করেছি। একা কোনো ব্যক্তির পক্ষে এত বড় মামলা করা সম্ভব না। যদি শুধু আমি করতাম, ১০ জন বা সর্বোচ্চ ৫০ জনের নাম দিতাম।'
না চিনলেও কেন এত লোককে আসামি করা হয়েছে- জানতে চাইলে বাপ্পী বলেন, 'রাজনৈতিকভাবে অনেকেই তো চেনা। এ ছাড়া বিভিন্ন মাধ্যম, মিডিয়া থেকে অনেকের বিষয়ে কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছি। এর পরই মামলা করা হয়েছে। মামলায় কতজন আসামি জানতে চাইলে বলেন, '৪০৭ জন আসামি।' যদিও এজাহারে আসামির সংখ্যা ৪০৮।
একজনের হত্যার সঙ্গে এত লোক যুক্ত কিনা-জানতে চাইলে বাপ্পী বলেন, 'খুনি তো মূলত দেশপ্রধান। তারপর তাঁকে যারা সহায়তা করেছে। মামলা দুর্বল হলে হোক। বাকি কাজ কোর্ট আর থানা পুলিশের।' আসামিদের মধ্যে আপনি কতজনকে চেনেন-জানতে চাইলে বাদী বলেন, 'মোটামুটি যারা পপুলার তাদের তো চিনি। আমিও রাজনৈতিকভাবে একটু ওঠাবসা করি।'
অনেক হয়রানিমূলক মামলা হচ্ছে
গতকাল ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, যে যাঁর মতো মামলা করছেন। অনেক বিদ্বেষমূলক মামলা হচ্ছে। মামলা করে ফেলার পর পুলিশ-আদালত প্রশাসনের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রতিকার দেওয়ার চেষ্টা করছি। যখন এত বেশি লোককে আসামি করা হয়, এত মামলা করা হয়, তা আমাদের জন্যও কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, মামলা হওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, অভিযোগের কোনো বস্তুনিষ্ঠতা পাওয়া না গেলে কাউকে যেন গ্রেপ্তার করা না হয়। আবার আদালতের পক্ষ থেকেও যেখানে বস্তুনিষ্ঠতা নেই, সেখানে যতভাবে আইনি প্রতিকার দেওয়া সম্ভব, সেটি দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রথম আলো
দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর ‘সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন করার দাবি আবার আলোচনায়’। প্রতিবেদন বলা হয়, কোনটি আগে—জাতীয় নির্বাচন নাকি স্থানীয় সরকার নির্বাচন, এই প্রশ্ন আবার সামনে এসেছে। বছরের শুরুতেও বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তখন বিএনপির প্রবল বিরোধিতার মুখে বিষয়টি একরকম আলোচনার বাইরে চলে যায়। তবে সম্প্রতি কয়েকটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার দাবি আবার তোলা হয়েছে। নতুন করে এই দাবি সামনে আনার কারণ কী, এর পেছনে কোনো কৌশল আছে কি না, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও গণ অধিকার পরিষদ—এই তিন দল গত সপ্তাহে স্পষ্ট করে বলেছে, তারা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায়। অন্যদিকে বিএনপি বরাবরই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আগে জাতীয় নির্বাচনের দাবি করে আসছে। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার দাবি এখন নতুন করে আলোচনায় এলেও বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি বিএনপি। দলটি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে জোরালো অবস্থান নিয়েছে। এ দাবিতে সব দলকে এক জায়গায় এনে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ তৈরি করতে বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বিএনপি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে অভিন্ন অবস্থান নিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও গণ অধিকার পরিষদ। ২৩ এপ্রিল দুই দলের মধ্যে বৈঠক হয়। এই বৈঠক শেষে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম ও গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক পৃথক বক্তব্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে দুই দলের মধ্যে মতৈক্য হয়েছে বলে জানান।
যুগান্তর
‘মানবিক করিডরে বিতর্ক’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ত্রাণ পৌঁছাতে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। মিয়ানমারের রাজ্যটিতে আরাকান আর্মির উত্থানে সীমান্তে জটিল পরিস্থিতির মধ্যে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে সর্বত্র চলছে নানা বিতর্ক। জাতিসংঘের অনুরোধে এ ধরনের করিডর দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হলেও বাংলাদেশের জন্যে ঝুঁকির আশঙ্কাও আছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, মানবিক করিডর দিতে নীতিগত সম্মত হলেও কিছু শর্ত রয়েছে। তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না বললেও আশঙ্কা করা হচ্ছে-এমন করিডরের মাধ্যমে মূলত মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি লাভবান হবে। ফলে মিয়ানমারের সরকার এর প্রতিবাদ জানাতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র স্বস্তিবোধ করলেও চীনের প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা স্পষ্ট নয়। ফলে ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় নিতে বলছেন অনেকে। আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের অধিকাংশ অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। বিশেষ করে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের পুরো সীমান্তে রাখাইন অংশে দেশটির সামরিক জান্তার সেনাবাহিনী তাতমান্ডু পরাস্ত হয়েছে। বাংলাদেশের সীমান্তের ওপারে এখন আরাকান আর্মির শক্ত অবস্থান। তবে সশস্ত্র গ্রুপটির অবস্থান শক্তিশালী হলেও তাদের খাদ্যসহ রসদসামগ্রীর সংকট দেখা দিয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আরাকান আর্মিকে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ত্রাণ দিতে চায় জাতিসংঘ।
বিশ্ব সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরকালে রাখাইন রাজ্যে খাদ্য সংকটে ত্রাণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। জাতিসংঘের প্রস্তাবিত এই মানবিক করিডরের ব্যাপারে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানানোর পরই শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে অন্তর্বর্তী সরকার এ কথা স্বীকার করেছে যে, আরাকান আর্মির সঙ্গে ‘অনানুষ্ঠানিক’ যোগাযোগ করা হচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘আমরা আরেকটা গাজায় পরিণত হতে চাই না। আরাকানদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য হিম্যানেটারিয়ান প্যাসেজ নিয়ে ইউনূস সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসে সরকারের সে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল।’
কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘খাদ্যপণ্যে ক্রেতার হাঁসফাঁস’। খবরে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও এখন আর তা নেই। ঈদের পর থেকে ভোগ্যপণ্যের বাজারে আবার অস্থিরতা শুরু হয়েছে। গত দুই মাসের ব্যবধানে চিকন চাল (মিনিকেট), মোটা চাল, সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, ফার্মের মুরগির ডিম—এই পাঁচটি পণ্যের দাম সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে। আয়ের সঙ্গে সংগতি না থাকায় খাদ্যপণ্যের চড়া দামে চাপে পড়েছেন ভোক্তারা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের সক্রিয়তা ধারাবাহিক নয়। ভোক্তারা এতে পণ্যের বাজারে প্রত্যাশিত সুবিধা পাচ্ছেন না। তাঁরা বলছেন, তদারকি না থাকায় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে বাজারে অস্থিরতা তৈরি করছেন। এখনই লাগাম টেনে ধরতে না পারলে বাজারে অস্থিরতা বাড়বে।
সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবি এবং রাজধানীর খুচরা বাজারের ২৮ এপ্রিল ও গত ২৮ ফেব্রুয়ারির বাজারদর পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত দুই মাসের ব্যবধানে খুচরায় প্রতি কেজি চিকন চাল (মিনিকেট) ১২ থেকে ১৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে মানভেদে কেজি ৮৫ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চালের বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন মোটা চাল ব্রি-২৮ বা পাইজাম এই সময়ের ব্যবধানে ৭ শতাংশ দাম বেড়ে মানভেদে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ইত্তেফাক
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর ‘সাড়ে ৩ হাজার সাইট বন্ধ: তবু চলছে অনলাইন জুয়া, নিঃস্ব হচ্ছেন তরুণ-তরুণীরা’। খবরে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢুকলেই দেখা যাবে দেশের কোনো তারকা বলছেন, ‘ঘরে বসে পুঁজি ছাড়াই আয় করতে চান? তাহলে এই অ্যাপে গেম খেলুন আর জিতে নেন লাখ লাখ টাকা।’ এমনই একটি অ্যাপ সিকে৪৪৪। এই অ্যাপের ব্যাপকভাবে প্রচারণা করছেন তরুণেরা। যেখানে লোভনীয় অফার ও অ্যাপে খেলার নিয়ম প্রচার করছে। আদতে এটি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এর প্রচারণা চলছে এবং অনলাইনে জুয়া খেলতে আগ্রহ বাড়াচ্ছে। এই অ্যাপে এন্ট্রি নেওয়া এক জন জানালেন, অনলাইন জুয়া খেলে তিন দিনে আয় করেছেন ২৯ হাজার টাকা। তবে ছয় মাসে হারিয়েছেন ২ লাখ টাকা। এরকমভাবে অর্থ হারানোর প্রবণতাই বেশি। অনেকে নিঃস্ব হয়ে গেছেন অনলাইন জুয়ার আসরে।
বিজ্ঞাপন প্রচারসহ অনলাইনে জুয়া/বেটিংয়ের ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশন চিহ্নিত করা, এগুলোর কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হয়, তা নির্ণয় এবং এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তদন্ত করে ৯০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার রুলসহ এ আদেশ দেয়। তানজিম রাফিদ নামে রাজধানীর এক বাসিন্দা ১৬ এপ্রিল রিটটি করেন।
আদালতের এই নির্দেশের পর গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন সাইবার সুরক্ষা আইনটি পাশ হবে বলে আশা করি। এই আইনে সাইবার স্পেসে জুয়া কিংবা অনলাইন জুয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইন পাশ হওয়ার পর আমরা জুয়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত কোম্পানিকে শাস্তি দেওয়া এবং বেটিং সাইটগুলো নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেব ইনশা আল্লাহ।’
তিনি লেখেন, ‘আমরা মোবাইল ব্যাংকিংসহ ফাইন্যান্সিয়াল অর্গানাইজেশনগুলোকে আগাম সতর্কতা জানিয়ে রাখি। কেননা সাইবার জুয়া কোম্পানিগুলো মোবাইল ব্যাংকিংসহ ব্যাংক, ফাইন্যান্সিয়াল হাউজ কিংবা পেমেন্ট গেটওয়ে, এমএফএস/পিএসও/পিএসপি ইত্যাদির সঙ্গে ইন্টিগ্রেটেড। মাসের পর মাস নির্দিষ্ট কিছু পুলের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টে ইরেগুলার, একমুখী এবং অস্বাভাবিক ট্রাঞ্জেকশন হচ্ছে। একটা পুল অফ নম্বরে টাকা যাচ্ছে, সেটা নির্দিষ্ট নম্বরে গিয়ে ক্যাশ আউট হয়ে বাইরে পাচার হচ্ছে, আপনি দেখেও না দেখার ভান করে বলবেন, আমি জড়িত নই! এটা হবে না। সুতরাং অবৈধ জুয়ায় জড়িত সবাই সাবধান।’
বণিক বার্তা
‘গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন: ঢাকা ইপিজেডে বেশির ভাগ শিল্পের উৎপাদন ব্যাহত’- এটি দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, গ্যাস সরবরাহ বাবদ বিপুল পরিমাণ বিল বকেয়া-সংক্রান্ত জটিলতাকে কেন্দ্র করে সাভারে অবস্থিত ঢাকা ইপিজেডে (ডিইপিজেড) গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বিতরণ কোম্পানি তিতাসের কাছ থেকে গ্যাস নিয়ে সেখানকার কারখানাগুলোয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ইউনাইটেড গ্রুপের বিদ্যুৎ কেন্দ্র। গতকাল দুপুরের পর ঢাকা ইপিজেডে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় সেখানকার রফতানিমুখী বেশির ভাগ শিল্প-কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। রাত ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখানে বেশির ভাগ কারখানাই ঠিকমতো উৎপাদনে যেতে পারেনি।
ঢাকা ইপিজেড-সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সূত্র বণিক বার্তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ শিল্প-কারখানাগুলো পুরোদমে উৎপাদনে যেতে পারবে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ঢাকা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক (ইডি) শরিফুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘তিতাস গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় ইপিজেডে ইউনাইটেড পাওয়ারের বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। ফলে গতকাল দুপুরের পর থেকে অনেক কারখানা কোনো উৎপাদনে যেতে পারেনি। রাতে অনেক কারখানায় নাইট শিফট ছিল। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় এসব কারখানা তাদের কর্মীদের ছুটি দিয়েছে।’
ইপিজেডে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কারখানা কর্তৃপক্ষ বিদ্যুতের জন্য কোনো চাপ দিচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকায় আমরা চাপে আছি। এটা রফতানিমুখী ইপিজেড, অর্থনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সরকারের সর্বোচ্চ মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। তবে গ্যাস সংযোগ পুনরায় দেয়া হবে এমন কোনো আশ্বাস আমরা এখনো পাইনি। বিষয়টি যদি রাতের মধ্যে সমাধান না হয়, তাহলে এখানকার বিদেশী কোম্পানিগুলো ক্ষতির মুখে পড়বে। কর্মীদের নিয়েও অস্বস্তি তৈরি হবে।’
আজকের পত্রিকা
‘বড় দলকে মোকাবিলার উপায় খুঁজছে এনসিপি’-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজনীতির মাঠে শুরু হয়েছে নতুন মেরুকরণ। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অনুপস্থিতিতে রাজনীতির মাঠ দখলে নিয়েছেন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা। এমন পরিস্থিতিতে রাজনীতির মাঠে বড় দলগুলোকে টেক্কা দেওয়ার উপায় খুঁজছে জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের প্রায় সাত মাস পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করে তরুণদের নতুন দল এনসিপি। ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’ আনার ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় আসা দলটি আত্মপ্রকাশের দুই মাস পেরিয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ গঠনতন্ত্র প্রস্তুত করতে পারেনি। এ ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে কমিটি গঠনে ব্যর্থতা, জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্থবিরতা, কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সমন্বয়কদের কারও কারও বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ ওঠায় রাজনীতির মাঠে অনেকটাই কোণঠাসা এনসিপি।
‘দ্রুত’ নির্বাচনের দাবি নিয়ে মাঠে সরব বিএনপি। জামায়াতে ইসলামীও গত আট মাসে ভোটের মাঠ অনেকটাই গুছিয়ে ফেলেছে। অন্যদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সংবিধান প্রণয়নের জন্য একটি গণপরিষদ নির্বাচন; আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, গণহত্যার বিচার এবং নির্বাচনের আগে পরিপূর্ণ সংস্কারের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে এনসিপি। এমন বিপরীত অবস্থান রাজনীতির মাঠে বিএনপি ও এনসিপিকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশ প্রতিদিন
দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম ‘চাল নিয়ে প্রতারণা’। খবরে বলা হয়, দেশের বাজারে নাজিরশাইল নামের কোনো ধান নেই। তারপরও হরেক নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে নাজিরশাইল চাল। একেক দোকানে একেক নামের ও নানা দামের নাজিরশাইলে প্রতারিত হচ্ছেন ভোক্তারা। সর্বনিম্ন ৬২ টাকা থেকে ৯৭ টাকায় বিভিন্ন বাজার ও সুপার শপে বিক্রি হচ্ছে নাজিরশাইল চাল।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উৎপাদন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপে চাল কেটে ও পলিশ করে বিভিন্ন নাম দেওয়া হয়। কখনো অর্ধসেদ্ধ আবার কখনো পূর্ণসেদ্ধ করে বাজারে বিক্রি করা হয়। স্থান-কাল-পাত্রভেদে একই চাল ভিন্ন নামে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী বস্তাবন্দি হচ্ছে আড়তগুলোয়। আর ক্রেতাদের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা। টঙ্গী বাজারের চালের আড়তে দেখা যায়, বিভিন্ন নামের নাজিরশাইল চাল বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। মা রাইস স্টোরের প্রোপাইটর মো. কালাম জানান, পালকি নাজিরশাইল ৭৬ টাকা, মান্নান নাজিরশাইল ৮২ টাকা, শাহরিয়ার নাজিরশাইল ৯৪ টাকা, কাটারি নাজিরশাইল ৯৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মিতু রাইস এজেন্সির বিক্রেতা রাজ্জাক জানান, রয়েল ক্রাউন নাজিরশাইল ভালোটা ৮৬ টাকা, পরের মানের ৮২ টাকা, পালকি নাজিরশাইল ৬৮, মজুমদার নাজিরশাইল ৮২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মাহি রাইস এজেন্সি মালিক আবদুর রহিম জানান, সেভেন স্টার নাজিরশাইল ৭৬ টাকা, জারা নাজিরশাইল ৭৬ টাকা, রয়েল ক্রাউন নাজিরশাইল ৮২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ানবাজারের জনতা রাইস এজেন্সির প্রোপাইটর হাজী মো. আবু ওসমান জানান, ৭২ থেকে ৮৮ টাকার বিভিন্ন নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে। পালকি নাজিরশাইল ৮৮ টাকা, ছালা পালকি ৭২ টাকা, উৎসব নাজিরশাইল ৬৮ টাকা, হাসকি নাজিরশাইল ৬২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সুপার শপ মিনা বাজারে দেখা যায়, নাজির সুপার প্রিমিয়াম ৮৫ টাকা, নাজির প্রিমিয়াম ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সুপার শপ স্বপ্নতে দেখা যায়, কাটারি নাজিরশাইল ৯৫ টাকা, নাজিরশাইল সম্পা কাটারি ৮২ টাকা, নাজিরশাইল পাইজাম ৬৩ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
ডেইলি স্টার
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম ‘Aid allocation to be trimmed in next budget’ অর্থাৎ ‘পরবর্তী বাজেটে বৈদেশিক সহায়তা বরাদ্দ কমানো হচ্ছে’।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক সহায়তার ব্যবহার লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ কোটি টাকা হলেও তা ১৫ শতাংশ কমিয়ে আগামী বাজেটে ৮৫ হাজার কোটি টাকায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বাংলাদেশের প্রকল্প বাস্তবায়নের ধীরগতির কারণে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার অর্থ অকার্যকরভাবে পড়ে থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গত ১৫ই এপ্রিল ফিসক্যাল কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের এক বৈঠকে আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)-তে মোট খসড়া ব্যয় নির্ধারণ করা হয় দুই লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে ৮৫ হাজার কোটি টাকা আসবে বৈদেশিক উৎস থেকে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রকল্প বাস্তবায়নে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সক্ষমতা বিবেচনা করেই এটি কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত
অভ্যুত্থান চলাকালীন যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মীয় স্বজনদেরকেতো আর সাথে নিয়ে যাননি।মামলাগুলোর বাদী হয়েছেন বিভিন্ন মিডিয়া ও প্রত্যক্ষদর্শীদের শাক্ষীতে।এসব মামলার বাদী আসামিকে চিনতে হবে।এর মানে বুঝা অনেক সহজ।এসব রাঘববোয়াল আসামিদেরকে বাচাঁনোর পায়তারা।