অনলাইন
‘শি জিনপিং ফোন করেছিলেন’, ট্রাম্পের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করলো চীন
মানবজমিন ডিজিটাল
(৮ ঘন্টা আগে) ২৯ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:১৪ অপরাহ্ন

প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ফোনে কোনো কথা হয়নি। এমনটাই জানিয়েছে বেইজিং। এমনকি দুই দেশের মধ্যে শুল্কযুদ্ধ মেটাতে কোনো আলোচনাও হচ্ছে না। সিএনএন-এর প্রতিবেদন মোতাবেক চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প টাইম ম্যাগাজিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আমাকে ফোন করেছেন। আমি মনে করি না যে, তার পক্ষ থেকে এটা কোনো দুর্বলতার ইঙ্গিত। তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে চীনের সঙ্গে শুল্ক চুক্তি সম্পন্ন হবে।’
শুক্রবার তার এ সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়। শুল্ক নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চলা উত্তেজনার মধ্যে ডনাল্ড ট্রাম্প এ কথা জানালেও কবে-কখন শি জিনপিং তাকে ফোন করেছিলেন সে বিষয়টি জানাননি। ট্রাম্পের ওই বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তখন তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্যও করেনি। এর দু’দিন পর গুও জিয়াকুন এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমি যতদূর জানি, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে সম্প্রতি ফোনে কোনো কথা হয়নি। আমি আবারও বলতে চাই, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুল্ক ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা বা দর কষাকষি চলছে না।’
কয়েকদিন ধরে চীনের ওপর শুল্ক নিয়ে সুর নরম করে আসছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, বেইজিংয়ের ওপর শুল্ক ক্রমেই উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে। তবে একেবারে শূন্য হবে না। পাশাপাশি টাইম ম্যাগাজিনের সাক্ষাৎকারে তিনি শি জিনপিংকে 'বন্ধু' বলেও উল্লেখ করেন। হোয়াইট হাউসের সাউথ লন থেকে বেরিয়ে আসার সময় সিএনএন-এর আলায়না ট্রিনের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি বিস্তারিত মন্তব্য করতে চাই না, তবে আমি তার (জিনপিং) সঙ্গে অনেকবার কথা বলেছি।’
যদিও চীন বাণিজ্য যুদ্ধের বিষয়ে তার কঠোর অবস্থান বজায় রেখেছে। পাবলিক রেকর্ড অনুসারে, দুই নেতার মধ্যে শেষবার ফোনে কথা হয়েছিল ১৭ জানুয়ারি, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শপথ গ্রহণের কয়েকদিন আগে। গত সপ্তাহ থেকে ট্রাম্প বারবার বলেছেন যে, তার প্রশাসন চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি করার জন্য কথা বলছে, কিন্তু প্রতিবারই বেইজিং থেকে সরাসরি সেকথা অস্বীকার করা হয়েছে। শুক্রবার টাইম-এর সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রকে দুই পক্ষের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনার বিষয়ে ‘জনসাধারণকে বিভ্রান্ত’ না করার আহ্বান জানিয়েছে।
বাণিজ্য যুদ্ধ প্রশমিত করার জন্য ট্রাম্পের ইচ্ছাকে বেইজিং প্রত্যাখ্যান করেছে। হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে ট্রাম্প চীনা পণ্যের উপর ১৪৫% শুল্ক আরোপ করেছেন, যদিও তিনি স্মার্টফোন এবং কম্পিউটারের মতো ইলেকট্রনিক্স পণ্য আমদানিকে তার তথাকথিত ‘পারস্পরিক’ শুল্ক থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। চীন মার্কিন আমদানির উপর শুল্ক ১২৫% পর্যন্ত বাড়িয়েছে, তবে আমদানি সংস্থাগুলোর মতে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি কিছু সেমিকন্ডাক্টরের উপর থেকে শুল্ক নীরবে প্রত্যাহার করেছে। কারণ বেইজিং তার গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি শিল্পের উপর বাণিজ্য যুদ্ধের আঘাত কমানোর চেষ্টা করছে।
সূত্র : সিএনএন
পাঠকের মতামত
ট্রাম্প আর শেখ হাসিনার মধ্যে কি অদ্ভুত মিল !
মিথ্যা বলা তার স্বভাব।