প্রথম পাতা
রাতে জামায়াতের মিছিল-অবস্থান
স্টাফ রিপোর্টার
১১ মে ২০২৫, রবিবার
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে টানা দুইদিন ধরে চলা অবস্থান কর্মসূচিতে জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের বড় অংশগ্রহণ ছিল। সর্বশেষ এই ইস্যুতে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক চলার সময়ে বাংলামোটর থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় পর্যন্ত বড় শোডাউন করেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চলা কর্মসূচিতে যোগ দিতে শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে যান। তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিভিন্ন সেøাগান দিতে থাকেন। মিছিলে অংশ নেন জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মু. রেজাউল করিম, সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিমুদ্দিন মোল্লা, ফখরুদ্দিন মানিক, ইয়াসিন আরাফাত, প্রচার সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর ড. হেলাল উদ্দিন, সেক্রেটারি ড. মু. শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ। প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আসার পর উপস্থিত জামায়াত নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। এরপর তারা মিছিল নিয়ে দলের মগবাজারের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দিকে চলে যান।
আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার রাতে প্রথমে যমুনার সামনে অবস্থান নেন এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ’র নেতৃত্বে দলটির নেতাকর্মীরা। পরে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন শিবিরের নেতাকর্মীরাও এতে যোগ দেন। যমুনা থেকে প্রতিবাদী অবস্থান শাহবাগে যাওয়ার পর সেখানে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, হেফাজতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।
ওদিকে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম এক বিবৃতিতে বলেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রাণের দাবি গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। এ দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলন সফল হয়েই ঘরে ফিরবে। কোনো কূটকৌশল এ দাবি আদায় থেকে বিরত রাখতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
পাঠকের মতামত
বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েই জামাত আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দিয়েছিল। বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েই জামা ৮৬ তে আওয়ামী লীগের সাথে মিলে এরশাদের অধীনে নির্বাচন করেছিল। বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েই জামাত ৯৬ সালে আওয়ামী লীগের সাথে জোট বেঁধে বিএনপিকে হারিয়েছিল। (Copied)
জামায়াত নিজের পায়ে কুড়াল ডেকে আনেনি তো?
বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েই জামাত আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দিয়েছিল। বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েই জামা ৮৬ তে আওয়ামী লীগের সাথে মিলে এরশাদের অধীনে নির্বাচন করেছিল। বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েই জামাত ৯৬ সালে আওয়ামী লীগের সাথে জোট বেঁধে বিএনপিকে হারিয়েছিল।
ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগ ও তাদের সন্ত্রাসী নর পিশাচ নেতা কর্মীদের ও আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ করায় সরকারকে ধন্যবাদ। এবং আলহামদুলিল্লাহ বলতে খুব ভালো লাগে। আরো ভাল লাগত যদি ফ্যাসিবাদী মিডিয়াগুলো নিষিদ্ধ হত।
আওয়ামীলীগ এখন পযন্ত ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশকে ভারতের হাতে তুলে দিত হাসিনা সরকার। আল্লাহর মেহেরবানীতে ছাত্র জনতার গনআন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় আওয়ামীলীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হাসিনাসহ মন্ত্রী, এমপি, নেতা কর্মী সবাই। দেশের ৪ লাখ কোটি টাকা বাহিরে পাচার করে দেশকে দেউলিয়া বানাই ফেলেছিল। আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করা তত্বাবধায়ক সরকারের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। নছেত গুম, খুন হওয়া লোকদের আত্বা শান্তি পাবে না।
আলহামদুলিল্লাহ! এদেশের প্রতিটিই ক্রান্তিলগ্নে জামায়াত ও শিবিরের বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ জাতিকে আশা জাগিয়েছে,এবারও তার ব্যাতিক্রম ঘটেনি।