প্রথম পাতা
তৃতীয় দিনে গড়ালো আলোচনা
২ ইস্যুতে অনড় বিএনপি
স্টাফ রিপোর্টার
২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার
একই ব্যক্তি সরকার প্রধান, দলের প্রধান ও সংসদ নেতা হতে পারবেন না। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই প্রস্তাবে সায় দেয়নি বিএনপি। দুই বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না ঐকমত্য কমিশনের এই প্রস্তাবেও সমর্থন দেয়নি দলটি। এই দুই ইস্যুতে দলের অনড় অবস্থানের বিষয় তুলে ধরেছে বিএনপি। গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা করে বিএনপি’র প্রতিনিধিদল। দিনভর আলোচনা শেষে জানানো হয় মঙ্গলবার ফের বৈঠকে বসবে দুই পক্ষ।
রোববার জাতীয় সংসদের এলডি হলে বেলা ১১টায় শুরু হওয়া কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের বৈঠক শেষ হয় বিকাল ৫টায়।
বৈঠক শেষে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, টানা দু’বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, এ বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে বিএনপি। তবে এক বছর গ্যাপ হলে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হতে সমস্যা নাই।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, একই ব্যক্তি সরকার প্রধান ও দলীয় প্রধান হতে পারবে না, এমন চর্চা আমরা দেখি না। যুক্তরাজ্যেও আমরা দেখি, পার্টি প্রধানই সরকার প্রধান। এটি গণতান্ত্রিক চর্চা। যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রচলন হয় এবং নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রচলন করা যায়। তাহলে সেই ভোটে যারা ক্ষমতায় আসবে, মনে করতে হবে জনগণ তাদেরকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যমান ক্ষমতা বহাল রেখে রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতায়ন করার সুপারিশে একমত বিএনপি। দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়ার বিষয় বাধ্যতামূলক না রেখে উন্মুক্ত রাখতে চায় দলটি। সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের সদস্য সংখ্যা নিয়ে একমত বিএনপি। কিন্তু কোন প্রক্রিয়ায় তারা নির্বাচিত হবেন, তা নিয়ে আলোচনা চলমান আছে। এ ছাড়া নতুন আইন প্রণয়ন করে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স করার পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি। এনসিসি বা জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের বিষয়েও একমত নয় বিএনপি। এটা হলে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে রাষ্ট্র পরিচালনা দায় হয়ে যাবে।
বিএনপি সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার প্রস্তাব করেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সেখানে ধর্মনিরপেক্ষ বা বহুত্ববাদ কোনোটাই নেই। তবে, কমিশন তাদের প্রস্তাবে- স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে থাকা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের কথা যুক্ত করতে বলেছেন। আমরা সেখানে একমত হয়েছি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংবিধান জনগণের মৌলিক অধিকার হিসেবে ইন্টারনেট প্রাপ্তির বিষয়ে একমত বিএনপি। তবে, মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হয় রাষ্ট্রকে। মৌলিক অধিকার বাড়ানোর ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবস্থার বিষয়টিও দেখতে হবে। তাই আমরা বলেছি, সংবিধানের অনেকগুলো বিষয় যুক্ত না করে, যা রাষ্ট্র বাস্তবায়নের সক্ষমতা রয়েছে তাই করতে।
সংসদ সদস্যদের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করতে বিএনপি কিছু সুপারিশ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, অর্থবিল, আস্থা বিল, জাতীয় নিরাপত্তা ও সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়া এমপিরা যেন স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারেন, আমরা তা বলেছি। নারীদের জন্য সংসদে সংরক্ষিত আসন ৫০ থেকে বাড়িয়ে ১০০ করার প্রস্তাবেও মত দিয়েছে বিএনপি। বিষয়টি নিয়ে আগামী সংসদে বিস্তারিত আলোচনা করে বাস্তবায়নের পথ খোঁজা হবে। এমপি প্রার্থীর বয়স ২১ নিয়ে এখনো ঐকমত্য হয়নি।
স্থানীয় সরকারকে এক্সটেন্ড করার ক্ষেত্রে নীতিগতভাবে একমত উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, এখানে যেসমস্ত প্রস্তাব এসেছে, স্থানীয় সরকারকে স্বায়ত্তশাসন ও শক্তিশালী আর্থিক স্বাধীনতা ইত্যাদি নিশ্চিত করার বিষয়ে যেটা সংবিধানে উল্লেখ করার জন্য তাদের প্রস্তাব। আমরা বলেছি এগুলো আইনের মাধ্যমে করা সমীচীন হবে। তবে আমরা নীতিগতভাবে একমত। কারণ সব বিষয়ে যদি আমরা কন্সটিটিউশনে ইনক্লুড করে ভলিউম বাড়াই। এবং পরবর্তীতে এটা ট্রায়াল অ্যান্ড অ্যারোর প্রসেসের মধ্যদিয়ে কোনো কিছু সংশোধনীর প্রয়োজন হয়। তখন একটা কঠিন অবস্থার সৃষ্টি হবে সংবিধান সংশোধনীর ক্ষেত্রে। যেটা আইন করে করলে সেটা আমরা মনে করি যে, সেই জটিলতাগুলো নিরসন করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সরকার বিষয়ে যে লোকাল গভর্মেন্ট ইনস্টিটিউিট গঠন এবং সেটার ক্ষেত্রে আমরা যে প্রস্তাব পেয়েছিলাম। সেটার ক্ষেত্রে আমরা বলেছি নীতিগতভাবে আমরা একমত। তবে সেই বিষয়টাও আইনের মাধ্যমে করা উচিত, কন্সটিউশনের না। আর স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কী কী স্তর। যেমন ইউনিয়ন, পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন এগুলোর ক্ষেত্রে কার্যকর একটি কমিশন মানে এলজিআই, লোকাল গভর্মেন্ট ইনস্টিটিউট এগুলোর ক্ষেত্রে যেসব সুপারিশ করা হয়েছে- আমরা মনে করি এটা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত না করে, সেই বিষয়গুলোও আইনের মাধ্যমে করা উচিত। এবং সে বিষয়ে আইন করা যেতে পারে, এটা নেক্সট পার্লামেন্টের বিষয়। জেলা কাউন্সিল সম্পর্কে ওনাদের যে মতামত সেটার মধ্যেও আমরা নীতিগতভাবে একমত হয়েছি।
নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার কমিশনে একটি বিষয় এসেছে জানিয়ে বিএনপি’র এই নেতা বলেন, এটা সবারই জানা আছে আমাদের দলগত অবস্থান ন্যাশনাল কনসাসও সৃষ্টি হয়েছিল এ বিষয়ে। দলের যেটা প্রতীক সেটা যেন স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে পার্টির সিম্বল (দলীয় প্রতীক) যেন ইউজ করা না হয়। এ বিষয়ে আমরা বলেছি হ্যাঁ, এটা যদি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত প্রায় সকল বিষয়ে আমাদের আলোচনা শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র বিচার বিভাগ সংক্রান্ত যে প্রবিশনগুলো আছে, আরও একটু সময় লাগবে, নেক্সট ডে তে শেষ করতে পারবো।
তিনি বলেন, ৭০ অনুচ্ছেদের ব্যাপারে আমরা আমাদের মতামত দিয়েছি। ওনারা (কমিশন) ওনাদের মতামত দিয়েছেন। ওনারা বলেছেন দুইটা বিষয় প্রায় মেজর সব স্টেকহোল্ডাররা একমত হচ্ছেন। যেটা অর্থবিল এবং আস্থা ভোট। এই দুইটা বিষয় বাদে বাকিগুলোর ক্ষেত্রে তারা একমত। আমরা চারটা বিষয় প্রস্তাব করেছি অর্থবিল, আস্থা ভোট, সংবিধান সংশোধনী এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা। এই চারটি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বাদে বাকি সব বিষয়ে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে ভোট এবং মতামত দিতে পারবেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার কমিশনের বিভিন্ন খণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার আমরা প্রস্তাবনা, প্রজাতন্ত্র, রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতি, মৌলিক অধিকার এবং আইনসভা পর্যন্ত আলোচনা করেছি। আজ নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রজাতন্ত্র এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ওনারা যে নাগরিকতন্ত্র ও জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ লেখার কথা বলেছে। সে বিষয়ে আমরা আগেও বলেছি রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনের এখানে কোনো যৌক্তিক কারণ নাই। দীর্ঘ ৫৪ বছরের প্রাক্টিসের মাধ্যমে জনগণ এটা গ্রহণ করেছে। এটা একটা ইটালিক অরিজিন শব্দ রেস পাবলিকা থেকে এসেছে। রেস মানে জিনিস পাবলিকা মানে জনগণ। সেটা হচ্ছে জনগণেরই তন্ত্র। এটা কোনো রাজতন্ত্রের বিপক্ষে উচ্চারিত শব্দ না। এটা হচ্ছে জনগণ কর্তৃক জনগণের শাসনের তন্ত্র জনপ্রজাতন্ত্র এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে রাজা এবং প্রজার কোনো সম্পর্ক নেই। আসলে জনগণ হচ্ছে সোভরেইন। সোভরেইন অথরিটি হিসেবে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই সোভরেইন পার্লামেন্টে আসে এবং সোভরেইন হাউজে সার্বভৌম হাউজে জনগণের সার্বভৌমত্ব প্রকাশ করে এবং সেখানে আইন প্রণীত হয়। আইনই হচ্ছে এখানে প্রধান। আমরা রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতিতে একইভাবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার এই কথাগুলো ওখানে ধারণ করার ক্ষেত্রে আমরা একমত হয়েছি।
দ্বিতীয় দিনে বৈঠক শুরু পূর্বে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রসংস্কারের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগকে বিএনপি সিরিয়াসলি সহযোগিতা করছে। আমরা সব বিষয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে, আন্তরিকতার সঙ্গে এবং সিরিয়াসলি সংস্কার কার্যক্রমের সঙ্গে সহযোগিতায় আছি।
তিনি বলেন, আজকের বৈঠক নির্বাচন, জনপ্রশাসন ও দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনসহ সব বিষয়ে আলোচনা হবে। আজকে পাঁচ কমিশনের প্রতিবেদনের ওপর আলোচনা সমাপ্ত করা যাবে। এখন আমরা সংবিধানের যে পর্যায় থেকে আলোচনা শেষ করেছিলাম, ওই পর্যায় থেকে আলোচনা শুরু করবো। এরপর বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থাসহ বাকি দুটো কমিশনের ওপর আলোচনা শেষ করে আশা করছি বিকালের মধ্যে শেষ করতে পারবো।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। সঞ্চালনায় ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার ও ড. ইফতেখারুজ্জামান।
বিএনপি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। দলের অন্য চার সদস্য হলেন-স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও আবু মো. মনিরুজ্জামান খান।
পাঠকের মতামত
রাজনীতিবিদদের সেবক হতে হয়। শাসক নয়। সুষ্ঠু গনতন্ত্র চর্চার স্বার্থে দুটু বিষয় অবশ্যই রাখতে হবে। দেশের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো গণভোটের মাধ্যমে সংযোজন করতে হবে। আমাদের রাজনীতিবিদরা নিজ ও দলের স্বার্থকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এখন সময় এসেছে জন আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। ঐক্য মতের কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনায় যেই বিষয়গুলোতে দ্বিমত আছে সেইগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করা। গণভোটের মাধ্যমে বিষয়গুলো সংযোজন করা। গত ৫৩ বছরে জনগণ লুট বিদেশে টাকা পাচার দখলবাজি চাঁদাবাজি অদক্ষদের রাজনীতিতে দেখে আসছে। দুই হাজার ছাত্র জনতার আত্মত্যাগ চল্লিশ হাজার পঙ্গুত্ব বরণ মাধ্যমে এই জাতি আর পূর্বাবস্তায় ফিরে যেতে চায় না।
প্রধান উপদেষ্টা মহোদায়কে বিনীত অনুরোধ জানাই এই ধরনের মিটিংগুলো যেন লাইভ সম্প্রচার করা হয়। কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলো কোন বিষয়ে কি মত দিচ্ছেন তা সাধারণ জনগণের প্রত্যক্ষ করার অধিকার আছে। বিএনপি হাই কমান্ড এতদিন বলে আসছিল এবং তাদের ৩২/৩৩ দফা মতেও এক ব্যক্তি দুইবারের বেশী প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। এখন তারা মনে হচ্ছে বোল পাল্টাচ্ছে। এমনিতেই আমাদের দেশের রাজনীতিকদের সামনে এক কথা পিছনে আরেক এবং অভ্যাস আছে। তাই বিনীত অনুরোধ এই বৈঠকগুলো লাইভ সম্প্রচার করার ব্যবস্থা করা হোক।
The speaker of the parliament should be the leader of the parliament.
বিএনপিও আওয়ামী লীগের সেই পথ ধরেছে, 'বিচার মানি, তাল গাছ আমার।' আর কতো জীবন উৎসর্গ করতে হবে ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে।
এই দুইটা ইস্যু গনতন্ত্রের জন্য খুবই জরুরী ইস্যু।কেন বিএনপি গ্রহন করতে চায় না?
এই দুইটা ইস্যু গনতন্ত্রের জন্য খুবই জরুরী ইস্যু।কেন বিএনপি গ্রহন করতে চায় না, এটাই আমার প্রশ্ন ?
আওয়ামীলীগ ছারা কোন পরিবর্তন করলে, এবং তারা কখনো ক্ষমতায় এলে কোন কিছু টিকবেনা।
তবে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীকে দলীয় প্রধানের পদ ছেড়ে দেওয়ার বিধান রাখার বিষয়টি বিএনপি আরো ভেবে দেখা উচিৎ! তবে প্রধানমন্ত্রীই সংসদ নেতা থাকতে পারেন!
Age of MP should be fixed at minimum 25 years. Before 25 years no one can be a matured one.